তুমি_আমারই_রবে
পর্ব_১৬
#Nishat_Jahan_Raat (ছদ্মনাম)
“তাড়াতাড়ি খবারটা শেষ করুন। হাতে খেলে বেশি তৃপ্তি পাবেন।”
চামচটা পাশে রেখে আমি বিরিয়ানীর লোকমা ধরে উনার দিকে তাকালাম। উনি এক ভ্রু উঁচিয়ে বললেন,,,
“লোকমাটা একটু বড় করে ধরুন। মনে হচ্ছে একটা পাঁচ থেকে ছয় বছরের বাচ্চা মেয়ে লোকমা ধরেছে। মায়ের হাত ছাড়া বড় লোকমা খেতেই পারে না!”
আমি মুখটা হালকা কালো করে বললাম,,
“আমি এভাবেই খেতে অভ্যস্ত। হিমু হাজার রাগালে ও আমি আমার অভ্যেস চেইন্জ্ঞ করতে পারি নি।”
“হু ইজ হিমু রূপা? হিমু নামটা আপনার মুখে এই নিয়ে দুবার শুনলাম৷ কে বলুন তো এই হিমু?”
থতমত খেয়ে আমি কিছু বলার আগেই লামিয়া আমার হাত চেঁপে ধরে হালকা হেসে মিঃ মেহুলকে বললেন,,,
“আসলে হিমু আমাদের একজন ফ্রেন্ড ছিলেন মিঃ মেহুল। তাই হয়তো রূপার মুখ ফসকে বার বার হিমু নামটা বের হয়ে যায়।”
মিঃ মেহুল বেশ আগ্রহ নিয়ে হালকা হেসে বললেন,,,
“বাঃহ্ খুব ভালো তো। হিমু এখন কোথায়? একদিন পরিচয় করিয়ে দিবেন?”
লামিয়া কিছু বলার আগেই আমি শক্ত কন্ঠে বললাম,,,
“মিঃ হিমুর সাথে আমাদের ফ্রেন্ডশীপটা অনেক আগেই ভেঙ্গে গেছে। এখন উনার সাথে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই।”
উনি হঠাৎ হেসে বললেন,,,
“ফ্রেন্ডকে মিঃ বলতে এই প্রথম শুনলাম রূপা! বিলিভ মি এর আগে কখনো শুনি নি।”
আমি নিচের দিকে তাকিয়ে বললাম,,,
“মায়া যখন শেষ হয়ে যায় তখন বন্ধুত্বটা ও হারিয়ে যায়। চির অপরিচিত হয়ে যায়। আর অপরিচিত মানুষদের আমি মিঃ বলতে পছন্দ করি। তাই হিমুকে ও মিঃ বলে ডাকা।”
“এতো ক্ষোভ হিমুর উপর? চোখে, মুখে রাগের ছাপ ফুটে উঠেছে আপনার।”
“কথা না বলে আমরা তাড়াতাড়ি খাবারটা শেষ করি। বাড়ি ফিরতে হবে।”
লামিয়া খাওয়ায় মনযোগ দিলো। আমি ও লোকমা ধরে মাথা নিঁচু করে খেয়ে চলছি। মিঃ মেহুলের দিকে তাকানোর প্রয়োজন মনে করছি না। কি জানি উনি হয়তো আমার কথায় মাউন্ড ও করেছেন। তাই প্রতিউত্তরে কিছু বলেন নি। মাইন্ড করলে ও এখানে আমার কিছু করার নেই। উনার উচিত হয় নি কথার মাঝখানে হিমুকে নিয়ে এতো কৌতুহল প্রকাশ করা! হিমু নাথিং। রূপার জীবনে হিমু নাথিং!
