#পাওয়া_না_পাওয়া_সুখ
#লেখিকাঃজিন্নাত_চৌধুরী_হাবিবা
#পর্ব_০৩

কলপাড় থেকে মুখ ধুয়ে খালার পাশে এসে বসলো প্রেমা। দুদিন যাবত গ্যাস লাইন বন্ধ। তাই টিনশেড বিল্ডিং এর পাশে উন্মুক্ত অংশে মাটির চুলা তুলে সেখানে রান্না করা হচ্ছে। পাশাপাশি খালার জা ও চুলা বানিয়েছেন। সকালের নাস্তা এখানেই তৈরি করছেন। খালার ভাসুরের বড়ছেলের বউ শিমু পাশের চুলায় রুটি সেঁকছে। সে উদাস হয়ে বিরস মুখে পেটে হাত দিলো। প্রেমার দিকে তাকিয়ে মনমরা হয়ে বলল,

-“তোমার ও দেখি পেট ছোট। জানো, আমার সাথে যাদের বিয়ে হয়েছে সবার পেট ফুলে ইয়া বড় হয়ে গেছে। কিন্তু আমার পেট এখনো দেখি শুকিয়ে আছে।”

প্রেমা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো। খালা প্রেমাকে চোখের ইশারায় বোঝালেন,
-“বউটার মাথায় একটু সমস্যা আছে।”

প্রথম বউ থাকাকালীন প্রেমা চট্টগ্রাম এসেছিলো। সে চলে যাওয়ার পর নাকি খালার ভাসুরের বড় ছেলে আবার বিয়ে করে। ছেলেটার ও মাথায় হালকা সমস্যা। জম্পেশ মিলে যাচ্ছে। এদের সবার মাথার তার ছিঁ’ড়া।

পশ্চিম আকাশে মেঘমেদুর এর খেলা। ঝড়ো হাওয়ায় গাছের ডালপালা তুমুল বেগে দুলছে। বাতাসের ঝাপটানিতে বারবার আগুণ নিভে যাচ্ছে। খালা প্রেমাকে পাঠালেন ঘরে,

-“যাতো, অভীক কে ঘুম থেকে ডেকে তোল। পশ্চিম দিকটায় একটা টিন দিয়ে বেড়া দিলে আর বাতাসে আগুণ নিভে যাবেনা।”

প্রেমা সোজা অভীকের ঘরে ঢুকলো। দরজা খোলাই ছিলো। অভীকের সাথে তার একটা ফুফাতো ভাই ঘুমিয়েছে। দুজনের অবস্থা দেখে প্রেমার চোখ কপালে উঠে গেলো। দমফাটা হাসি আসছে। ঠোঁট চেপে একদৌড়ে নিজের ঘরে গেলো। ফোন হাতে নিয়ে এসে ফটাফট তিন-চারটা ছবি তুলে নিলো। এরপর অভীক কে ডেকে তুললো।
ঘুম ভাঙতেই আৎকে উঠে অভীক। হায় খোদা, শ্যাষ, ইজ্জত একেবারে শ্যাষ হয়ে গেলো। ফুফাতো ভাই ওর লুঙ্গির ভিতর দুইপা ঢুকিয়ে আরামসে ঘুমাচ্ছে। ভাগ্যিস হাঁটু পর্যন্ত হাফ প্যান্ট ছিলো।
পাশে শুয়ে থাকা ফুফাতো ভাইকে ধা’ক্কা দিয়ে তুলে দিলো। লজ্জায়, ক্ষোভে জবুথবু হয়ে ধমকে উঠলো,

-“এ ব্যাডা! তুই ও হোদ্দলা আমিও হোদ্দলা। তাইলে তুই ক্যান আমার লুঙ্গির ভিতর পা ঢুকাবি?”

