#জলছবি
#পার্ট_১৯
#কাজী_সানজিদা_আফরিন_মারজিয়া
.
রুম আবছা অন্ধকার। ঘরের জানালার সাদা পর্দাটা ভেদ করে যতটুকু আলো প্রবেশ করতে পারে, ঠিক ততটুকু আলোরই ঠাঁই হয়েছে ছোট্ট রুমটিতে। আদ্র ল্যাপটপে কিছু লিখছিল। সকালের এক ঘন্টা সে টানা লেখালেখি করে। আজও তার ব্যতিক্রম হলো না। কিছু চিন্তা করছে এবং দ্রুত কিবোর্ডে হাত চালাচ্ছে। রুমটা আবছা অন্ধকার হওয়ার ফলশ্রুতিতে ল্যাপটপের নীলচে আলোগুলো চশমার স্বচ্ছ কাচে এসে পড়ছে। আদ্র কপাল কুঁচকানো। রাগে কিংবা ক্ষোভে। কারোর প্রতি তার অভিমান নেই তবে ক্ষোভ আছে। এই মূহুর্তের ক্ষোভ হোস্টেলের দারোয়ান চাচা দুইবার ডেকে গিয়েছে যেই মানুষটার জন্য তাকে ঘিরে! সে না গিয়েই তার কাজ করে যেতে লাগলো। যদিও কাজের কাজ কিচ্ছুটি হচ্ছিলো না। এতে করে তার অকল্পনীয় জেদ আরো বেড়ে যেতে লাগলো।
আবছা অন্ধকার থেকে রুমটি হঠাৎ আলোকিত হয়ে যাওয়ায় ভ্রু কুঁচকে জানালার দিকে চাইলো আদ্র। ইশানকে দেখে আবার চোখ ফিরিয়ে নিলো। ইশান বাহিরে গিয়েছিল। দ্রুত ফিরে আসা নিয়েও কোনো ভ্রুক্ষেপ দেখা গেলো না। ইশান জানালার কাছ থেকে সরে এসে বলল,
“দোস্ত তোর একটু নিচে যেতে হবে।”
আদ্রর বিশেষ কোনো হেলদুল হলো না। এক নজর ইশানের দিকে চেয়ে পুনরায় ল্যাপটপে মনোনিবেশ করলো। ইশান আবার বলল,
“এই? শুনছিস?”
“না, শুনছি না।”
আদ্র’র খামখেয়ালি উত্তর। ইশান আদ্র’র পাশে বসে ভয়ে ভয়ে বলে,
“এমন করিস ক্যান? সব কিছু নিয়ে এতো কেন এত খামখেয়ালিপনা তোর?”
“কারন খামখেয়ালি মানুষের দুঃখ-কষ্ট থাকে না, ইহজগৎ নিয়ে কোনো বিশেষ ভাবনা চিন্তা থাকে না।”
ইশান মেকি হেসে বলে,
“লেখক হয়েও ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছিস?”
আদ্র ইশানের দিকে চায়। উল্টো প্রশ্ন করে,
“ভুল বললাম?”
ইশান অনেকটা জোর দেয়ার মতো করে বলে, “হ্যাঁ ভুল।”
আদ্র হাসলো। ল্যাপ্টপটা বন্ধ করে বিছানা থেকে নেমে টিশার্ট এর এক কোণা হালকা টেনে ঠিক করে নিয়ে বলে,
“দ্যাট’স হোয়াই তোরে আমি বলদ কই। ঠিকঠাক যুক্তি দিতে না পারলো, অযৌক্তিক তর্ক ঠিকই করতে পারিস। অনেকটা ‘যার জন্য নিচে যেতে বলছিস’ তার মতো।”
ইশান আওয়াজ করে হাসলো। আদ্র বেসিং এ গিয়ে চোখেমুখে পানি দিয়ে বলল,
“সে বারবার কেন আসে? কিসের পিছুটান? আমার অসহ্য লাগে, রাগ হয়। তা কি সে বোঝে না, নাকি বুঝেও বোঝেনা?”
