#ফুচকাওয়ালা যখন স্পেশাল অফিসার
#পর্বঃ০৩
#লেখকঃরবিউল_হাসান

পিছনে গিয়ে দেওয়ালের পাইপ বেয়ে দু -তলায় উটলাম। সায়েমের ঘর দু-তলায়।জানালার কাচ ভেঙে ভিতরে ডুকে দেখি সায়েম মত খাচ্ছে।আমার একটা অভ্যাস আমি মাতাল অবস্থায় কাউকে মারি না তাই, তাকে একটা চেয়ারের সাথে বেদে নিলাম। মুখে পানি দিয়ে কিছুক্ষণ পর যখন ঠিক হল…….
আমিঃদেখ ভাই গালি গালাজ আমি পছন্দ করি না।সো সোজা কথা বলি তুই ধর্ষণ করছিস তুকে এখন মরতে হবে।
সায়েমঃকিহ তুই আমাকে মারবি হাসালিরে ভাই হাসালি, তুই যদি জানিস আমি কে তাহলে তুর প্যান্ট নষ্ট হয়ে যাবে।আর তুই কি না আমাকে মারবি
আমিঃআচ্ছা দেখি কার প্যান্ট নষ্ট হয়ে যায়(বলে মাস্ক সরালাম)
সামেয়ঃতুই ফুচকাওয়ালা হয়ে আমাকে মারবি দঁড়ি খুল নয়তো তুকে আমি এখানেই মেরে গুম করে দিব।(চিল্লিয়ে)
আমিঃকে বলল আমি ফুচকাওয়ালা?R.K আমি R.K……
(আর কিছু বলার আগে সায়েম অজ্ঞান হয়ে গেল, R.K নাম শুনলে বড় বড় নেতা পর্যন্ত প্যান্ট নষ্ট করে পেলে সেখানে সায়েমের মত পুলাপাইন মাছি মাত্র)

সায়েমের মুখে পানি ছিটিয়ে হুশ করলাম।

সামেয়ঃভাই আমাকে মাপ করে দেন, আমার ভুল হয়ে গেছে।আর জীবনেও এমন করব না।
আমিঃদেখ ভাই আমি ক্ষমা শব্দটার সাথে পরিচিত না, কালেমা পড়ে নেয় এখন তুকে মরতে হবে।
দড়ি দিয়ে সায়েমের গলা প্যাচিয়ে ধরলাম।
বেটার অনেক শক্তি, কিন্তু এসব R.K এর কাছে কিছুই না।
কিছুক্ষণ পর শ্বাস বন্ধ হয়ে গেল।
পিটের মধ্যে লিখে দিলাম R.K তারপর আবারো চলে আসলাম সেই পিছন দিক দিয়ে। বাসায় এসে ঘুমিয়ে পড়লাম।একজনকে ফোন দিয়ে বলে দিলাম সায়েম শেষ, গিয়ে রিপোর্ট করে আস।
আমি ঘুমিয়ে গেলাম।সকালে আবারো ব্রেকিং নিউজ……
এইবার R.K এর শিখার হল সায়েম।সে এই এলাকার এম পির বাগিনা।
প্রতিবারের মত এইবারেও লিখা ছিল সায়েমের পিটে R.K……
আবারো আসছি কোনো তাজা খবর নিয়ে।আপনাদের সাথে আছি আমি,রোবাইয়া নাসরিন…….

আমি খবর শুনে আবারো কলেজে চলে আসলাম।
আবারো ফুচকা বিক্রি করতে লাগলাম, হঠাৎ দেখি রিমি আসল।
রিমিঃদেখি ফুচকা দেন তো।
আমিঃএই লন।
রিমিঃআপনি কি সত্যি পড়াশোনা করেন নি নাকি অন্য কিছু…….
আমি ব্যাভাচ্যাকা খেয়ে গেলাম এই মেয়ে বলে কি?

