#নিষিদ্ধ_বরণ
#রোকসানা_রাহমান
পর্ব (১)
পরিণতির আগ মুহূর্তে,
কনে রুমের ভারী পর্দা সরিয়ে হুড়মুড়ে ভেতরে ঢুকল মাহদী। চঞ্চল চোখদুটো স্থির হলো নিহিতার উপর। সে বধূ সাজে বিছানার মাঝে বসে আছে। নিহিতার মা আসমা রহমানসহ বেশ কয়েক জন বয়োজ্যেষ্ঠ মহিলা ও তরুনীকে উপেক্ষা করে ব্যাকুল কণ্ঠে ডাকল,
” নিহিতা? ”
সাথে সাথে কয়েক জোড়া বিস্মিত দৃষ্টি এসে পড়ল মাহদীর উপর। পর মুহূর্তে অপ্রতিভ হয়ে পড়ল সকলে। ব্যস্ত হয়ে গেল নিজেদের সামলাতে। কেউ মাথার ওড়নাটা টেনে নিল, কেউ বোরকার নিচের অংশ টেনে পা ঢাকল, কেউ খুলে রাখা হাতমোজা পরল, আবার কেউ মুখে নেকাব পরল। শুধু আসমা রহমান আগের ন্যায় বিস্ফারিত নেত্রে চেয়ে থাকলেন। এই সময়, এই রুমে মাহদীর উপস্থিত তার নিকট যেন অবিশ্বাস্য!
সেই সময় নিহিতা বলল,
” তুমি এখানে? ”
মেয়ের কণ্ঠে আসমা রহমানের ঘোর কাটল। ঘাড় বাঁকাতে দেখলেন নিহিতা তার পেছনে দাঁড়িয়ে আছে। তিনি চট করে মাথার উপরে তোলা শামিয়ানাটা মুখের উপরে ফেললেন। মেয়েকে আড়াল করে মাহদীর উদ্দেশ্যে বললেন,
” তোমাদের বসার ব্যবস্থা তো বসার রুমে করা হয়েছে,মাহদী। এখানে কী করছ? তুমি জানো না এই ভেতরের রুমে পুরুষদের প্রবেশ নিষেধ? ”
মাহদী মাথা নিচু করে বলল,
” নিহিতার সাথে একটু কথা ছিল, আম্মা। ”
আসমা রহমান সন্দেহি চোখে তাকালেন। কাল রাতে হুট করেই মাহদী বিয়ে করার ইচ্ছে প্রকাশ করে। নিহিতারও পূর্ণ মত ছিল। তাহলে হঠাৎ কী হলো? কনে রুমে কাজীর বদলে বরের পোশাক পরে মাহদী এলো কেন? এক অজানা আশঙ্কা আঁচড় কাটল আসমা রহমানের অন্তরে। তাকে ভাবনায় রেখে পাশ কাটিয়ে নিহিতার মুখোমুখি দাঁড়াল মাহদী। শামিয়ানার পাতলা আস্তরে ঢাকা পড়া মুখটায় এক ঝলক চেয়ে আচমকা জড়িয়ে ধরল নিহিতাকে। মাহদীর বুকের স্পর্শে অনুভূতি হারিয়ে বরফের মতো জমে গেল নিহিতা। মুহূর্তকালের জন্য বুঝি পৃথিবীর জাগতিক নিয়ম ভুলে গেল। যে মানুষটার চোখে পড়ার জন্য উন্মাদ ছিল। সেই মানুষটা আজ তাকে জড়িয়ে ধরেছে? তাও বিয়ের আগে। এ যে অবিশ্বাস্য! কল্পনার বাইরে, ভাবনার বাইরে। সে স্বপ্ন দেখছে না তো?
নিহিতা বাস্তব- অবাস্তব ভুলে দুই হাতে মাহদীর পিঠ আঁকড়ে ধরল। এই সুযোগ সে কিছুতেই হারাতে চায় না। হোক তা স্বপ্ন কিংবা বাস্তব! ঠিক সে সময় মাহদী নিচু স্বরে বলল,
” তোমার মতো আমি ধার্মিক শিক্ষায় বড় হইনি, ধর্মজ্ঞানও খুব একটা নেই। তবে কিছু দিন আগে কোথাও একটা পড়েছিলাম। আল্লাহ তার বান্দাকে তাঁর চেয়ে অধিক অন্য কাউকে ভালোবাসতে নিষেধ করেছেন। তবুও তুমি বেসেছ। এর ফলাফল কী হতে পারে, নিহিতা? ”
নিহিতা উত্তর দিতে পারল না। টের পেল তার চোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে!
