“আজ বৃষ্টি বিয়ে,গায়ে লাল শাড়ি গা ভড়তি গহনা চোখে কাজল,ঠোটে লাল লিপস্টিক,এতেই যেনো বৃষ্টি কে পুতুলের মতো লাগছে।
কহিনুর বেগম;;বৃষ্টি,বৃষ্টি মা দেখিতো আমার বৃষ্টি মা কে কেমন লাগছে।মাশাআল্লাহ, আমার বৃষ্টি মা কে তো দেখতে আজকে পরীর মতো লাগছে, কারও যেনো নজর না লাগে।
—-কি হয়েছে বৃষ্টি চুপ করে আছিস কেনো, আবার তুই এদিনের কথা মনে করছিস?
বৃষ্টি;;মনে না করলেও মনে পরে যায় মা।এইদিন যদি এই লোকটার সাথে আমার দেখা না হতো তাহলে হয় তো আমাকে ভয়ে ভয়ে থাকতে হতো না।ভিষন ভয় করছে মা,মনটা বার বার কু ডাক দিচ্ছে কিছু তো একটা হবে।
ফ্লশব্যাক,,,,,
সুমাইয়া রহমান বৃষ্টি,দেখতে কোনো অংশে কম না,হাইট ৫’৫ চোখ গুলো হরিণের মতো নাক টা সুরু ঠোটঁ টা হালকা গোলাপী আর চেহারায় সৌন্দয্য বারাতে ঠোটেরঁ নিচে ছোট একটা তিল আছে।
বৃষ্টি;;মা ও মা কোথায় তুমি,আমার তো কলেজের জন্য দেরি হয়ে যাচ্ছে,,,আজকেই কি না খেয়ে কলেজে যেতে হবে।
—-তুই খাবার টেবিলে বসে পর, আমি নাস্তা নিয়ে আসছি(রান্না ঘর থেকে কহিনুর বেগম বলে)।
রায়হান রহমান;;গুড মনিং মাই প্রিন্সেস, ঘুম কি হয়েছে আমার মামুনির।
বৃষ্টি;;গুড মনিং বাবা, হুম ঘুম হয়েছে এখন কলেজে যাবো কিন্তুু দেখোনা মা নাস্তা দিতেই দেরি করছে।
কহিনুর বেগম;;এই তো আমি নাস্তা নিয়ে এসে পরেছি, নে এই বার তারাতারি খাওয়া টা শেষ কর, তিন জনের কথার মাঝেই এমন সময় বাড়ির কলিং বেল টা বেজে উঠে,এতেই বৃষ্টি বুজে যায় তার বেষ্টফ্রেন্ড নীলা আসছে।
নীলা;;বৃষ্টিইইইইই,কিরে তুই কয়টা বাজে সেই খেয়াল আছে, তোর জন্য আজকে ও কলেজ যেতে লেট হবে।
বৃষ্টি;;আরেএ আমার ড্রামাকুইন বেষ্টু, চল এবার কলেজে যাওয়া যাক।বাবা,মা আমি আসি তোমরা সাবধানে থেকো।
রায়হান,কহিনুর;;দুইজনে সাবধানে যেও,,ওকে আঙ্কেল আন্টি বাই।এই বলেই দুইজনেই বের হয়ে যায়।
নীলা;;আজকে দেখিস তোর জন্য রিক্সা পাবো না,,
তিশা;;তো আর কি করার চল হেটে হেটেই কলেজে যাই।দুই জনেই কথা কাটাকাটিতে বৃষ্টি একটা রিক্সা পেয়ে যায়।রিক্সায় করে কলেজে যাওয়ার পথেই দুইজনেই পরলো বিপদে।
হঠ্যাৎ করেই কোথা থেকে যেনো একটালোক এসে তাদের রিক্সার সামনে এসে পরলো।গায়ে রক্ত লেগে আছে,বৃষ্টি নেমে যেই না লোকটা কে ধরতে যাবে ওমনি কিছু কালো কাপড় পরা লোকগুলো এসে সেই লোকটার সামনে দাড়ায়।
—-বৃষ্টি লোকগুলো দেখে ভয় পেয়ে যায়,সে কি করবে না করবে কিছুই বুঝতে পারছে না।