আমিঃআপনি কি মনে করেন আমি পড়াশোনা করছি?
রিমিঃনা তা হবে কেন,শুধু আপনাকে আমার রহস্যা জনক লাগে তাই বললাম।
আমিঃআচ্ছা, আসলে মুই তো পড়াশোনা করি নাই,কেলাস থ্রী তে পড়ছিলাম, আর পড়া হয় নি।
রিমিঃওহ আচ্ছা। ঠিক আছে।

(কিছুক্ষণ পর পুলিশ আসল)

এসে বলল,
পুলিশঃসন্দেহ জনক কি ওই মেয়েটাই?
আমিঃহ স্যার।
পুলিশঃওকে।(বলে রিমির দিকে গেল)

তারপর রিমি কে নিয়ে পুলিশ থানায় চলে গেল।যাওয়ার সময় দেখলাম রিমি আমার দিকে রাগী ভাবে তাকাচ্ছে।
তারপর চলে গেল।আমিও ফুচকা বিক্রি করতে লাগলাম, কলেজ ছুটি হওয়ার আগে ওই মেয়েটা আসল কি জানি নাম, ওহ্ আরোহী।
আরোহীঃমামা এক প্লেট ফুচকা দেন তো?
আমিঃএই লন……. (আরোহী দেখে মুচকি হাসি দিলাম)
আরোহীঃ ধন্যবাদ আপনাকে।
আমিঃকেন?
আরোহীঃ কালকে রাতের কাজটার জন্য।
আমিঃ না থাক লাগবে না। শুধু দোয়া করবেন যেন সবার পাশে থাকতে পারি।

আরোহীঃ জ্বী তা তো অবশ্যই।আচ্ছা এই নেন বিল।
আমিঃনা থাক প্রায় সময় তো আসেন আজ না হয় ফ্রীতে দিমু।
আরোহীঃ না তা কেমনে হয়?ফ্রী দিলে আপনার ক্ষতি হবে।
(আমি আরোহী দিকে থাকিয়ে মুচকি হাসি দিলাম। আর বললাম।)
আমিঃক্ষতি তখনই হবে,যদি আপনি আমার পরিচয় প্রকাশ করেন।

পেছন থেকে কেউ একজন বলে উঠল কি প্রকাশ করার কথা হচ্ছে এখানে?

পেছনে থাকিয়ে দেখলাম রিমি।(এই মেয়েকে তো একটু আগে পুলিশ নিয়ে গেল তাহলে এখানে কেন)
আমিঃআপনি এখানে কেন,একটু আগে তো আপনারে পুলিশ লইয়া গেল।
রিমিঃপুলিশ আমাকে ভুল করে নিয়ে গেছে, তাই আবার ছেড়ে দিছে।

(এটাতো হতে পারে না,যেখানে পুলিশের সাথে লাগলে সহজে আসতে দেয় না সেখানে এই মেয়ে কেমনে আসল, কাহিনি আছে। পরে বের করে নিব)
আমিঃওহ্
রিমিঃতা এখানে কি প্রকাশ করার কথা হচ্ছে?
আমিঃকি আর কমু, ইনি নাকি কবিতা লিখছে সেটা নাকি প্রকাশ করবে।সেটা বলছিল(আরোহী কে দেখিয়ে বললাম)
আরোহীঃহুম সেটাই বললাম।
রিমিঃকে তুমি,আর তোমার নাম কি?
আরোহীঃআমি এই কলেজে পড়ি, আর কবিতাটার কথা ভাইয়াকে বলছিলাম (আমার দিকে থাকিয়ে)
রিমিঃভাইয়া মানে?এটা তোমার ভাইয়া?
আরোহীঃআরে না, এমনি তে ভাইয়া ডাকি,মঝে মধ্যে কথা হয় তাই ভাইয়া বললাম।আচ্ছা আমি আসি(বলে আরোহী চলে গেল)
রিমিঃআচ্ছা আপনি পুলিশ কে আমাকে কেন দেখিয়ে দিলেন?(আমাকে বলল)
আমিঃআসলে হইছে কি পুলিশ কয়েকদিন ধরে আমারে কইতাছে সন্দেহ জনক কাউকে দেখলে জানাইতে তাই আমি আপনারে দেখাই দিছি।
আপনারে এখানে নতুন দেখা গেছে তাই কইলাম।কিছু মনে কইরেন না।
রিমিঃওকে ঠিক আছে।