খাওয়া দাওয়া শেষে মিঃ মেহুল রেস্টুরেন্টের বিল মিটিয়ে সবাইকে নিয়ে বাইরে এলেন। লামিয়া, নীলা, মিঃ লাবিব এবং মিঃ হৃদয় একসাথে হেঁটে মেইন রাস্তায় উঠছেন। চারজনই নানা ধরনের কথা বলছেন আর হাসছেন। আমি ওদের পিছু পিছু হাঁটছি। সামনে, পিছনে কোথাও মিঃ মেহুল নেই। হঠাৎ পেছন থেকে লোকটা কোথায় গায়েব হয়ে গেলেন বুঝতে পারছি না। কিছুক্ষণ আগে ও তো উনাকে আমার পেছনে দেখেছি। আচ্ছা লোকটা আমার সাথে আবার রাগ করেন নি তো? মানে রাগ করে ও তো আমাদের রেখে চলে যেতে পারেন! টেনশান+ভয় দুটোই আমার মনের মধ্যে কাজ করছে। আমি কখনো চাই নি, আমার কথায় কেউ হার্ট হোক, কষ্ট পাক, বা রাগ করুক।
দুপুরের কড়া রোদটা খুব গাঁয়ে লাগছে আমার। সমস্ত গাঁ টা রোদে মরিচের মতো জ্বলছে, পিঠ থেকে টপটপ করে ঘাম পড়ছে, পা গুলো ও ধরে আসছে, মনের মধ্যে ও মিঃ মেহুলকে নিয়ে খুটখুট কাজ করছে। এছাড়া ও খাওয়ার পর এতো হাঁটাহাঁটি আমার পছন্দ না। খেয়েই আমাকে শুয়ে পড়তে না হয় এক জায়গায় বসে থাকতে হয়। গরমে পেরেশান হয়ে আমি খোলা চুল গুলো গুটিয়ে খোঁপা করে নিলাম। অমনি পেছন থেকে মিঃ মেহুলের গলার আওয়াজ এলো। উনি পেছন থেকে আমাকে ডেকে বলছেন,,,
“রূপা দাঁড়ান।”
আমি তাড়াহুড়ো করে পিছু ফিরে তাকালাম। মিঃ মেহুল হাতে করে দুটো কোণ আইসক্রীম নিয়ে আসছেন। ঘেমে নেয়ে উনার অবস্থা আমার চেয়ে ও খারাপ। মৃদ্যু হেসে উনি খানিক দৌঁড়ে এসে আমার পাশাপাশি দাঁড়ালেন আর আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,,,
“রূপা তাড়াতাড়ি ঘোমটা টা মাথায় দিন৷ আজ এত্তো রোদ পড়েছে। আমি নিজেই আইসক্রীমের মতো গলে যাচ্ছি। আপনার হয়তো আমার চেয়ে ও খারাপ লাগছে।”
উনার কথাকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে আমি বেশ সিরিয়াস হয়ে উনাকে বললাম,,,
“এতোক্ষন কোথায় ছিলেন আপনি?”
“তার মানে আপনি আমাকে খুঁজেছিলেন?”
কিছু বললাম না আমি। উনি বাঁকা হেসে আবার বললেন,,,
“নিশ্চয়ই খুব টেনশানে ও পড়ে গিয়েছিলেন?”
“স্বাভাবিক। আমার পেছন থেকে একজন জলজ্যান্ত মানুষ দিন দুপুরে হুট করেই হাওয়া হয়ে গেলো আমার তাতে টেনশান হবে না?”
“নিশ্চয়ই হবে। যদি মানুষটা আপনার কাছের কেউ হয় তো! তা আমি কি আপনার কাছের কেউ?”
উনাকে উপেক্ষা করে সোজা সামনে হাঁটা ধরলাম আমি। উনি আমার পাশাপাশি হাঁটছেন আর বলছেন,,,
“কাছের মানুষ বলতে আমি “ফ্রেন্ড” বুঝিয়েছি রূপা। আমি কি আপনার ফ্রেন্ড নই?”
“ফ্রেন্ড হিসেবে হলে ও আপনি বলে যেতে পারতেন আপনি কোথায় যাচ্ছেন।”
উনি গরমে বেশ পেরেশান হয়ে শার্টের কলারটাকে পেছনের দিকে হেলিয়ে বললেন,,,
“আইসক্রীম পার্লারে গিয়েছিলাম রূপা৷ ভাবলাম হঠাৎ আপনার ফেভারিট আইসক্রীম এনে আপনাকে অবাক করে দেবো। তাই বলা হয় নি।”
“আমি মোটে ও অবাক হয় নি।”
“সত্যিই হন নি?”
“না হই নি। তাছাড়া আমি আপনাকে বলি ও নি আইসক্রীম খাবো! আগ বাড়িয়ে আনতে গেলেন কেনো?”
“সব কথা এক্সপ্লেইন করে বলতে হবে কেনো রূপা? ফ্রেন্ড হওয়ার খাতিরে আমি আপনার মনের কথা পড়তেই পারি। আগ বাড়িয়ে আপনার জন্য কিছু আনতে ও পারি।”
আমার থেকে কোনো প্রতি উত্তর না পেয়ে উনি হঠাৎ আমার সামনে এসে দাঁড়িয়ে পড়লেন। আর আইসক্রীম দুটো আমার দিকে এগিয়ে বললেন,,,
“আইসক্রীম গুলো খেয়ে মাথাটা ঠান্ডা করুন রূপা। গরমের সাথে সাথে আপনি ও গরম হয়ে গেছেন।”
“আমার মাথা যথেষ্ট ঠান্ডা আছে মিঃ মেহুল। প্লিজ সামনে থেকে সরুন। বাড়ি যেতে হবে আমার।”
“আমি জানি আপনার এখন শুতে হবে না হয় একটু বসতে হবে। তারপরে ও বলছি আইসক্রীম গুলো খান। একটু হলে ও ঠান্ডা হবেন।”
“আপনি জানলেন কিভাবে খাওয়ার পর আমার শুতে হয় না হয় বসতে হয়?”