ছেলেটা ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইলো। ঘুম থেকে ওঠায় মাথামুণ্ডু কিছুই বুঝলোনা। প্রেমা ঘর কাঁপিয়ে হাসলো। পরক্ষণেই অনুভব করলো কতদিন পর সে এমন মন খোলা হাসি হাসলো। যে কারণে অভীক কে ডাকতে এসেছিলো সেই কারণ বলেই ঘর থেকে বের হলো। ঘরের সামনে সিমেন্ট দিয়ে পাকা করে বসার ব্যবস্থা করা আছে। সেখানেই বসলো প্রেমা।

অভীক আগে মায়ের নির্দেশিত কাজ সেরে মুখ ধুয়ে আসলো। সবাই মিলে সকালে নাস্তা করলো। কলেজ আছে অভীকের। সদাই-পাতি কিছু লাগবে কি-না মাকে জিজ্ঞেস করেই তৈরি হতে গেলো। এসব বাজার করা, রান্না করার একটু আধটু অভ্যেস আছে অভীকের। মা যখন অসুস্থ থাকে তখন সে রান্না করে ফেলে। তাদের তো আর বোন নেই। তাই বোনের কাজ তারাই করে।

সকালের নাস্তা শেষে প্রেমা আশেপাশে হেঁটে হেঁটে দেখছে। খালা দুপুরের রান্নার জোগাড় করছে। আজ তার বড় ছেলে বাড়ি ফিরবে। দিনরাত গাধার খাটুনি খাটতে হয়। বছরে দুবার ও ঠিক করে মায়ের রান্নার স্বাদ নিতে পারেনা। এই ভেবে দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন মইফুল। অন্তিক ভাইয়া আসবে শুনেই কুমিল্লা থেকে ছুটে আসলো প্রেমা।
অভীক তৈরি হয়ে বাড়ি থেকে বের হলো। সামনে দিয়ে একজন আইসক্রিমওয়ালা যাচ্ছে। অভীক পাঁচ টাকা দিয়ে একটা আইসক্রিম কিনলো। বাড়ির সামনের রাস্তায় প্রেমাকে দেখে আরও একটা কিনে তার হাতে দিলো। কোত্থেকে অভীকের জেঠাতো ভাইয়ের বউ শিমু দৌঁড়ে আসলো।

-“দেবর ভাই, আমাকে একটা আইসক্রিম কিনে দাও।”

অভীক আইসক্রিম মুখ থেকে বের করে বলল,

-“টাকা আছে? আমি মাগনা তোমাকে আইসক্রিম কিনে দিতে পারবোনা।”

শিমুর ফর্সা মুখে আঁধার নামলো। গাল ফুলিয়ে বলল,

-“আমার জামাইকে বললে আমাকে একটা না পাঁচটা কিনে দিতো।”

অভীক ব্যঙ্গ করে বলল,

-“আইসক্রিমওয়ালাকে জামাই বলো, দেখবে আইসক্রিম দিয়ে দেবে।”

আইসক্রিম বিক্রেতা লোকটি চলে যাচ্ছে। শিমু ভাবী সত্যি সত্যি আইসক্রিমওয়ালার পেছনে ছুটলো। এদিকে তার লম্বা আঁচল মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। গলার স্বর বড় করে বলছে,

-“আইসক্রিমওয়ালা দাঁড়ান, আপনাকে জামাই বলছি আমাকে একটা আইসক্রিম দিয়ে যান।”

প্রেমা চরম আশ্চর্য হলো। ভেবেছি উনার মাথায় সমস্যা আছে, কিন্তু এতো দেখছে পুরাই পা’গ’ল। অভীক কিটকিটিয়ে হেসে উঠলো। সামনে গিয়ে আরেকটা আইসক্রিম শিমু ভাবীর হাতে দিয়ে কলেজের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেলো। খালার বাড়ি যদি চট্রগ্রাম না হয়ে পাবনা হতো? কেউ জিজ্ঞেস করলে অকপটে বলে দিতে পারতো ‘এরা পাবনার পা’গ’ল। অতিসত্বর চিকিৎসা করা হবে।’
প্রেমা, শিমু দুজনেই বাড়ির ভেতর ঢুকে পড়লো।