_________________
#সূচনা
আশ্বিনের রৌদ্রছায়ার লুকোচুড়ি দেখতে জানালার কাচ নামাল মন। চলন্ত গাড়ির ভেতরে বসে মাথা গলিয়ে দিল খোলা জানালায়। আকাশের দিকে চেয়ে থেকে বাবার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রাখল,
” আমরা কোথায় যাচ্ছি, বাবা? ”
মাহদী উদাস মনে কিছু একটা ভাবছিল। ছেলের কণ্ঠে ভাবনা হারিয়ে উদাসতা ভেঙে গেল। মনের দিকে তাকিয়ে হেসে বলল,
” তোমার নানাবাড়ি। ”
মন আকাশের থেকে চোখ ফিরিয়ে নিল। জানালা থেকে সরে এসে বাবার দিকে তাকাল। চোখ দুটো বড় বড় করে বলল,
” নানাবাড়ি! সত্যি? ”
মনের কণ্ঠে আকাশ মাপের বিস্ময়। স্বচ্ছ আয়নার উপর রোদের আলো পড়লে যেমন ঝিলিক দেয় মনের চোখের তারা দুটোও তেমন ঝিলিক দিচ্ছে। ছেলের আনন্দে মাহদীর ভেতরটাও আনন্দের জোয়ার বয়ছে। মনকে কাছে টেনে নিয়ে বলল,
” বাবা কি মনকে কখনও মিথ্যে বলেছে? ”
মন দ্রুত দু’পাশে মাথা নাড়ল। আনন্দে গলে গিয়ে মাহদীর বুকে পড়ে রইল। ছেলের এমন সীমাহীন আনন্দে খুব একটা আশ্চর্য হলো না মাহদী। জন্মের পর থেকে নানা-নানিকে ভিডিও কলেই দেখেছে মন। মাঝে মাঝে নানা বাড়ি যাওয়ার বায়না ধরলেও মাহদী নিয়ে যায়নি। আশ্চর্য হলেও সত্য মনের নানা-নানিও কখনও নাতিকে দেখতে ঢাকা আসেনি। কাল মন ছয় বছরে পড়বে। ষষ্ঠ বছরের শুরুটা নাহয় নানা-নানির আদর, ভালোবাসায় মাখামাখি হোক!
ছুটে চলা গাড়ি হঠাৎ থেমে গেলে মন আপ্লুত স্বরে সুধাল,
” বাবা, আমরা কি চলে এসেছি? ”
মাহদী সাথে সাথে উত্তর দিল না। নিজে গাড়ি থেকে নেমে মনের পাশের দরজাটা খুলে বলল,
” না, বাবা। ”
” তাহলে এখানে নামলাম কেন? ”
মাহদী ড্রাইভারকে বিদেয় করে বলল,
” ট্রেনে চড়ব বলে। ”
” ট্রেন? নানাবাড়ি যেতে ট্রেনে চড়তে হয়,বাবা? ”
ছেলের কৌতূহল ভরা মুখের দিকে চেয়ে মাহদী হেসে ফেলল। কমলাপুর রেলস্টেশনের ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে বলল,
” ট্রেন, বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি সবকিছুতে চড়েই যাওয়া যায়। কিন্তু আমরা ট্রেনে করে যাব। ”
” কেন? ”
মাহদী থেমে গেল। কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল,
” তোমার আম্মুর সাথে আমার প্রথম দেখা রেলস্টেশনে হয়েছিল তাই। ”
মনের মুখের আনন্দের উজ্জ্বল আভা হারিয়ে গেল। চোখ, মুখ ম্লান হয়ে আসতে মাহদী বলল,
” তুই বস, আমি টিকেট নিয়ে আসছি। খবরদার নড়বি না। ”
মন মাথা একপাশে কাত করে সম্মতি দিলে মাহদী টিকেট কাটতে চলে যায়। নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন এসে থামলে বাবা-ছেলে নিজ সিটে গিয়ে বসে। কিছুক্ষণের মধ্যে হুইসেল বাজিয়ে ঝকঝক ছন্দ তুলে জানিয়ে দেয় ট্রেন চলছে। মন জানালার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বাবার কাছ ঘেষে বসল। আহ্লাদী সুরে বলল,
” বাবা, মায়ের গল্প শুনব। ”
মাহদী ছেলেকে এক হাতে জড়িয়ে নেয়। সময় নষ্ট না করে দ্রুত স্মৃতির পাতা উল্টাতে থাকে। ছয় বছর পূর্বের এক রৌদ্রজ্জ্বল সকালে এসে থমকায়। মাহদী তখন চব্বিশ বছরের হৃষ্টপুষ্ট যুবক। আইটি ট্রেনিংয়ের কোর্স শেষ করে চাকরিতে ঢুকেছে সবে। এর মধ্যেই কলেজের ঘনিষ্ঠ বন্ধু শিহাবের বিয়ের দাওয়াত রক্ষার্থে দিনাজপুর আসে। কথা ছিল এক দিন থেকে পরের দিন চলে যাবে। কথামতো চলে আসার জন্য গোছগাছ করতে শুনে তিন দিনের হরতাল ডেকেছে বিপক্ষ দল। রাস্তায় দূরযাত্রা গাড়ি তো দূর মিনিবাসও চলছে না। মাহদীর মাথা গরম হয়ে গেল। বন্ধুকে যা নয় তা বলে অপমান করতে শুরু করে। কয়েকটা নোংরা গালি উগলে দিলে শিহাব অনুরোধের সুরে বলল,
