চাদর
Subhra Roy
পর্ব ১+২

আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমার চাদর জিনিস টা একটু ও ভালো লাগতো না ।বড্ড হাতে পায়ে জড়িয়ে যেত ।আমি একটুও বাগাতে পারতাম না ।যখন পড়তে বসতাম সন্ধেবেলা তখন বাবা আমাকে একটা চাদর জড়িয়ে দিত ।বাবা মা চলে যাওয়ার পর আমার মাসি যাকে আমি মানি বলে ডাকি ঠিক ওভাবেই আমার গায়ে চাদর জড়িয়ে দেয় ।। ওই চাদরের গরমে আমি বাবার ভালবাসার ওম পেতাম । আজ আর চাদর জিনিস টা অত খারাপ লাগে না ।

ঠান্ডা টা যেতে গিয়ে ও যাচ্ছে না । মার্চ মাস পড়ে গেল অথচ সন্ধ্যের পর শিরশিরে ঠান্ডা টা গেল না । আমি আজও একটা চাদর গায়ে দিয়ে বসেছি। কিন্তু কতক্ষণ শান্তিতে থাকতে পারব জানিনা । হতচ্ছাড়া গুলো এলো বলে । আমরা 7 জন কাল দোল উৎসবের জন্য শান্তিনিকেতন যাচ্ছি । কাল ভোরে বাস।আর বাস স্ট্যান্ড টা আমার বাড়ি র থেকে কাছেই। যদি ঘুম থেকে উঠতে না পারে তাই এখানে ঘাটি গাড়বে বজ্জাত গুলো । সারা রাত কেত্তন করবে আর আমার সাধের ঘুমের দফারফা । কাল আমরা ছজন যাব। আমি, দীপ, সোম, রিমি, রাজা, আর তনু। আমাদের এই 6 জনের জোট অনেক দিনের পুরনো । করো কাছে করো কোন সিক্রেট নেই। আমাদের সপ্তম সদস্য হল বিদিশা, দীপের গার্ল ফ্রেন্ড ।বছর খানেক হল আমাদের গ্রুপের সদস্য ।আর আমি অনন্যা দীপের বেস্ট ফ্রেন্ড ।এক আমি ছাড়া বাকি তিন জোড়া ই লাভিং বার্ড । বিদিশা র সাথে আমাদের আলাপ ইউনিভার্সিটি তে । মডেলিং করে ও। ইউনিভার্সিটির ফ্যাশন শো তে ছবি তুলতে গিয়েই ধরাশায়ী হয়েছিল আমাদের বন্ধু টা। তারপর তো গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে যাবার পর ওদের ডেটিং সেটিং হয়েছে । বিদিশা ওর একটা ফটো সুট এ আটকে গেছে তাই আমাদের সাথে যেতে পারবে না ।একদিন পর যাবে ।আসার সময় ওর গাড়িতেই আসব আমরা সবাই । আমার বাস টা ঠিক পোশায় না । কিন্তু বাগড়া দিল দীপ হতচ্ছাড়া টা । বাসে ছাড়া নাকি আউটিং এর মজাটা ঠিক ঠাক আসে না ।যত সব সৃষ্টিছাড়া কাজ কারবার ।আমি উত্তরে গেলে ছুঁচো টা দখিনে যাবেই। কোন তিথি দেখে যে ভগবান আমাদের বেস্ট ফ্রেন্ড বানিয়েছিল ভগবান ই জানে।

কয়েক মাস পর 1st ইয়ারের পরীক্ষা ।যাবার ইচ্ছে ছিল না আমার একটুও ।কিন্তু ঐ যে বললাম আমার শত্রু টা বাকি সবার সাথে আমার মানি টা কেউ জপিয়ে ফেলল।বলে কিনা পরের বছর বহুত চাপ থাকবে ।ফাইনাল ইয়ার বলে কথা ।আর এবছর তো পড়া সব হয়ে আছে চাপ নেই। বলে নাচ করিস শান্তিনিকেতন যাব না বললে রবি ঠাকুর পাপ দেবে ।আমার ঠেং নাকি ভেঙে যাবে ।আমি আর নাচ করতে পরব না ।শোন কথা ছেলের। আমি তাও বললাম, দেখ তোরা যা। আমার শরীর ভাল নেই। আর তোরা সব কটা প্রেম করবি আর আমি কি করব।কিতকিত খেলব । শুনে বলে ছেলে, তোর অত যখন প্রেম করার অভাব বোধ হচ্ছে আমিই টেমপোরারি তোর সাথে প্রেম করে নেব।বই ছাড়া তো আর একটাও জীবন্ত প্রেমিক জোটাতে পারলিনা। পাগলের কথা শুনে তো মানি হেসেই কুটোপুটি। বলে নাকি ঠিক কথাই বলেছে ও। কিন্তু কেউ বোঝে নি সমস্যা টা কোথায় । রিমি আর তনু কিছুটা জানে। বাকি গুলো কে জানাতে বারন করছি ।নইলে এত কষ্ট করে যে সম্পর্ক টা জোড়া লাগালাম সেটাই নষ্ট হয়ে যাবে । বিদিশা আমাকে ঠিক পছন্দ করে না । অবশ্য দোষ দীপের ই। কেউ যদি প্রেমিকার সাথে অ্যপো তে নিজের বন্ধু কে নিয়ে যায় তাতে রাগ হওয়া টা ই স্বাভাবিক ।নয় কি?

ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই দেখেছি কোন না কোন ইভেন্ট লেগেই আছে ।তেমনি একটা ফ্যাশন শো তে গেছলাম আমাদের ছজনই। দীপের একটা নেশা ছিল ।ফটোগ্রাফি র নেশা ।যেতে যেতে ই বলছিল, এখানে যাসব অপ্সরা রা আসে না ।দেখ আজ ই না আমি আমার স্বপ্ন সুন্দরী র খোঁজ পাই। ওর কথাটা যে সত্যি ই ফলে যাবে আমারা কেউ ই ভাবতে পারি নি।

পর্ব ২

ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই দেখছিলাম এখানে কোন না কোন ইভেন্ট লেগেই আছে । আর আমাদের আরো বেশি করে যেতে হত কারন আমাদের ফটো গ্রাফার দীপ । অদ্ভুত নেশা ছিল ছেলেটার ফটোগ্রাফির প্রতি । তেমনি একটা ফ্যাশন শো এর ইভেন্টে গেছলাম আমরা । সেখানেই প্রথম দেখেছিল বিদিশা কে । আর দেখা মাত্র গাধাটা পাতি ফ্ল্যাট হয়ে গেছল । ঐ যাকে বলে লাভ অ্যাট ফাস্ট সাইট । আমি ভেবেছিলাম যাক ঠিকঠাক সবকিছু চললে আমাদের পাগলটাকে সামলানোর জন্য একজনকে পাওয়া যাবে ।
সেদিন ফিরে এসে সারা রাত ধরে আমার মাথা খেয়েছিল ।তখনতো ওর নামটা ও জানত না পুরোটা ।

তারপর তো গঙ্গা দিয়ে কত জল গেল। আমাদের সকলের প্রচেষ্টায় পুরো ফিল্মি কায়দায় প্রপোজ করেছিল ও। বিদিশা না করে নি। না করার কারনও ছিল না । বিদিশা ও ওর ব্যপারে সব খোঁজ নিয়েছিল। এমন হ্যান্ডু রিচ পাবলিক, ওর পেছনে কম লাইন থাকেনি । তবু ছেলেটা ওকেই ভালবেসেছিল।

তবে কষ্ট হত ।কেন হতো? জানিনা ।হয় ত এতদিনে র বন্ধু ।এবার হয়তো একটু হলেও দূরে সরে যাবে ।এতদিনের অভ্যাস । একটু খারাপ লাগা তো স্বাভাবিক তাই না? তবে আমি খুব খুশি হয়েছিলাম ।এত দিনে গাধাটা কে সামলাবার লোক পেয়েছি। আর আমাকে জ্বালাবে না সয়তানটা ।তবে ভেতর টা এত জ্বলছে কেন? এত ফাঁকা লাগছে কেন? আমার বোধ হয় জ্বর আসছে তাই মাথাটা এত ঘোর হয়ে আছে । চোখ দিয়ে তাই বোধ হয় জল পড়ছে। চোখ দুটো বন্ধ করে দিয়েছিলাম। পারলে মনটা ও। বিদিশা র মত মেয়ে ই দীপের জন্য বেস্ট । একদম রব নে বানাদি জোড়ি। তবে এমন কেন লাগছে আমার ।যেন কেউ নেই । কি যেন একটা হারিয়ে গেছে? না না মনে আমার কিছু ই নেই ।তাকাই না আমি মনের ভেতরে ।কি জানি কি বেরিয়ে আসবে হঠাৎ করে? মনের অনেক কথাই যে শুনতে নেই ।দেখতে নেই অনেক কিছু । ভয় লাগে মনের কাছে যেতে, যদি এমন কিছু জেনে ফেলি যেটার ওপর কোন অধিকার ই নেই আমার। তার থেকে তো এই ভাল। চশমা পরা বই মুখো আমি দীপের বেস্ট ফ্রেন্ড হয়েই ভালো আছি ।