কালো কাপড় পরা লোক গুলা সেই লোকটা কে বললো,ধরা তো পরেই গেলি, এখন তোকে যা করার আমাদের স্যার করবে।
এই কথা টা বলা মাএই কালো রংঙের গাড়ি থেকে একটা লোক বের হয়ে আসে।
—ও হ্যাঁ, আসুন হিরোর সাথে পরিচয়টা করিয়ে দেই—
“মেঘ আহমেদ চৌধুরী,কিন্তুু তার নামের আগে একটা নাম আছে আর সেইটা হলো মেঘ আমেরিকার সবচেয়ে বড় নাম করা একজন মাফিয়া কিং,বড় বড় মাফিয়ারা ও (মেঘের নাম শুনলে ভয় পায়) দেখতে কোনো হিরোর চাইতে কমনা,হাইট ৬’২গায়ের রং উজ্জল ফর্সা চুল গুলা ব্রাউন কালার নাক টা সরু, ঠোঁট গোলাপী আর চোখ হালকা নীল বর্ণের।
মেঘ;;লোকটা সামনে এসে, তোকে আগেই বলে ছিলাম যে আমার সাথে বেইমানি করার ফল কি হতে পারে,এই বলেই মেঘ বাকাঁ হাসি দেই।
—-তখনই লোকটা মেঘের পা ধরে বলে উঠে, স্যার আমাকে মাফ করে দিন আর এমন হবে,, আমি এখানে থেকে অনেক দুরে চলে যাবো প্লিজ স্যার আমাকে কিছু করবে না।।
লোকটার এমন কথা শুনা মাএই সাথে সাথেই মেঘের চেহারার রূপ পালটে যায়,মেঘ কে এখন একটা হিংস্র মানব লাগছে বৃষ্টির কাছে।এমন একটা পরিস্থিতে যে পরে যাবে বৃষ্টি নিজেও কল্পনা ও করতে পারেনি।
—লোক টি বার বার মেঘের কাছে হাত জোর করছে, কিন্তুু মেঘ তার কথা পাওা না দিয়ে সাথে সাথে লোকটা কপাল বরাবর গুলি করে দেয়,এই টা দেখা মাএই বৃষ্টি চোখ বন্ধ করে জোরে চিৎকার দিয়ে উঠে,
—- চিৎকারের শব্দ অনুসরন করতেই বৃষ্টির চেহারা মেঘের চোখে পরে,সেই মুহুতেই বৃষ্টি চোখ খুলেতেই মেঘের চোখে চোখ পরে,মেঘ তো পলকহীন ভাবে বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে আছে(বুকের পা পাশে হাত রেখে মেঘ বলে উঠে)এতো সুন্দর একটা মেয়ে আমি এর আগে কখনই দেখি নি মেয়ে তো নয় যেনো আকাশ থেকে নেমে আসা একটা পরী।
—-বৃষ্টির তো প্রচুর ভয় করছে, এমন এক পরিস্থিতির সামনে তাকে দাড়াতে হবে বৃষ্টি তা কল্পনাও করতে পারিনি।
নীলা;;বৃষ্টি এই বৃষ্টি চল এখান থেকে, তারাতারি চল এখানে আর একমূহুন্ত থাকা যাবে না।নীলা বৃষ্টির হাত ধরে রিক্সায় বসিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দেয়।নীলা তখন বলে উঠে,কি ভয়ঙ্কর রে বাবা এই ভাবে কেউ কাউকে মারতে পারে এই প্রথম দেখলাম, কি নিষ্ঠুর লোকটা দয়া মায়া একটুও নেই।
মেঘ;;রনি,জি স্যার, এই মেয়ে টা পুরো ডিটেলস আমার চাই, কিরে করে কোথায় থাকে পরিবারে কে কে আছে সব আমার চাই ২৪ঘন্টার মধ্যে।
রনি;;জি স্যার, সম্পূণ ডিটেলস পেয়ে যাবেন ২৪ ঘন্টার মধ্যে,এই বলে রনি সেইখান থেকে চলে যায়।