” তুই একটু শান্ত হ। আমি রেল স্টেশন থেকে খোঁজ নিয়ে দেখি ট্রেন চলছে নাকি। ”
মাহদী কিছুক্ষণের জন্য দম নিল। শিহাব ফোন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। নানান জায়গায় কল দিয়ে কথা বলে জানাল ট্রেন চলছে। মাহদী খুশি হলো না। রাগও দেখাল না। কটমট চোখে রাস্তায় বের হয়ে আসল।
স্টেশনের ভেতরে ঢুকে এক প্যাকেট সিগারেট কিনল শিহাব। একটাতে আগুন ধরিয়ে বাকিগুলো মাহদীর পকেটে ভরে দিল। জ্বলন্ত সিগারেট ওর মুখে গুঁজে দিয়ে বলল,
” মাথা ঠান্ডা কর, আমি টিকেটের ব্যবস্থা করছি। ”
শিহাবের অপেক্ষা করতে করতে মাহদীর সিগারেট ফুরিয়ে এসেছে। নতুন আরেকটা ধরিয়ে ছোট্ট বেঞ্চটায় বসল। সময় কাটাতে কোলের উপর ল্যাপটপ খুলে নিয়ে জমে থাকা ই-মেইল চেক করতে শুরু করে।
শিহাব ফিরল প্রায় আধ ঘন্টা পর। কাঁচুমাচু ভঙ্গিতে বলল,
” দোস্ত, তোর বোধ হয় আজকে যাওয়া হবে না। ”
মাহদী ল্যাপটপ থেকে চোখ তুলে জিজ্ঞেসা দৃটি রাখল। শিহাব ক্ষীণ স্বরে বলল,
” টিকেট নেই। কাউন্টার বন্ধ। আমি আশেপাশে অনেক্ষণ ঘুরলাম। যদি এক্সট্রা টিকেট…”
কথাটা শেষ হওয়ার পূর্বেই ল্যাপটপ আছাড় মারল মাহদী। শিহাবের কলার চেপে ধরে কয়েকটা বাজে গালি দিল। অতঃপর নাকে ভারী ঘুষি মারতে দূরে ছিটকে পড়ল শিহাব। আরেকটু হলে রেল লাইনে গিয়ে পড়ত। এতেও যেন মাহদীর রাগ কমল না। বরঞ্চ বেড়েই চলছে। আশেপাশে কিছু খুঁজে না পেয়ে ভাঙা ল্যাপটপ তুলে শিহাবের দিকে ছুঁড়ে মারল। রাগে ফোঁসফোঁস করতে করতে পরনের শার্টের দুটো বোতাম খুলে ফেলল। টঙের দোকানের বেঞ্চটা উঁচু করার জন্য উদ্যত হতে একটা মেয়ে এসে চটপটে বলল,
” আপু এটা আপনাকে দিতে বলেছে। ”
মাহদী রাগ চোখে মেয়েটির দিকে তাকাল। বয়স বারো কী তেরো। আগাগোড়া কালো বোরকায় মোড়া। কাঁধে স্কুলের ব্যাগ। ভ্রু কুঁচকে মেয়েটির হাত থেকে কাগজটি নিল। ভাঁজ খুলতে এগার সংখ্যার একটি ফোন নাম্বার দেখে চোখ বন্ধ করে ফেলল। কয়েক সেকেন্ড চুপ থেকে সহজ স্বরে জিজ্ঞেস করল,
” তোমার নাম কী? ”
” নিহিতা। ”
“তোমার আপুর নাম কী? ”
” নায়রা। ”
মাহদী দাঁত চিবিয়ে বলল,
” নিহিতা যাও, নায়রাকে ডেকে নিয়ে আসো। ”
নিহিতা আর এক মুহূর্তের জন্যও দাঁড়াল না। ছুটে গেল তার আপুর কাছে। হাতে ধরে টেনে নিয়ে আসল মাহদীর নিকটে। মাহদী চুপচাপ নায়রার আপাদমস্তক দেখল। নিহিতার মতো সেও কালো বোরকা সাথে হাতে-পায়ে মোজা পরে আছে। মাহদী সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে জিজ্ঞেস করল,
” তুমি নায়রা? ”
দ্বিতীয় মেয়েটি মুখে উত্তর না দিয়ে মাথা উপর-নীচ করল। মাহদী কয়েক সেকেন্ড চুপ থেকে বলল,
” এই কাগজটা তুমি পাঠিয়েছ? ”
নায়রা এবারও মাথা উপর-নীচ করলে মাহদী হাতের সিগারেট ফেলে দিল। পা দিয়ে পিষে বলল,
” আমি তোমার কাছে নাম্বার চেয়েছি? ”
নায়রা মাথা দু’দিকে নাড়াতেই ওর গালে সশব্দের চড় বসিয়ে দিল মাহদী। চিৎকার করে বলল,
” তাহলে দিলি কেন? তোর কি মনে হয়, তুই নাম্বার দিলেই আমি তোকে কল দেব? প্রেম করব? ডেট করব? চুমু খাব? ফ্ল্যাটে ডেকে নিয়ে..”
