#প্রণয়_বর্ষণ (১৪)
#বোরহানা_আক্তার_রেশমী
__________________

রুদ্র তানিয়া আর রাইমার ডিমান্ড পূরণ করে নিজের রুমে প্রবেশ করে। বিছানার মাঝে বসে থাকা স্পর্শী ঘোমটা হালকা উচু করে একবার রুদ্রকে দেখেই আবার ঘোমটা নামিয়ে দেয়। রুদ্র ভ্রু কুঁচকে তাকায় স্পর্শীর দিকে। পা থেকে মাথা পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করে বলে,

‘বাব্বাহ একদম বউ বউ লাগছে।’

স্পর্শী চট করে ঘোমটা তুলে ফেলে। সামনের ছোট ছোট চুল গুলো নড়ে ওঠে। রুদ্র থমকে তাকায় কিছুক্ষণের জন্য৷ স্পর্শী কাঁদো কাঁদো মুখ করে বলে, ‘এই কচুর শাড়ি আমি সামলাতে পারি না আর ওরা শাড়িই পড়িয়েছে।’

রুদ্র হেঁসে বলে, ‘এইজন্যই তো এখন বউ বউ লাগতেছে আর একটু আগে কামের বে’ডির মতো লাগতেছিলো।’

বলেই শব্দ করে হাসতে থাকে৷ স্পর্শী কটমট দৃষ্টিতে তাকায়। গাল ফুলিয়ে অন্যদিকে চেয়ে থাাকে। রুদ্র বিছানার কাছে গিয়ে হাত বাড়িয়ে দেয়। স্পর্শী আড়চোখে তা একবার দেখে মুখ ঘুরিয়ে নেয়। রুদ্র ভ্রু কুঁচকে বলে,

‘হয়ছে আর রাগ করতে হবে না। আয়!’

‘কোথায়?’

‘দেখতেই পাবি। চল তো আগে!’

স্পর্শী হাত রুদ্রর হাতে রেখে আস্তে ধীরে বিছানা থেকে নামে। শাড়ি ঠিক করে রুদ্রের হাত শক্ত করে ধরেই রুদ্রর পায়ে পা মিলিয়ে হেঁটে ব্যালকনির দিকে যেতে নেয়। কিছুটা হাঁটতে গিয়েই শাড়ি পায়ে বেঁধে ধাম করে পড়ে যেতে নিলে দুহাতে আঁকড়ে ধরে রুদ্রকে। ঘটনার আকস্মিকতায় দুজনেই অবাক। স্পর্শী নিজেকে সামলে কোনো রকমে ঠিক মতো দাঁড়ায়। রুদ্র কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে পেট চেপে হাসতে থাকে। স্পর্শী মুখ ফুলিয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে থাকে। সে শাড়ি পড়তে পারে না আর সামলাতেও পারে না তাই বলে রুদ্র এভাবে হাসবে! এটা মোটেও ঠিক নয়। রুদ্র হাসি থামিয়ে বলে,

‘কাবার্ডে দেখ তোর জন্য ড্রেস রাখা আছে। শাড়ি চেঞ্জ করে ওগুলোর মধ্যে থেকে একটা পড় নয়তো কখন উ’ল্টে পড়ে কোমড় ভা’ঙবি তখন সবাই আমাকে কোমড় ভা’ঙা পর্শীর জামাই বলবে। এটা তো আমি হতে দিতে পারি না তাই না!’

স্পর্শী কথা না বাড়িয়ে কাবার্ডের দিকে এগোয়। একবার রুদ্রের দিকে তাকায়ও না। রুদ্র পেছন থেকে বলে, ‘সাবধানে!’