ইশান চুপ হয়ে যায়। আদ্রর কাছে এসে বলে,
“সবকিছু এমন করে কেন ভাবিস? একসাথে থেকে তিক্ততা বাড়ানোর চাইতে আলাদা হয়ে যাওয়া ভালো নয় কি? ওর ও তো নিজের জীবন নিয়ে সুখে থাকার অধিকার আছে। তাই নয় কি? তুই নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করে দেখ, তুই কি একজন সত্যিকার অর্থে প্রেমিক পুরুষ ছিলি, কিংবা আদো আছিস? তুই মানুষ হিসেবে, একটা ছেলে হিসেবে যতটা পারফেক্ট, একজন প্রেমিক হিসেবে ততটাই বোরিং। তোর মাঝে পাগলামি নেই, কোনো কালে ছিলোও না। তোর চিন্তা ছোট থেকেই ম্যচিউর’ড। এটা দোষের কিছু না। কিন্তু ও তো ইমম্যাচিউর ছিলো, এখনো খানিক আছে হয়তো। তাই চাইতো ওর ভালোবাসার মানুষটাও ওর জন্য একটু-আধটু পাগলামি করুক। এখানে ওকে একপাক্ষিক দোষ কেন দিচ্ছিস আদ্র? এমন অপরিপক্ব ভাবনাগুলো খুব দ্রুত এলোমেলো চিন্তা করে ফেলা মানুষদের সঙ্গে যায়। তোর সাথে যায় না। যে যেমন থাকতে চায়, তাকে তেমন থাকতে দিতে হয় আদ্র। সেই স্বাধীনতা নিশ্চই সকলের আছে। যেমন তোর তেমন ওরও।”
“তোর মনে হলো, আমি তাকে তার মতো থাকতে দিচ্ছি না? কথাটা উল্টো হয়ে গেলো না, ইশু?”
ইশান আদ্র’র বাহুতে হাত রেখে বলে,
“তা বলিনি। আমি বলতে চেয়েছি, কারো উপর অসন্তুষ্টি রাখবি না। যা হচ্ছে সেটা স্বভাবিক ভেবে নে। নিচে গিয়ে দেখ কি চাচ্ছে মেয়েটা। সকাল থেকে অপেক্ষা করছে।”
আদ্র কিছু বলে না। তোয়ালে দিয়ে মুখ মোছে। ইশান খুব দরদ নিয়ে আবার বলে,
“আমি তোকে শুধু বন্ধু না, আমার ভাই ভাবি। তোর দুঃখ আমায় স্পর্শ করে। ভালোবাসি তোরে দোস্ত। এই পৃথীবিতে কেউ না বুঝলেও আমি বুঝি।”
আদ্র খুব সুন্দর করে হাসে। টিশার্ট চেঞ্জ করে শার্ট পরে রুম থেকে বেড়িয়ে যায়।
ইশান একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বিছানায় শরীর এলিয়ে দেয়। দৃষ্টি উপরে ঘুরতে থাকা ফ্যানটার দিকে। মানুষের জীবন, জীবনের ঘটনাগুলো কি এমনই খুব দ্রুত চলমান?
.
আদ্রকে দেখতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বসা থেকে উঠে দাঁড়ায় অপেক্ষমাণ মেয়েটি। পাতলা তুলতুলে মুখখানা বিধাতা যেন সুনিপুণ কারুকার্যে অঙ্কন করেছে। ঐ চোখ? ঐ চোখের প্রেমেই তো আদ্র আগে পড়েছিলো। চোখ সরিয়ে নিলো আদ্র।
কালো রঙের জামদানী শাড়িটার আঁচল দিয়ে অন্যবাহুতে আরো একটু টেনে নিয়ে খুব অপরাধী মুখ করে জিজ্ঞেস করলো,
“খুব বেশি ব্যস্ত ছিলে?”