[৫]
অনেকক্ষণ বসে থেকে রান্না করায় কোমর ব্যথায় টনটন করছে। খালা বসা থেকে উঠে দাঁড়ালেন। আচমকা ভ’য় পেয়ে মৃদু আর্তনাদ করে উঠলেন।
পেছন থেকে জড়িয়ে কেউ উনাকে উপরে তুলে রেখেছে। তার গায়ের ঘ্রাণ আর কিটকিটিয়ে হাসির শব্দে বুঝে গেলেন তার সোনার টুকরো বাড়ি ফিরেছে।
বাড়ির ভেতর প্রবেশ করেই উঠোনে মাকে আবিষ্কার করলো অন্তিক। হাতের ব্যাগ মাটিতে রেখেই ইউনিফর্ম গায়ে নিয়েই মাকে পেছন থেকে কোলে তুলে নিলো। মাকে কোল থেকে নামাতেই হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন মইফুল। অন্তিকের পুরো মুখ জুড়ে অসংখ্য চুমু খেলেন। ছেলে এমন চাকরি করে যেখানে জানের মায়া করতে নেই। সবসময় বুকে পাথর বেঁধে চলতে হয়। যেকোনো সময় প্রস্তুত থাকতে হয় মৃ’ত্যুর খবর শোনার জন্য। অন্তিক হেসে উঠে মাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।

প্রেমা দূরে দাঁড়িয়েই পর্যবেক্ষণ করলো সেনাবাহিনীর পোশাক গায়ে চাপিয়ে উঁচা লম্বা একজন যুবক দাঁড়িয়ে আছে। অধর কোনে সুগভীর হাসির খেল। ঠোঁটের সাথে সাথে চোখজোড়া ও হেসে উঠছে। এগিয়ে গেলো প্রেমা। ওকে দেখে অন্তিক মিষ্টি করে হাসলো।

-“কিরে বুড়ী, কেমন আছিস?”

হেসে মাথা দুলালো প্রেমা।
-“আমি ভালো আছি। তুমি কেমন আছো ভাইয়া?”

অন্তিকের ঠোঁট থেকে যেনো হাসি সরছেইনা। মুক্তোঝরানো হাসিমুখ নিয়েই বলল,

-“এতগুলো মাস পর পরিবারকে কাছে পেলে ভালো না থেকে উপায় আছে?
তুই দেখছি দিনদিন লম্বা আর শুটকি হয়ে যাচ্ছিস।”

ঠোঁটের হাসি মিলিয়ে গেলো প্রেমার। এরা দুই ভাই সবসময় ওকে পঁচাতে প্রস্তত থাকে। মুখ ঘুরিয়ে থমথমে গলায় বলল,

-“ধুরো! তোমাদের খালি একই ঘ্যানঘ্যান।”

শব্দ করে হাসলো অন্তিক। মায়ের তাড়া খেয়ে ঘরে ফিরে পোশাক বদলে নিলো। লম্বা একটা ঘুম দিলো। দুপুর নাগাদ বাবা আর অভীক’কে বাড়িতে দেখা গেলো। বাবা অন্তিক কে দেখে গদগদ হয়ে জড়িয়ে ধরলেন। চোখের কোনে পানি চিকচিক করছে। তিনি খুবই নরম মনের মানুষ।
ভাইয়ের সাথে ও কুশল বিনিময় করে খেতে বসলো অন্তিক।
খাওয়া পাতে রেখেই অভীক প্রেমাকে পঁচানো শুরু করলো,

-“ভূ’তী, তোকে কত করে বললাম চালের গুদামের নাম বল। আমিও একটু মোটা হই। বললিনা। দেখ আমার অভি’শাপে তুই এখন দিনদিন পাটকাঠি হয়ে যাচ্ছিস।”

প্রেমা বিরক্ত হয়ে বলল,

-“ভাইয়া, ভূ’তী বলো কেনো?”