সাথে সাথেই আচমকা পড়ে যেতে নেয় স্পর্শী। নিজেকে সামলে রাগী চোখে তাকায় রুদ্রের দিকে। রুদ্র দ্রুত ব্যালকনিতে চলে যায়। স্পর্শী রুদ্রকে চলে যেতে দেখে রুমেই শাড়ি খুলে ফেলে। তারপর দ্রুত ওয়াশরুমে ঢুকে পড়ে।

চেঞ্জ করে স্পর্শী নিজেও ব্যালকনিতে যায়। এখন অনেক ফ্রেশ লাগছে। রুদ্র পকেটে হাত দিয়ে রাস্তার দিকে তাকিয়ে ছিলো। স্পর্শী পাশে দাঁড়াতেই রুদ্র আনমনে বলে,

‘মামিমা মা’রা যাওয়ার পর থেকে আর শাড়ি পড়িসনি তাই না!’

স্পর্শী কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলে, ‘নাহ। ছোট বেলায় আম্মুকে শাড়ি পড়তে দেখে আমিও বায়না করতাম শাড়ি পড়ার জন্য। আম্মু হেঁসে পড়িয়ে দিতো। একটা সময় যখন আম্মু আমাকে ছে’ড়ে চলে গেলো তখন থেকে আর শাড়ি পড়তে ইচ্ছে হয়নি। কম বেশি সব মেয়েই শাড়ি পড়া শিখে তার মায়ের কাছে আমার মা তো আকাশের তাঁরা হয়ে গেছে তার কাছ থেকে কিভাবে শিখবো!’

শেষের বাক্যে গলা কেঁপে ওঠে স্পর্শীর। রুদ্র একহাতে স্পর্শীকে টেনে কাছে এনে দাঁড় করায়। চুল গুলো কানের পৃষ্ঠে গুজে দিয়ে বলে,

‘চিন্তা করিও না বউ সব মেয়ে তার মায়ের কাছে পড়া শিখে তুমি না হয় তোমার একমাত্র জামাইয়ের থেকেই শিখবা!’

স্পর্শী ঠোঁট কামড়ে হেঁসে বলে, ‘কে বলেছে আমার একমাত্র জামাই? আমি তো আরো বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

রুদ্র বাঁকা হেঁসে বলে, ‘কার এতো দম আছে আমার পর্শীর দিকে হাত বাড়াবে!’

স্পর্শী ফোঁস করে শ্বাস নেয়। রুদ্র পকেট থেকে একটা ডায়মন্ডের পেনডেন্ট বের করে স্পর্শীর গলায় পড়িয়ে দেয়। স্পর্শী অবাক হয়ে একবার পেনডেন্টের দিকে তো একবার রুদ্রের দিকে তাকায়। রুদ্র স্পর্শীকে ঘুরিয়ে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে। কাঁধে থুতনি রেখে ফিসফিস করে বলে,

‘আমার প্রথম ইনকামের টাকায় এটা কেনা। ফার্স্ট নাইটে নাকি বউকে কিছু দিতে হয় তাই এটা রেখেছিলাম দিবো বলে। পছন্দ হয়ছে তোর?’

স্পর্শী কেঁপে কেঁপে ওঠে। শ্বাস আটকে রাখে। রুদ্র স্পর্শীর জবাব না পেয়ে বাঁকা হাসে। হাতের বিচরণ গভীর করতেই লাফিয়ে ওঠে স্পর্শী। কোনো রকমে হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করে ব্যস্ত গলায় বলে,

‘কি করছেন রুদ্র ভাই? ছাড়েন!’

রুদ্র হাত আলগা করে দিলে কোনে রকমে ছুটে পালায় স্পর্শী। ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে রুদ্র নিঃশব্দে হাসতে থাকে। স্পর্শী রুমে ঢুকে জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিয়ে আগে পানি খায় । হা হুতাশ করে বলে,

‘লু’চু একটা! হায় আল্লাহ শেষমেশ আমার বিয়ে এই লু’চুটার সাথে হলো!’