“ছিলাম।”
“ও! স্যরি, একটু জ্বলালাম।”
আদ্র নিরুত্তর।
“কেমন আছো?”
আদ্র দৃষ্টি অন্যদিকে রেখে জবাব দেয়,
“ভালো।”
“আমি কেমন আছি জানতে চাইলে না?”
আদ্র আরশির দিকে চেয়ে হাসলো। দারুন বিদ্রুপ সেই হাসি জুড়ে। আরশির চোখ এড়ালো না সেই হাসি। বলল,
“হাসছো যে? হাসি পেলো আমার কথা?”
“অযৌক্তিক কথা শুনলে আমার যে খুব হাসি পায়, তা তো নতুন নয়। তুমি তো জানতে।”
“অযৌক্তিক কথা বললাম?”
“ভালো থাকার জন্যই তো সব করলে। ভালো না থেকে খারাপ কেন থাকবে? প্রশ্নটা অযৌক্তিক নয়?”
“ওহ! আমার সব কিছুই তোমার কাছে অযৌক্তিক লাগে আদ্র। সেই আগের মতোই তোমার কাছে তাচ্ছিল্যের পাত্রী হয়েই রয়ে গেলাম! শুধু তোমার এই অনাগ্রহ মনোভাবের কারণেই আমায় হারিয়েছো তুমি।”
“যেখানে তুমি আমার ছিলেই না, সেখানে হারানো প্রসঙ্গ আসছে কেন?”
মেয়েটার চোখ দুটো টলমল করে উঠলো। সেই আগের মতো, ঠিক আগের মতোই রয়ে গিয়েছে ছেলেটা। ব্যাগের ভেতর থেকে কিছু একটা বের করতে করতে বলল,
“তোমার এই খামখেয়ালি একরোখা স্বভাব আর কতকাল বয়ে বেড়াবে? অন্যের মন বুঝতে শিখলে না আর! তুমি আমায় ভালোই বাসোনি কখনও। শুধু আমি হাত বাড়িয়েছলাম বলেই হাত ধরেছিলে। ছাড়িয়ে নিতে চাইলে ছেড়েও দিলে! আটকাওনি কখনো!”
“যে চলে যেতে চায়, তাকে চলে যেতে দিতে হয়। আমিও দিয়েছি। কাউওকে আটকে রাখার ক্ষমতা আমার নেই, কখনো ছিলোও না।”
আরশি তাচ্ছিল্যের হাসি হাসলো। বলল,
“নিজের মতো যুক্তি দাড় করানো তোমার স্বভাব। পরিবর্তন হয়নি দেখছি।”
তারপর ব্যাগ থেকে বের করা আয়নাটা আদ্র’র দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলে,
“আমার মনে হচ্ছে এটার আমার কাছে থাকার প্রয়োজন ফুরিয়ে এসেছে।”
“ফেলে দাও।”
আদ্র ধারালো জবাব।
“ফেলে দিবো?”
“হ্যাঁ, ফেলে দাও।”
থাটা বলে আর দাঁড়াল না ছেলেটা। দ্বীপ্তিহীন তেজ নিয়ে পা বাড়ালো। আরশির মনঃক্ষুণ্ণ হলো ভীষণ ভাবে। চোখ বেয়ে টপটপ করে দুফোঁটা জল গড়িয়ে পড়লো। এক হাতে চোখ মুছে, দু কদম এগিয়ে যাওয়া আদ্র’র দিকে ফিরে জিজ্ঞেস করে,
“তোমার কি এখনও মাথা ব্যথা হয়, আদ্র?”
আদ্র হালকা পেছন ফিরে তাকায়। অমিষ্ট স্বরে বলে,
“আমায় নিয়ে আর ভেবো না। তুমি এখন সেই কলেজ পড়ুয়া কিশোরী কিংবা সদ্য কৈশোর পেরোনো যুবতী নও। নিজের এসব অভিযোগের পাহার গড়ে তোলার সম্পর্ক অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে আরশি। ভালো থেকো।”
আদ্র চলে গেলো আর আরশি টুলটাতে বসে পড়লো। আরশি? কতদিন পর এই মানুষটা মুখ থেকে নিজের নামটা শুনতে পেলো! কই? এতো ভালো তো অন্য কেউ ডাকলে লাগে না আজও!