আমাদের একটা ঠেক ছিল ক্যাম্পাসে । কিন্তু মাঝে মাঝেই সেটা আমার ঘরেই বসে যেত। এক তো মানির হাতের রান্না । দুই আমাদের বাড়িতে আমি আর মানি ছাড়া কেউ থাকত না বলে আড্ডায় কোন ব্যাঘাত তো ঘটতই না তার ওপর মানিও আমাদের সাথে জুটে যেত। তখন দীপ ও আমাকে ছেড়ে সোজা মানির দলে । আড্ডা জমে পুরো আইসক্রিম হয়ে যেত।

আমাদের আড্ডায় বিদিশা খুব একটা আসত না ।অবশ্য সময় ও পেত না । ও চাইত একটু হলেও দীপ ওকে আলাদা করে সময় দিক । কিন্তু দীপ মাঝে মাঝে ই ডেকে নিত সবাইকে । মেনে নিয়েছিল কিছু টা মেয়ে টা ।কিন্তু আমার দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকাত । বুঝতে পারছিলাম দূরে যেতে হবে আমাকে । কিন্তু দোষ তো বিদিশারও ছিল না । কেই বা সহ্য করবে কাছের মানুষের সাথে কাটানো মূহুর্ত গুলো তার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে নিতে । তাও হয় তো চলে যেত সব সময়ের তালে যদিনা দীপ সেই কান্ড টা ঘটাত।

আমি বুঝতে পারতাম বিদিশা হয়তো সেভাবে পছন্দ করে না আমায় । অনেক বুঝিয়েছি গাধাটা কে ও একা তোর সাথে সময় কাটাতে চাইতেই পারে ।এটাই স্বাভাবিক । কিন্তু কে শোনে কার কথা । গাধা তো ।মাথায় কোন কথা সহজে ঢুকবেই না । কিছু বললেই সেই এক কথা, যে আমাকে ভালবাসবে সে আমার গ্রুপ কেও ভালবাসবে । আমি যে তোকে ছাড়া, তোদের সবাই কে ছাড়া বড্ড অসম্পূর্ণ রে। এটা তাকেও বুঝতে হবে । আর কই রাজা তো সেই কবের থেকে প্রেম করছে ।ও তো কখনও একা কোথাও যায় নি । আমি তো তবু যাই ।বরং খুব স্পেশাল কিছু হলেই সবাই কে একসাথে ডাকি ।এতে সমস্যা কোথায়?
ঐ যে প্রথমেই বললাম গাধা ।ওকে বোঝা আর বোঝানো ব্রহ্মার ও অসাধ্য। এভাবেই চলছিল সব। সেবার অনেক দিন পর দীপ সবাইকে বলল একসাথে সিনেমা দেখতে যাবে। আমি একটু নানা করলেও বাকিরা কেউ আমার কথায় পাত্তাই দেয় নি। আসলে পরীক্ষা সবে শেষ হয়েছে ।পরীক্ষার জন্য সবাই একসাথে সেভাবে সময় কাটাইনি অনেকদিন ।তাই এব্যাপারে কেউ একবার ও না বলেনি।
যথা সময়ে সিনেমা হলে যাওয়া হয়েছিল । কিন্তু সমস্যা একটাই হয়েছিল, সিট গুলো একসাথে পাওয়া যায় নি। তাই চারটা সিটে রাজা, তনু, সোম, রিমি দের বসিয়ে অন্য দুটো সিট দীপ আর বিদিশার জন্য রেখে সিঙ্গেল সিটটায় আমি বসেগেছলাম। একটু দূরে ও ছিল সিট টা । আমি একটু শান্তি তেই বসেছিলাম । যাই হোক মেয়েটার কাছাকাছি বসতে হয়নি । কিন্তু ঐ যে বিধি বাম । ভগবান কপালে বাঁশ খাওয়া লিখে রাখলে বাঁচাবে আর কে? বসার প্রায় সাথে সাথেই সিনেমা শুরু হয়ে গেছল। হলে লাইট অফ। হঠাৎ এক ভদ্রলোক এসে আমায় ডেকে বললেন, তুমি আমার সিটে যাও আমি এখানে বসছি।
হঠাৎ এভাবে কানের কাছে কথা বলায় একটু ঘাবড়েই গেছলাম আমি।একটু রেগেই বলেছিলাম, কে আপনি? খামোখা আপনার সিটে যাবই বা কেন আমি? আর কোথায় আপনার সিট।ভদ্রলোক দীপের সিটে র রো টা দেখিয়ে বললেন, ঐ খানে । আপনার বন্ধু বলল আপনি অন্ধকারে ভয় পান। তাই আমার কোন সমস্যা না থাকলে যেন এখানে বসি। আমি একা এসেছি ।অসুবিধা নেই । কিন্তু এভাবে দাড়িয়ে থাকলে নিশ্চয়ই অসুবিধা হবে । সিনেমা টা দেখতে পাব তো না ই, পাবলিকের একটা মার ও মাটিতে পড়বে না । আপনি প্লিজ যান ওখানে ।
বুঝতে পারছিলাম যেতে আমাকে হবেই । নইলে হয়তো গাধাটা ই উঠে চলে আসবে । সেটা আরো বাজে ব্যাপার হবে । চুপচাপ উঠে এসে দীপের পাশে বসে পড়েছিলাম ।মাথাটা গরম হয়ে ছিল । ভাবলাম আচছাসে ঝাড় দেব। ওমা বসার সাথে সাথে রাগি গলায় আমাকেই বকা শুরু করে দিল, কে তোকে ওখানে যেতে বলেছিল? একটু ও ধৈর্য নেই না তোর । কত রকম লোক আসে এখানে । এভাবে একা কেউ বসে? কত কি খারাপ হতে পারত জানিস। আর কবে বুদ্ধি হবে তোর? বলে আমার হাত টা সবদিনের মত ধরে সিনেমায় মন দিয়েছিল।
রাগ আমার হয়েছিল আর ঝাড় ও আমি ই খেলাম । কে বোঝাবে ওকে বুদ্ধি আমার নয় ওর কমে গেছে ।গার্ল ফ্রেন্ড নিয়ে সিনেমা দেখতে এসে আমাকে ঝাড়ছে। কেন এত পজেসিভ তুই আমার ব্যপারে । কে তোকে আমার কথা এত ভাবতে বলেছে? এমন করলে মানুষ তো ভুল বুঝবেই। হঠাৎ ই চোখ চলে গেছল বিদিশা র দিকে । হালকা আলোতেও দেখেছিলাম অদ্ভুত ভাবে চেয়ে আছে আমার দিকে । বুঝতে পারছিলাম ঝড় আসছে ।