_________
সকালে ঘুম থেকে উঠতেই আগে চোখে পড়ে বিছানায় ঘুমন্ত রুদ্রের ওপর। কেবল ঘুম থেকে উঠেই পাশে রুদ্রকে দেখে লাফিয়ে উঠে স্পর্শী। বিড়বিড় করে আওড়ায়, ‘আমি বডি বিল্ডারের পাশে কি করতেছি!’
কয়েক মিনিট ভাবতেই মাথায় আসে কাল তার বিয়ে হয়ে গেছে। কপাল চাপড়ে বিছানা ছেড়ে নামে। কাল রাতে রুদ্রকে বকতে বকতে কখন ঘুমিয়ে পড়েছে তার খেয়াল নেই স্পর্শীর। রুদ্রই বা কখন ঘুমিয়েছে তা জানে না সে। ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে ভাবে এখন কি করবে! রুম থেকে বের হয়ে প্রথমেই তানিয়া আর রেণু আপার রুমে যায়। রেণু আপা বিছানায় বসে আছে আর তানিয়া তখনো ম’রার মতো ঘুমাচ্ছে। দেয়ালে টাঙানো ঘড়ির দিকে তাকিয়েই মাথায় হাত স্পর্শীর। ৮:৩০ বেজে গেছে। রেণু আপার কাছে দ্রুত এগিয়ে যায়। ব্যস্ত গলায় বলে,

‘এতো সকাল হয়ে গেছে! আমাকে ডাকো নি কেন আপা?’

রেণু আপা হেঁসে বলে, ‘এহন তো আর তুমি একলা ঘুমাও না তাই আর ডাহি নাই।’

স্পর্শী কয়েকবার কপাল চাপড়ে রেণু আপার হাত টেনে দরজায় এসে থেমে যায়। রেণু আপাকে দাঁড় করিয়ে তানিয়ার কাছে ঘুরে এসে চুল টেনে আবার রেণু আপাকে নিয়ে দৌড় লাগায় নিচে। যে একটা শ্বাশুড়ি মা তার না জানি দুনিয়া উ’ল্টে দেয়! নিচে আসতেই দেখে রাইমা সোফায় পা তুলে বসে আছে। স্পর্শী ধীর পায়ে এসে রাইমার পাশে বসে। রাইমা খুশিতে জোড়ে বলে,

‘গুড মর্নিং ভাবি। এতক্ষণে ঘুম ভাঙলো! রাতে বুঝি বেশি রো’মান্স হয়ে গেছে!’

শেষের টুকু ধীরে বলে চোখ টিপে। স্পর্শী চোখ রাঙিয়ে বলে, ‘এতো পাকনা কেন তুই?’

এর মধ্যেই কিচেন থেকে বের হয়ে আসে রেহেনা। স্পর্শীকে দেখেই বিড়বিড় করে কিছু বলে। স্পর্শী আড়চোখে তা দেখেও চুপ করে থাকে। রেহেনা সোফায় বসতে বসতে বলে,

‘এ বাড়ির বউরা এতো বেলা করে ঘুমায় না আর সালোয়ার-কামিজ পড়ে না। রাইমা তোর ভাইয়ের বউকে বলে দে এবাড়িতে নবাবজা’দির মতো পড়ে থাকলে হবে না৷ আর আমি যেনো পরেরবার থেকে শাড়ি ছাড়া না দেখি!’

রাইমা দাঁত বের করে বলে, ‘এতো ঘুরিয়ে প্যা’চিয়ে বলার কি আছে আম্মু! ‘তোর ভাইয়ের বউ’ না বলে সহজে বলতে পারো ‘তোর ভাবি’ নয়তো ‘বউমা’ বলতে পারো। সহজ হবে। ঠিক বলছি না!’

রেহেনা রাগী চোখে তাকায়। রাইমা কাশি দিয়ে গলা পরিষ্কার করে। শফিক শাখাওয়াত সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে বলে, ‘রেহেনা তুমিও কিন্তু প্রথম প্রথম শাড়ি পড়তে পারতে না আর রোজ এমন দেড়ি করে ঘুম থেকে উঠতে। নিজের বিয়ের কথা ভুলে গেছো নাকি?’