.
পড়ন্ত বিকেলের শেষ আলোটা এসে পড়লো নোলকের মুখের একটা পাশে। মৃদু বাতাসে উড়ছে খোলা চুলগুলো। আদ্র’র পাশে ঐ অসম্ভব সুন্দর মেয়েটাকে দেখার পর থেকেই ওর মন বিষাদে তলিয়ে আছে।
“কিছু ভাবছো অগ্নিশর্মা? কিছু হয়েছে কি? হঠাৎ দেখা করতে বললে?”
ইশানের কথায় টনক নড়ল নোলকের। ওড়নাটা ভালোমতো জড়িয়ে নিয়ে বলল,
“এমনি বলেছি। বিরক্ত হলেন?”
ইশান হকচকিয়ে বলল,
“আরে বোকা মেয়ে কি বলে! বিরক্ত কেন হবো?”
নোলকের খুব মন খারাপ হচ্ছে ক্রমশ। বসা থেকে উঠে দাঁড়াল। ইশান এই বিষন্ন নোলকে চিনে না। তাই তার খুব অসস্থি হলো। ছটফটে মানুষজন হঠাৎ শান্ত হয়ে গেলে তা খুব দ্রুতই চোখে পড়ে। ইশানও দাঁড়াল। নোলকের কাছে এসে জিজ্ঞেস করলো,
“তোমার কি মন খারাপ অগ্নিশর্মা। মনে হচ্ছে তাই।”
নোলক জোরপূর্বক হাসল। ইশানের দিকে তাকিয়ে বলল,
“মন খারাপ? কই, না তো! আপনার বন্ধু বলেছে কথা কম বললে, দুঃখ কম লাগে। তাই কথা কম বলার প্র্যাকটিস করছি।”
ইশান হেসে ফেললো। নোলকের কথা বিশ্বাস করে নিয়ে বলল,
“হাও ফানি! হা হা হা!”
নোলকের হাসি পেলো না। দুঃখ যেন আরো হুহু করে বেড়ে গেলো। বেশ রয়েসয়ে বলল,
“একটা কথা জিজ্ঞেস করি?”
ইশান হাসিয় থামিয়ে বলল,
“আরে বাহ! অগ্নিশর্মা অনুমতি নিচ্ছে? বলেন ম্যাডাম? কি জিজ্ঞেস করতে চান?”
নোলক বিপরীতে হাসলো। দু’কদম এগিয়ে গিয়ে আচমকাই জিজ্ঞেস করে ফেলল,
“মেয়েটা কি তার খুব কাছের কেউ?”
ইশান প্রথমে আন্দাজও করতে পারল না, নোলক কোন মেয়ের কথা জিজ্ঞেস করছে। ভ্রু কুঁচকে কিছুক্ষণ চিন্তা করার চেষ্টা করলো। শেষে ব্যর্থ হয়ে জিজ্ঞেস করলো,
“কোন মেয়ে?”
“আপনার বন্ধুর সঙ্গে যিনি ছিল। সকালে দেখেছিলাম।”
“আরশি? আরশির কথা বলছো?”
“জানি না, তার নাম জানি না। কিন্তু খুব মিষ্টি দেখতে।”
ইশান দীর্ঘশ্বাঃস ছেড়ে বলল,
“হুম, তুমি আরশির কথাই বলছো।”
নোলক নির্লিপ্ত চোখে চাইলো। তারপর খুব করুন করে বলল,
“তার খুব কাছের কেউ, তাই না?”