“এখানে জানার কি আছে রূপা? খাওয়ার পর মানুষ সাধারনত শুতে বা বসতে পছন্দ করে। বিশেষ করে মেয়েরা। আপনি নিশ্চয়ই এর ব্যতিক্রম হবেন না।”
আমি তাড়াহুড়ো করে উনার হাত থেকে আইসক্রীম দুটো ছিনিয়ে নিয়ে দুটো আইসক্রীম ই একসাথে খুলে গপাগপ বাইট বসাতে লাগলাম। আসলেই গরমে আমার মাথা রাগে ফেঁটে যাচ্ছে। তাই অকারণে মিঃ মেহুলকে ও বিরক্ত লাগছে। আসইক্রীম দুটো আমি খুব তৃপ্তি খাচ্ছি আর মিঃ মেহুলকে বলছি,,,
“আচ্ছা আপনি কিভাবে জানলেন চকলেট ফ্লেভার আমার পছন্দ?”
“ঐ যে, আমার বেশিরভাগ মেয়ে ফ্রেন্ডরা চকলেট ফ্লেভার পছন্দ করে তাই আমি ও আপনার জন্য অনুমান করে চকলেট ফ্লেভার নিয়ে এলাম।”
“বাপরে! আপনার এত্তো মেয়ে ফ্রেন্ড?”
উনি কিছুটা আমতা আমতা করে পেছনের চুল গুলো টেনে বললেন,,,
“ঐ আর কি। যখন আমেরিকায় ছিলাম, তখন কয়েকটা মেয়ে ফ্রেন্ড হয়েছিলো। এখন তাদের সাথে কোনো যোগাযোগ নেই।”
“যোগাযোগ নেই কেনো? অবশ্যই যোগাযোগ রাখবেন। ফ্রেন্ডদের সাথে হুট করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া ঠিক নয়।”
“আপনি ও তো হিমুর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন রূপা! হিমু ও তো আপনার ফ্রেন্ড ছিলো। হয়তো বেস্ট ফ্রেন্ড ও ছিলো।”
আইসক্রীমে বাইট দিতে গিয়ে ও আমি থেমে গেলাম। উনার দিকে তাকাতেই উনি মলিন হেসে বললেন,,,
“পার্কের সামনের গ্যারেজটাকে আমার গাড়িটা পার্ক করা আছে। তাড়াতাড়ি চলুন। বাড়ি পৌঁছে আপনাকে রেস্ট নিতে হবে!”
মিঃ মেহুল দ্রুত পায়ে হেঁটে সামনে এগিয়ে গেলেন। আইসক্রীম গুলো হাত থেকে ফেলে দিয়ে আমি নির্বিকার হয়ে উনার পিছু পিছু হাঁটছি। উনি অবশ্য ভুল কিছু বলেন নি। হিমু সত্যিই আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ছিলেন। আমি চাই নি ইচ্ছে করে উনার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করতে। উনিই যোগাযোগ করার সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। যা আমি আপনাকে মুখ ফুটে বলতে পারব না মিঃ মেহুল।
গাড়িতে বসে আছি সবাই। আমি, লামিয়া এবং নীলা ব্যাক সিটে বসেছি। ড্রাইভিং সিটে বসে মিঃ মেহুল ড্রাইভিং করছেন। মিঃ হৃদয় এবং মিঃ লাবিব আমাদের থেকে বিদায় নিয়ে উনাদের গাড়ি নিয়ে বের হয়ে গেছেন। সিটে হেলান দিয়ে চোখ বুজে বসে আছি আমি। বাড়িতে পৌঁছেই খুব লম্বা একটা ঘুম দিতে হবে। তাহলে হয়তো হিমুকে মাথা থেকে একটু হলে ও দৌঁড়াতে পারব। মিঃ মেহুল আসার পর থেকে হিমুকে প্রতিটা ক্ষনে ক্ষনে মিস করছি। মিঃ মেহুল সকাল থেকে এমন সব কথা বলছেন, যার প্রত্যেকটি কথা কোথাও না কোথাও হিমুর সাথে মিলে যাচ্ছে!