রেহেনা যেনো চোখ দিয়েই গি’লে খাবে এমন অবস্থা। স্পশী, রেণু আপা, রাইমা ঠোঁট চেপে হাসে। রেহেনা গটগট করে নিজের রুমের দিকে হাঁটা লাগায়। সবাই শব্দ করে হেঁসে দেয়। শফিক শাখাওয়াত স্পর্শীর পাশে বসে মাথায় হাত রেখে বলে,

‘মন খারাপ করিস না মা। এক সময় দেখবি তোর শ্বাশুড়িও সব মেনে ভালো হয়ে গেছে।’

স্পর্শী মাথা নাড়ায়। বিড়বিড় করে বলে, ‘এমনে ভালো হবে না শ্বশুরআব্বু৷ এই শ্বাশুড়ি আম্মারে আমিই সোজা করমু আজ প্রথম দিন বলে ছেড়ে দিলাম শ্বাশুমা।’

স্পর্শী ব্রেকফাস্টের জন্য রুদ্রকে ডাকতে এসে দেখে রুদ্র রুমে নেই। ওয়াশরুম থেকে পানির শব্দ আসায় বুঝে যে সে ওয়াশরুমে। তাই চুপ করে বিছানায় বসে পা দুলাতে থাকে। কিছুক্ষণ পর রুদ্র মুখ মুছতে মুছতে রুমে ঢোকে। স্পর্শীকে পা দুলাতে দেখে বলে,

‘পে’ত্নীরা তো সন্ধ্যা বেলায় উদয় হয় তুই সকাল বেলা কোথা থেকে উদয় হলি!’

স্পর্শী ভ্রু কুঁচকে বলে, ‘কি বললেন আপনি?’

রুদ্র স্পর্শীর কথায় পাত্তা না দিয়ে বলে, ‘এমনে পে’ত্নীর মতো পা দুলাতে থাকলে যে কেউই পে’ত্নী বলবে।’

স্পর্শী ফোঁস করে নিঃশ্বাস নেয়। দাঁতে দাঁত চেপে বলে, ‘বিয়ের আগে হাসতে দেখলে বুকে লাগে আর বিয়ের পর পে’ত্নী তাই না! বে’ডা মানুষ এরেই কয়। এক্কেবারে গির’গিটি। এতো পে’ত্নী হইলে বিয়ে করছেন কেন হ্যাঁ?’

রুদ্র অন্যদিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে হাসতে থাকে৷ তারপর কন্ঠ গম্ভীর করে বলে, ‘ভেবে দেখলাম তোর মতো পে’ত্নী রে কেউই বিয়ে করবে না! তুই যেহেতু আমার মামাতো বোন তোর প্রতি তো একটা দায়িত্ব আছে আমার বল! তাই নিজের জীবন উৎ’সর্গ করে তোরে বিয়ে করে নিলাম।’

স্পর্শী রাগে দুঃখে কি বলবে বুঝতে পারে না। বিছানা থেকে বালিশ তুলে ছু’ড়ে মা’রে রুদ্রের দিকে। উল্টো ঘুরে গটগট করে বেড়িয়ে যায়। রুদ্র শব্দ করে হাসতে থাকে। বেচারী স্পর্শী! রুদ্র দ্রুত চুল ঠিক করে নিচে আসে। স্পর্শী তখন সবার মধ্যে বসে থেকে ফোঁস ফোঁস করতেছিলো। রুদ্রকে আসতে দেখে তানিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলে,

‘তানু আমি কিন্তু তোর সাথে থাকবো।’

শফিক শাখাওয়াত ভ্রু কুঁচকে বলে, ‘ওর সাথে থাকবি মানে? তোর এতো বড় শ্বশুরবাড়ি থাকতে ওর সাথে থাকবি কেন?’