অভীক টিট’কিরি মেরে বলল,
-“ছোটবেলায় যা আটার বস্তা ছিলি। তোর গালদুটো মাংসের ভারে ভোঁতা ভোঁতা দেখাতো। ইচ্ছে করতো চ’টাশ চ’টাশ করে থাপ্পড় মারি। তখন তোকে দেখে ভূ’তী ছাড়া মাথায় আর কিছুই আসতোনা। আচ্ছা এখন এত চিকন হলি ক্যামনে? গুদামের চাল কি শেষ?”

অভীক ভাবলো প্রেমা রাগ হবে। কিন্তু প্রেমা রাগ হলোনা, মোটেও রাগ হলোনা। রাগের পরিবর্তে প্রেমার চেহারায় দেখা গেলো এক পৈশা’চিক হাসি। মুঠোফোন বাড়িয়ে ধরলো অভীকের সামনে।
নিজের সকাল বেলার কাণ্ডকীর্তি ফোনে ক্যাপচার দেখে দমে গেলো অভীক। পাশে তাকিয়ে দেখলো বাবা খেয়ে উঠে গেছে। দাঁত কিড়মিড় করে বলল,

-“হা’লার পুত আসলেই আমার লুঙ্গি চোখে দেখে।”

অন্তিক কৌতুহলের সহিত বলল,
-“দেখি, কি নিয়ে তোরা দুজন ফুসুরফাসুর করছিস।”

প্রেমা চট করে অন্তিকের দিকে ফোন ঘুরিয়ে ধরলো।
অভীকের লুঙ্গির ভেতর তার ফুফাতো ভাইকে দেখে ঘর কাঁপিয়ে হাসলো অন্তিক। টিটকারি করে ছোট ভাইকে বলল,

-“শেষে কিনা ছেলে হয়ে ছেলের সাথেই এরকম একটা কাজ করলি? ছিহ্!”

অভীক কাচুমাচু মুখ করে দাঁতে দাঁত চেপে প্রেমাকে বলল,

-“তুই আসলেই একটা খাইশটা মহিলা।”

প্রেমা বুদ্ধিমানের মতো নিপুনভাবে হাসলো।

আরক্তিম আভা ছড়ানো আকাশ। দিনের শেষ ভাগে এসে রাত্রিকে আপন করে নেওয়ার আয়োজন। ভোরে ওঠা পূর্বের সূর্য পশ্চিমে হেলে পড়লো। রোদের মৃদু আঁচ গাছের কচিপাতায় পড়তেই ঝলমলিয়ে উঠে চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্যের প্রতীক হয়ে ধরা দিলো। ফ্যানের হাতায় ধা’ক্কা লেগে ছোট এক চড়ুইপাখি পায়ের উপর আঁচড়ে পড়লো। অন্তিক ছানাটি বিশাল হাতের তালুতে নিয়ে দেখলো পাখিটি পায়ে ব্যথা পেয়েছে। আফসোসের সুরে চড়ুই পাখির পায়ে আঙ্গুল ছুঁয়ে দিচ্ছে অন্তিক। দরজার কাছে অনেকক্ষণ ধরে পায়চারি করছে প্রেমা। যে কথাটি বলতে এসেছে কিন্তু সাহস করে উঠতে পারছেনা। অন্তিক ভাইয়া কি তার কথা শুনবে? দাঁত দিয়ে নখ কে’টে অবশেষে ঢুকে পড়লো অন্তিকের ঘরে।
কারো উপস্থিতি টের পেয়ে পিছু তাকালো অন্তিক। প্রেমাকে দেখে একগাল হেসে বলল,

-“কিরে, কিছু বলবি?”