—-রনি যাওয়ার সাথে সাথেই মেঘ সবার উদ্দেশ্য বলে এই লাশ টা কে এমন জায়গায় ফেলবে যেনো কেই খুজে না পায় ওকে,এই বলে মেঘ গাড়িতে বসে চলে যায়।
—-বিশাল বড় গেটের সামনে গাড়ি থামাতেই গার্ডরা এসে গেট টা খুলে দিতেই মেঘ ভিতরে চলে যায়।চারপাশে বিভিন্ন রংঙের ফুল গাছ লাগানো তার মাঝেই বিশাল এক বাড়ি।মেঘ গাড়ি থেকে নেমেই কলিং বেল বাজাতেই এক বয়স্ক মহিলা দাড়ায়,সেই মহিলা কে দেখেই মেঘের মুখে হাসি ফুটে ওঠে,সাথে সাথেই মহিলা কে জড়িয়ে ধরে।
এলিনা খান;;এই তোমার আসার সময় হলো সেই কখন থেকে আমি না খেয়ে বসে আছি?এতো দেরি হলো কেনো দাদু ভাই,যেই না মেঘ কিছু বলতে যাবে ওমনি রনি ফোন করে,মেঘ ফোন টা হাতে নিয়ে রনি নাম দেখেই বাকাঁ হাসি দেয়।
মেঘ;;হুম রনি বলো,,,
রনি;;স্যার, মেয়েটার নাম,রনি মুখে মেয়ে শুনে সাথে সাথেই রেগে গিয়ে বলে মেয়ে নয় ম্যাম বলো।
—-রনি,সরি স্যার ম্যাম
মেঘ;;হুম, এখন ঠিক আছে, এইবার বলো,,,
রনি;;ম্যামের নাম (সুমাইয়া রহমান বৃষ্টি)পরিবার বলতে মা বাবা, ম্যাম ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে পড়াশোনা করে।
—-মেঘ, নাম টা যেনো কি বললে রনি,,,,
“রনি(সুমাইয়া রহমান বৃষ্টি)
মেঘ;;রনির সাথে কথা বলে ফোন টা রেখে,মুচকি হেসে বলে সুমাইয়া রহমান বৃষ্টি,,তোমাকে আমার দরকার বৃষ্টি,তুমি শুধু এই মেঘ আহমেদ চৌধুরীর আর কারোর না,মেঘ এই কথাটা কঠোর ভাবেই বলে উঠে,তুমি চাইলেই আমার না চাইলেও আমার।
✨✨
এইসব কথা ভাবতে ভাবতেই হঠ্যাৎ করে কতো গুলা গুলি শব্দ শুনে বৃষ্টি ভাবনা জগৎ থেকে ফিরে আসে,,রুম থেকে বের হয়ে চোখের সামনে যাকে দেখে, তাকে দেখা মাএই বৃষ্টির শরীর কাপতে থাকে,,,,,
চলবে,,,(ইনশাল্লাহ)
(আসসালামু ওয়ালাইকুম,
ভাইয়ারা/আপুরা,আমি কোনো গল্প লেখিকা, আমি ভালো একজন গল্প পাঠিকা,আমি সব লেখক/লেখিকাদের গল্প পড়তে ভালোবাসি।তাদের গল্প পড়ে কিছু আইডিয়া নিয়ে নিজের মতো করে লিখে অনুগল্প পোষ্ট করেছি।অনেক কাছে আমার অনুগল্প ভালো লেগেছে।তাই আজকে একটা ধারাবাহিক গল্প দেয়ার ইচ্ছে হলো তাই মনে যা আসছে তাই লিখেছি,, জানি না কতো টুকু ভালো লাগবে আপনাদের কাছে,,,আপাদের সবার সাপোর্ট পেলে গল্প লিখবো তা না হলে এখনেই লিখা বন্ধ করে দিবো)
কি লিখেছি নিজেও জানি না।ভুল হলে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
#পর্বঃ ১
#তুমি শুধু আমার
#লেখিকাঃমোনালিসা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here