(সে দিনের মত চলে আসলাম)
বাসায় এসে বন্ধ রাশেদ কে ফোন দিছি।ফোন দিয়ে মেয়েটার ব্যাপারে খুজ নিতে বললাম।কারণ থানা পুলিশে পড়লে সহজে তো আসা যায় না, কিন্তু এই মেয়ে আসল কি ভাবে।
কিছুক্ষণ পর…….
রাশেদ ফোন দিল……
আমিঃহ্যা রাশেদ বল কি খবর?
রাশেদঃস্যার আপনি যে…..(বাকিটা বলতে দেয় নি)
আমিঃতুই আবার স্যার ডাকিস কেন রে?
রাশেদঃআসলে মনে থাকে না, আচ্ছা শুন..
আমিঃহুম বল, কে মেয়েটা?
রাশেদঃমেয়েটা হচ্ছে ওই থানার ডি সি(D.C),কলেজে পড়ার নাম করে R.K মানে তুকে খুজতেছে।মাত্র ১ মাস হলে এখানে আসছে।
আর হ্যা সাবধানে থাকিস তুর আসল পরিচয় কখনো দিবি না।যদি পরিচয় পাস হয়ে যায় তাহলে আমাদের অপারেশন সাকসেস হবে না।সাবধান কিন্তু…
আমিঃওকে ঠিক আছে।
(আমিও এমন কিছু ভাবছিলাম নয়তো এই মেয়েটা এত তাড়াতাড়ি থানা থেকে চলে আসল কিভাবে?)

আমার আসল মিশন হচ্ছে এম পির দুই ছেলেকে শেষ করা।
এই যাবৎ তাদের বিরুদ্ধে ৯০+ ধর্ষণ মামলা,১০০+ড্রাগস মামলা,২০+বোমা বাজি,৫+ মেয়ে পাচার মামলা আছে।ক্ষমতার দাপটে সব ঠান্ডা করে রাখছে।

কিন্তু এখন সব ফাইল আমার হাতে।দেখি এবার তাদের কে বাঁচায়?

আরো ২৭ দিন মত সময় আছে আমার কাছে।এই সময়ের মধ্যে এই শহরটাকে পাপ মুক্ত করে দিব।
রাতে ঘুমাইয়া পড়লাম, রাতের শহর ঘুরতে ভালো লাগে তাই ঘুম থেকে উঠে বেরিয়ে গেলাম হঠাৎ দেখলাম কিছু লোক একটা মেয়েকে ঘিরে রেখেছে।
আমি দুর থেকে এসব দেখতে থাকলাম।
কিন্তু আর কতক্ষণ ই বা দেখা যায়? যে মেয়েটা আমার দিকে ঘুরল তাকে দেখে আমি আকাশ থেকে পড়লাম, এ তো রিমি মানে DC রিমি….

কয়েকজন ঘিরে রেখেছে,সে চাইলে মারামারি করতে পারে কিন্তু সবার সাথে পেরে উঠবে না,ওরা প্রায় ৮ জন মত আছে।তাই চিৎকার করতেছে ছেড়ে দেওয়ার জন্য।
কিন্তু তারা ছাড়তেছে না।আমি আর কি দেখব মুখে মাস্ক লাগালাম।গেলাম সামনে।(আমি যখনই রাতে বের হয় সাথে আমার প্রিয় কোড টা থাকে, সাথে স্পেশাল টিমের স্পেশাল গান,আর আমার প্রিয় চুরি সাথে মাস্ক)
তো আমি মাস্ক পড়ে সামনে গেলাম।
আমিঃএই এখানে কি হচ্ছে? (সাথে সাথে সবাই আমার দিকে থাকাল)
একজন বলে উঠলঃকি হচ্ছে তুকে দেখতে হবে না।যা নিজের কাজ কর গিয়ে।
আমিঃআমার কাজ আমি করছি।ভালো চাইলে তাকে ছেড়ে দেয়।
আরেকজনঃতুই কেরে যে তুর কথায় ছাড়তে হবে?বাঁচাতে চাস তো এখান থেকে ভাগ……
আমিঃএই মিস রিমি আপনি নিজের পরিচয় দিলেই তো এরা আপনাকে ছেড়ে দেবে?
রিমি আমার দিকে অদ্ভুত চোখে থাকাল।
রিমিঃআপনি কিভাবে আমার নাম জানেন?
আমিঃযে আমাকে ধরতে আসছে তাকে চিনব না তা কেমনে হয়?
রিমিঃমানে?
আমিঃকিছু না পরে বলব।