স্পর্শী নম্র গলায় বলে, ‘আসলে আঙ্কেল রেণু আপা এতদিন হলো আমাদের সাথে আছে আমি উনাকে এভাবে একা ছাড়ি কিভাবে! তাছাড়া আমি এখানে থাকলে আপা আবারও গিয়ে কাজ খুঁজবে। যা আমি একদমই চাই না।’

শফিক শাখাওয়াত খানিকটা অবাক হয়েই তাকায়। রুদ্র পাশে বসতে বসতে বলে, ‘তানিয়া আর রেণু আপা একসাথে থাকবে কিন্তু তুই কোথাও যাচ্ছিস না। আর তানিয়া আমি তোমার জন্য একটা ফ্ল্যাট খুঁজে দিয়েছি তুমি আর আপা ওখানে থাকবে।’

তানিয়া ব্যস্ত গলায় বলে, ‘না না ভাইয়া। আমি আর আপা আগের বাড়িতেই ঠিক আছি। আর তাছাড়া আপনি….

‘আমি জানি তুমি ফ্রী তে থাকবা না তাই না হয় বাড়ি ভাড়া দিয়েই থেকো! তাছাড়া তোমার যা বাড়িওয়ালা ওর বাড়িতে থাকার চেয়ে আমি যে বাড়িটা দেখেছি এটা অনেক ভালো।’

মুখটা তানিয়ার কানের কাছে নিয়ে আস্তে করে বলে, ‘ওখান থেকে ফয়সাল ভাইয়ের বাড়িও কাছে।’

তানিয়া শুধু মুখে বি’ষম খায়। ফ্যালফ্যাল করে তাকায় রুদ্রের দিকে। স্পর্শী ভ্রু কুঁচকে তাকায়। রুদ্র রেণু আপার দিকে তাকিয়ে বলে, ‘আপা আমার বউয়ের দায়িত্ব মানে আমারও দায়িত্ব তাই সে হিসেবে আপনার দায়িত্ব এখন থেকে আমার। আপনার থাকা পড়া থেকে শুরু করে বিয়ে দেওয়া পর্যন্ত আমার দায়িত্ব। না বললে আমি শুনবোও না। তাই চুপচাপ মেনে নিন।’

রেণু আপা মাথা নিচু করে বলে, ‘রুদ্র ভাইজান আমার খাইট্টা খাওনের অভ্যাস আছে আমি নিজেই কোনো না কোনো ভাবে নিজের এক্কান ব্যবস্থা কইরা নিমু। আপনি খালি আপার একটু খেয়াল রাইখেন।’

শফিক শাখাওয়াত রেণু আপা আর স্পর্শীর বন্ডিং দেখে মুগ্ধ হলেন। রুদ্র বুঝলো রেণু আপা তার থেকে কোনো প্রকার সাহায্য নিতে অনিচ্ছুক। কিন্তু সেও তো না’ছোড়’বা’ন্দা। তাই হেঁসে রেণু আপার সামনে দাঁড়িয়ে বলে,

‘আচ্ছা আপা আমি যদি আপনার ভাই হতাম আপনি আমাকে না করতে পারতেন! আপনি এতগুলো বছর আমার পর্শীর খেয়াল রেখেছেন। যেখানে ওর পরিবার ওর থেকে দুরে সরে থেকেছে সেখানে আপনি ওর কাছে থেকেছেন সব সময়। আপনার কাছে তো আমি কৃতজ্ঞ। সেই কৃতজ্ঞতা থেকে নাহয় এটুকু করলাম!’

রেণু আপা কিছু বললেন না। স্পর্শীর ঠোঁটে অমায়িক এক হাসি ফুটে উঠে। রুদ্রের দিকে তাকিয়ে মনে মনে আওড়ায়,
‘লোকটার প্রণয়ে কি এমনিই পু’ড়ি!’

চলবে..
(আসসালামু আলাইকুম। ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ৩ দিন গল্প কেনো দেয়নি তা আমি জানিয়ে দিয়েছিলাম তবুও হয়তো অনেকে জানেন না তাই বলছি আমি অসুস্থ ছিলাম তাই দিতে পারিনি। ইনফ্যাক্ট এখনো অনেক অসুস্থ এই পর্বটা আমি ৩ দিনে একটু একটু করে লিখছি😑 সরি।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here