প্রেমা আমতা আমতা করে বলল,

-“হ্যাঁ! কিছু বলার আছে।”

-“এত বাহানা না করে যা বলতে এসেছিস বলে ফেল।”

প্রেমা ঠা’স করে বলে দিলো,

-“আমি আর্মিতে জয়েন্ট করতে চাই।”

অন্তিকের হাতে থাকা চড়ুইটি এক্ষুনি পড়ে যেতো। কোনো মতে নিজেকে সামলে নিয়ে বিস্ফোরিত নেত্রে তাকালো অন্তিক। পরোক্ষণে ব্যঙ্গ হেসে বলল,

-“কি বললি? আবার বল তো।”

প্রেমা করুণ চোখে তাকিয়ে বলল,

-“আমি মজা করছিনা ভাইয়া। আমি সিরিয়াস।”

অন্তিক নিজেকে স্বাভাবিক করে বলল,

-“ভালো কথা। কিন্তু এ কথা আমাকে বলছিস কেনো?”

প্রেমা বিষন্ন কন্ঠে বলল,

-“তুমি মাকে বোঝাবে। আর্মিতে জয়েন হওয়ার কথা শুনলেই মা হার্টফেল করবে। মা মনে করে আর্মি ট্রেনিং এ দু’একটা লাঠির বাড়ি খেয়ে আমি ম’রে যাবো।”

অন্তিক এবার সিরিয়াস হলো।
-“তুই পারবি? দেখ, আর্মিতে যোগ দিলে জীবনের মায়া ত্যাগ করতে হবে। দেশের জন্য নিঃস্বার্থ হতে হবে। খালার ধারণা ঠিকই, একটা লাঠির আ’ঘা’তেই তুই ভেউ ভেউ করে কেঁদে উঠবি।”

প্রেমা বিরক্ত হয়ে বলল,

-“দেখো আমি এত কিছু বুঝিনা। আমি আর্মিতে জয়েন করবো আর তুমি মাকে বোঝাবে যে তুমি ওখানে আছো। সুতরাং আমাকে নিয়ে যাতে কোনো চিন্তা না করে।”

অন্তিক ভ্রু নাচিয়ে বলল,
-“আমার লাভ?”

-“কি চাও তুমি?” প্রেমা প্রশ্ন করতেই উঁচানো ভ্রু কুঁচকে ফেললো অন্তিক।

-“ঘু’ষ দিতে চাইছিস?”

হতবিহ্বল চাহনি নিক্ষেপ করে প্রেমা বলল,
-“আশ্চর্য! তুমি নিজেই তো লাভ লোকসান খুঁজলে।”

সরু চোখে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলো অন্তিক। পরক্ষণে বলল,

-“তুই শিওর তো, আর্মিতে যোগ দিবি?”

-“একশবার শিওর।”
প্রেমার উত্তরে অন্তিক ভেবে বলল,

-“আচ্ছা, তুই আরও কিছুদিন এখানে থাক। আমার ছুটি মাত্র কয়েকদিন। যাওয়ার আগে কুমিল্লা গিয়ে খালার সাথে কথা বলে আসবো।”

প্রেমা খুশিতে গদগদ কন্ঠে বলল,
-“তোমার জন্য এককাপ কফি বানিয়ে আনছি।”

অন্তিক নাক সিটকে বলল,
-“দেখিস, তোর নাকের পানি যেনো কফিতে না পড়ে।”

রাগ হলো প্রেমা। কিন্তু কফি বানানো হলোনা। রাগ করে অন্তিকের ঘর ছাড়তেই অভীকের মুখোমুখী হলো।

-“ভূ’তী চল তোকে একটা জায়গায় নিয়ে যাবো।”

প্রেমা ভালো করেই জানে অভীক ও তাকে পঁচানোর প্ল্যান নিয়ে এসেছে। তাই দুপদাপ ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়লো। ছোটবেলায় সবারই নাক দিয়ে পানি গড়ায়। তাই বলে সেই খোঁটা সারাজীবন শুনতে হবে নাকি?
#চলবে…….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here