এই তোরা দাড়িয়ে কি দেখছিস মার সালাকে।এখানে হিরো গিরি দেখাচ্ছে।

তারা আমাকে মারতে আসল,আমি রিমিকে বললাম তুমি ওই দিকে গিয়ে দাড়াও…….(রিমি সে দিকে চলে গেল)

তারপর আমি বিচিয়ে দিলাম এদেরকে, মারের তো কোনো কম নাই,যাকে যে দিকে পারলাম ইচ্ছে মত দিলাম।(এদের কিন্তু বাংলা মাইর একটাও দেয় নি সব থাইল্যান্ড ৬ টা দেশের আর্মিতে প্রশিক্ষণ নিছি হু)

সবাই মাটিয়ে শুয়ে আছে,সবাইকে বললাম,আর যদি কখনো তুদের কে এখানে দেখি তাহলে বুঝতে পারবি।

রিমির কাছে গেলাম,(মাস্ক কিন্তু মুখে আছেই)

আমিঃতা মিস D.C রিমি আপনি একা কেন?আপনার পুলিশ বাহিনী কোথায়?
রিমিঃ(কিছু বলছে না শুধু তাকিয়ে আছে,আর ভাবছে এত ছদ্মবেশ ধরার পরেও কিভাবে তাকে চিনল?)
আমিঃএই মিস কি হল?
রিমিঃকিছু না কে আপনি?আর আমাকে কিভাবে চিনেন।
আমিঃশুনবেন কে আমি?
রিমিঃহ্যা শুনব কে আপনি?
আমিঃআমি সেই যাকে ধরার জন্য আপনি কক্সবাজার থেকে ঢাকায় আসছেন, আমি সেই যাকে ধরার জন্য আপনি দিন রাত ছদ্মবেশ ধরে ঘুরছেন। আমি সেই যাকে ধরার জন্য আপনি পাগলের মত খুঁজছেন।আমি সেই যাকে ধরতে পারলেই আপনার প্রমোশন হবে।আমি আর কেউ নয় স্বয়ং R.K
রিমি সাথে সাথে পিছিয়ে গেল,তার একটাই ভয় R.K কি এখন তাহলে ভুল বুঝবে?তাকে কি মেরে পেলবে?নাকি R.K তাকে ক্ষমা করে দিবে?
আমিঃকি হল গ্রেফতার করবেন না আমাকে?
রিমিঃআমাকে ক্ষমা করে দিন আপনি যা বলছেন সব সঠিক কিন্তু এই কাজের জন্য আমি আসলেও আমি আপনাকে এরেস্ট করতে পারব না।Because i love you,i really love you R.K

আমি সে দিন থেকে আপনাকে ভালোবাসি যেদিন জানলাম শুধু ধর্ষণকারীদের আপনি শাস্তি দিচ্ছেন,কোনো নির্দোষ কে নয়।
আমি আপনাকে সত্যি ভালোবাসি, আমি আপনাকে বিয়ে করতে চায়।
হ্যাঁ আমি জানি আমার মতো হাজারো মানুষ আপনাকে ভালোবাসে।শুধু মাত্র আপনার এই মহৎ কাজের জন্য কিন্তু দেখুন আইন তো নিজের মত চলবে তাই না। আপনি আত্নসমর্পণ করেন, আমি আপনার পাশে থাকব।আইনের হাত থেকে আপনাকে বাঁচাব।
আপনি যা করছেন সব ভালোর জন্যই করছেন…

To_be_continue…….।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here