ইশান মৃদু হাসলো। নোলক যেদিক ফিরে দাঁড়িয়ে ছিল তার বিপরীত দিকে দাঁড়িয়ে অনেকটা ভণিতা করার মতো করেই বলল,
“উমম, প্রিয়? হ্যাঁ, প্রিয়ই বলতে পারো। কারণ আদ্র যেই কম মানুষদের নিজের আপন করেছে তাদের মধ্যে আরশি একজন। ভালোবাসার মানুষগুলো তো প্রিয়ই হয়, তাই না?”
ভালোবাসার মানুষ? নোলক ভীষণ রকম খারাপ লাগলো। সঙ্গে প্রচন্ড রাগ হলো। তবে আদ্র, ইশান, আরশি নাকি নিজের উপরেই তা ঠিক অনুমান করা গেলো না। ভয়ানক অশান্তি হতে লাগলো, মন জুড়ে। ইশান আরো কিছু বলল। কিন্তু সে সব আর কানে গেলো কই? তার কান তো ‘ভালোবাসার মানুষ’ কথাটিতেই আটকে রইলো। মস্তিষ্কজুড়ে অবাধ্য বিচরণ হতে লাগলো এই কুৎসিত শব্দটি। হ্যাঁ, ভালোবাসা নামক শব্দটি তার কাছে এই মূহুর্তে কুৎসিত হিসেবেই গণ্য হলো। হিংসে হলো আরশি নামক মেয়েটিকে।
‘কিন্তু কেন তার এই অস্থিরতা? অন্যকারোর সঙ্গে এই ছেলের প্রণয় থাকলেই বা কি? আর না থাকলেই বা কি? আদ্র তো খুব কাছের কেউ নয়, তবে কেন এই মন পোড়া? কে হয় এই গুরুগম্ভীর ছেলেটি? সে তো এই ছেলেটির প্রিয় মানুষও নয়। ছেলেটিও তো তার খুব আপন নয়। আসলেই নয় কি?’
শেষের কথাটি ভাবতে গিয়ে কোথায় যেন বাধা পেলো। গলায় এসে আটকে যাওয়া দুঃখগুলোকে প্রাণপণ আটকে রাখার চেষ্টা চলমান রেখে, সেই ধরা গলায়তেই বলল,
“আম-আমাকে একটা রিকশা ডেকে দিতে পারবেন?”
ইশান খুব অবাক হলো। শুরু থেকেই নোলককে অস্বাভাবিক লাগছিলো। এবার সেই সন্দেহ পরিপূর্ণ রূপ পেলো। অধৈর্য হয়ে জিজ্ঞেস করলো,
“তুমি কি অসুস্থ, অগ্নিশর্মা। কেমন বিধ্বস্ত দেখাচ্ছে! চলো আমি বাসায় পৌছে দেই।”
নোলক বাধা দিয়ে বলল,
“না, আমি ঠিক আছি। আপনি শুধু একটা রিকশা ডেকে দিন প্লিজ। আমি বাসায় যাবো।”
ইশান তড়িঘড়ি করে ‘অ্যাই রিকশা, অ্যাই?’ হাক ছেড়ে রিকশা থামালো। নোলক প্রায় সঙ্গে সঙ্গে উঠে পড়ে রিকশাওয়ালাকে বলে,’চলুন, প্লিজ।’
নোলক অনুমতি পাওয়ার প্রায় সাথে সাথে রিকশা চলতে আরম্ভ করলো। ইশান কিছু বলার কিংবা করার সুযোগ আর পেলো না।
সে হতভম্ব, আহত, আতংকিত। কয়েক মিনিটে কি হলো তাই যেন দিশা করতে পারলো না।
রিকশা যখন অনেকখানি চলে এলো ইশানকে ছাড়িয়ে, তখন যেন তার মুক্তি মিললো। আটকে থাকা দুঃখগুলো আলগা করে দিলো। কি আশ্চর্য! কিছুদিন আগ অব্দিও অপ্রিয় মানুষটা প্রিয় অন্যকেউ হওয়ায় এতো কষ্ট? কিন্তু কেন? কী কারণ? কেন এই দহন?….(চলবে)