কিছুক্ষনের মধ্যে গাড়ি এসে আমাদের বাড়ির ভেতর ঢুকে গেলো। গাড়িটা পার্কিং এরিয়ায় পার্ক করে দিলেন মিঃ মেহুল৷ এক এক করে সবাই গাড়ি থেকে নেমে পড়লাম। মিঃ মেহুল ও আমাদের পিছু পিছু নেমে পড়লেন। ফ্ল্যাটের দিকে অগ্রসর হতেই মিঃ মেহুল আমাকে পেছন থেকে ডেকে বললেন,,,
“রূপা শুনুন?”
আমি পিছু ঘুড়ে তাকাতেই উনি হালকা হেসে বললেন,,,
“আজকের দিনটা আসলেই খুব সুন্দর ছিলো রূপা। মন থেকে প্রতিটা মুহূর্তকে খুব এন্জ্ঞয় করেছি। সব কিছুর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ রূপা।”
“ধন্যবাদ তো আপনাকে দেওয়া উচিত মিঃ মেহুল৷ আপনার জন্যই আজ লামিয়ার জন্মদিনটা এত্তো ভালোভাবে সেলিব্রেট করা হলো! আপনার মতো আমরা ও খুব এন্জ্ঞয় করেছি।”
উনি আমার দিকে কিছুটা এগিয়ে এসে অদ্ভুত দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,,,
“আপনি সত্যিই আমাকে মন থেকে ফ্রেন্ড হিসেবে মানেন তো রূপা?”
“এতগুলো সময়ে ও বুঝতে পারেন নি?”
“যদি আমাকে সত্যিই ফ্রেন্ড হিসেবে মেনে থাকেন, তাহলে একটা রিকুয়েস্ট করলে রাখবেন?”
“রাখার মতো হলে অবশ্যই রাখব!”
“আমি আপনার মুখ থেকে শুধু মেহুল নামটা শুনতে চাই। অনলি মেহুল। মিঃ বাদ দিয়ে।”
“কেনো বলুন তো? মিঃ এ কি প্রবলেম?”
“মিঃ বললে খুব দূরের লাগে৷ কাছের মনে হয় না! মনে হয় আপনি ও আমাকে হিমুর মতো দূরে ঠেলে দিবেন!”
আমি মাথাটা নিচু করে বললাম,,,
“আমি চেষ্টা করব।”
“আর একটা কথা!”
“কি?”
“মাথা তুলুন। এরপর বলছি।”
আমি মাথা তুলে উনার দিকে তাকালাম। উনি মলিন হেসে বললেন,,,
“আমি আপনাকে তুমি করে বলতে পারি?”
“আপনি ডাক টা ও কি দূরের মনে হয়?”
“শুধু দূরের না অতি দূরের মনে হয়!”
“তবে একটাই রিকুয়েস্ট আমি আপনাকে তুমি বলতে পারব না!”
“চলবে! যখন আমরা ফ্রেন্ড থেকে বেস্ট ফ্রেন্ড হবো তখন না হয় অধিকার খাটিয়ে “তোমার” মুখ থেকে “তুমি” শব্দটা বের করব।”
“সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। হয়তো এক যুগ কেটে যেতে পারে।”
“দরকার হলে তিন যুগ অপেক্ষা করব। আমার অপেক্ষা শক্তি খুব প্রখর!”
আমি মলিন হেসে পিছু ঘুড়ে ফ্ল্যাটের দিকে রওনা হলাম। তারপর আর পিছু ফিরে তাকাই নি। মিঃ মেহুল স্যরি মেহুল ও হয়তো এতক্ষনে উনার ফ্ল্যাটে চলে গেছেন। ছেলেটা আসলেই মিশুক। খুব সহজে যেমন সবার সাথে মিশতে পারেন তেমনি খুব সহজে সবাইকে আপন করে নিতে পারেন।
,
,
ঘড়িতে বিকেল চারটার কাছাকাছি। আমি, লামিয়া আর নীলা রুমের দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েছি৷ তিনজনই বেশ ক্লান্ত। লামিয়া এক প্রকার আপসোস করতে করতে ঘুমিয়েছে। মেহুলকে থ্যাংকস না বলেই ফ্ল্যাটে চলে এসেছে। তাই এক প্রকার আক্ষেপ কাজ করছে ওর মধ্যে। যদি ও আমি বলেছি আমার তরফ থেকে আমি মেহুলকে থ্যাংকস বলেছি এরপরে লামিয়া নিজের মনকে বুঝাতে পারছেনা। এক প্রকার খচখচ কাজ করছে।
সন্ধ্যা সাতটায় ঘুম ভাঙ্গল আমাদের। ফ্রেশ হয়ে আমি কিচেনে চলে এলাম চা বানাতে। ঘুম থেকে উঠে ধোঁয়া উঠা চা না খেলে আমার চোখ থেকে ঘুমের রেশ কাটতে চায় না। মাঝে মাঝে প্রচন্ড মাথা ব্যাথা ও হয়।
#চলবে…..💗