ঝড় টা একদিন আসবে জানতাম ।ঝড় টা আসার ই ছিল আজ নয় কাল। তাই যখন বিদিশা ফোন করে আমার সাথে একা দেখা করতে চাইল আমি না করিনি । যাওয়ার, ওর প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার দরকার ছিল ।একটা রেস্টুরেন্টে গেছলাম আমরা । অনেকখন চুপ করে বসে থেকে তারপর আস্তে আস্তে জিজ্ঞেস করেছিল, তুই ভালবাসিস দীপ কে। আমি শান্ত ভাবে সেদিনের মতই বলেছিলাম, না ।
দীপ তোকে ভালোবাসে।আমি জানি, বলেছিল বিদিশা ।
ভুল জানিস।ও তোকে ভালবাসে । আমাকে নয় ।আর বাসলেও বন্ধু র মত বাসে, ওর হাত দুটো ধরে আস্তে আস্তে বলেছিলাম আমি ।
তবে আমার কেন ওরকম মনে হয়? যখন ও তোর সাথে থাকে তখন মনে হয় ওর পৃথিবীতে তুই ছাড়া আর কিছুই নেই । যখন ওর সাথে একা থাকি মনে হয় আমার সাথে আছে কিন্তু ছুঁয়ে তোকে আছে । ওর সবকিছুতেই তুই । তুই যদি এভাবে ওর সাথে জড়িয়ে থাকিস না ও আমাকে সেভাবে ভালবাসতে পারবে না আমি পারব।সম্পর্কটাই শেষ হয়ে যাবে ।
মাথা নিচু করে বসে ছিল মেয়ে টা । আমি ওর হাতটা আলতো করে ধরে বলেছিলাম, একটু সময় দে আমায় । আমি ঠিক দূরে সরে যাব। আজকের নিয়ে কোনও কথা কাউকে বলিস না । খুব অভিমান ছেলে র। কিন্তু রেগে গেলে চণ্ডাল । তোকে কথা দিলাম আমার জন্য তোদের সম্পর্ক নষ্ট হবে না ।আমি সব ঠিক করে দেব।
চশমা টা ঠিক করে আজ আসি ।চিন্তা করিস না বলে বেরিয়ে গেছলাম আমি। চোখ দুটো খুব জ্বলছিল । খুব কষ্ট হচ্ছিল বুকের ভেতর । আজকের পর একটু একটু করে ছেড়ে দিতে হবে আমার আজন্মের অধিকার ।ভুলে যেতে হবে সব। কিন্তু এত ই কি সোজা সব ভোলা।এত গুলো বছর, এত স্মৃতি এক নিমেষে মোছা কি যায়।বাড়ি ফিরে ই আলো নিভিয়ে শুয়ে পড়েছিলাম ।ঘরের সাথে সাথে মনের ভেতর টাও যদি অন্ধকার করা যায় ।
কেন এত জটিল ভোলা ।কেন এত যন্ত্রণা হয় সুতো গুলো ছিড়তে গেলে। কেন এত কিছু জীবনে বেঁচে থাকে একটা মানুষের থাকা ন থাকায় ।উওর গুলো নেই আজ আমার কাছে ।কোন দিন পাব কি না তাও জানিনা।

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here