বিরতিহীন কথাগুলো বলতে বলতে আরেকটা চড় বসাতে চাইল মাহদী। পারল না। তার আগেই শিহাব ওর হাত চেপে ধরে। দুজনের দস্তাদস্তির মধ্যে নিহিতা বলল,
” ওটা আপুর নাম্বার না। ”
মাহদী ক্রোধান্বিত চোখে তাকালে নিহিতা কাঁদতে কাঁদতে বলল,
” ওটা আমার বাবার নাম্বার। ”
মাহদী শিহাবের বাঁধনে থেকে জিজ্ঞেস করল,
” বাবার নাম্বার দিয়ে আমি কী করব? ”
নিহিতা উত্তর দিতে পারল না। ওর মুখ চেপে ধরে নায়রা বলল,
” ট্রেন চলে এসেছে। বাবাকে খাবারটা পৌঁছে দিতে হবে চল। ”
মুহূর্তের মধ্যে নায়রা আর নিহিতা মাহদীর চোখের আড়াল হয়ে গেল।
” মন, উঠ বাবা। আমরা চলে এসেছি। ”
মন ঘুম থেকে লাফিয়ে উঠল। চারপাশে চোখ বুলিয়ে বলল,
” নানাবাড়ি চলে এসেছি? ”
” এখনও না। কিন্তু কাছাকাছি। ”
মন ট্রেন থেকে নেমে অধৈর্য্য স্বরে বলল,
” নানাবাড়ি এত দূর কেন, বাবা? ”
মাহদী উত্তর দিল না। গভীর নিশ্বাস টেনে বলল,
” আমি তোর মায়ের গন্ধ পাচ্ছি। তুই পাচ্ছিস? ”
মন বাবার দিকে তাকাল। তাকে অনুকরণ করে সেও গাঢ় নিশ্বাস টেনে বলল,
” হ্যাঁ। আমিও পাচ্ছি। ”
মাহদী ছেলের দিকে তাকাল। হাঁটু গেড়ে বসে বলল,
” মিথ্যে বলছিস? ”
মন মাথা হেঁট করে বলল,
” হ্যাঁ। ”
“কেন? ”
” আমার মনে হয়েছে সত্যি বললে তুমি কষ্ট পাবে৷ ”
” আর যদি বলি মিথ্যে বলাই আমি দ্বিগুন কষ্ট পেয়েছি? ”
মন চুপ করে থাকলে মাহদী বলল,
” মিথ্যে বলে কাউকে খুশি করতে হয় না, বাবা। তোমার মা এটা পছন্দ করে না। আমিও না। ”
মন এবারও চুপ থাকলে মাহদী বলল,
” আরেকজনও মিথ্যা বলা পছন্দ করে না। বলো তো কে? ”
এ পর্যায়ে মন মাথা তুলল। বলল,
” আল্লাহ। ”
মাহদী হালকা হাসল। মনেরও মন খারাপ চলে গেল। সামনের একটি টঙের দোকানের বেঞ্চে মনকে বসিয়ে দোকানির দিকে তাকাল। কিছু বলার আগেই লোকটি এক প্যাকেট সিগারেট এগিয়ে দিল। মাহদী অবাক হলো। পর মুহূর্তে মৃদু হাসল। সিগারেটের প্যাকেট ফিরিয়ে বলল,
” কেমন আছেন, রশিদ কাকা? ”
রশিদ কাকাও হাসি ফিরিয়ে দিলেন। কুশল বিনিময়ের মধ্যে মনের জন্য জুস আর কেক নিল মাহদী। মানিব্যাগ বের করে টাকা দিতে গিয়ে একটি কাগজে চোখ পড়ে। যার একপাশে একটি নাম্বার লেখা ও অন্য পাশে লেখা, ‘মাত্রাতিরিক্ত রাগ শুধু বোধশক্তিই নষ্ট করে না, সাথে সম্পর্কে চিঁড় ধরায় ও প্রিয় মানুষগুলোকে দূরে সরিয়ে রাখে। ‘
চলবে