#গ্রামের_সেই_মেয়েটি
।।
#পর্বঃ ০৩
।।
অনু চল তো আমরা ছাদে গিয়ে গল্প করি সে যখন এতো করে বলছে আমাদের সাথে গল্প করবে না।
এটা বলে ওরা চলে গেলো,
ওরা চলে যাওয়ার পরে ফোন টা বের করে সেটা টিপাটিপি করছিলাম তখনি দুটা আবার চলে আসলো,
এসে
অণু- ভাইয়া চল না আমাদের খুব ভয় করছে একাদের যেতে।
আমি- বলছি না যাবো না তোরা যায়।
অনু- ভাইয়া এখন যদি আমাদের ছাদে নিয়ে যাও তা হলে তিশা বলেছে কালকে ও তোমাকে অনেক সুন্দর একটা এস্থানে নিয়ে যাবে।
আমি এইভাবে নিয়ে যেতে রাজি হয়ে গেলাম কেনো না আমি এখানে তেমন কিছুই চিনি না কোথাও যদি ঘুরতে যেতে হয়ে বা সুন্দর কোন এস্থান থাকলে সেটা তিশা বলতে পারবে তাই,
আমি- আচ্ছা চল তা হলে।
এটা বললে আমাকে নিয়ে ওরা দুজনে ছাদে চলে আসলো।
এসে মনে হয় না খারাপ করেছে অনেক এটা মুহুত্ব মনে হচ্ছে কেন না আজকে আকাশে অনেক তারায় ভরে রয়েছে চাঁদ টা ও অনেক সুন্দর লাগছে,
অন্য দিকে আবার কত গুলো জোনাকি পোকা এসে পরেছে।
তিনজন মিলে জমিয়ে অ্যাডা দিলাম।
অনেক সময় পরে আমরা নিচে চলে আসলাম।
ছাদ থেকে নেমে একবারে ডিনার করে আমার রুমে চলে আসলাম।
রুমে এসে কিছু করার নেই বলে খাটে এসে শুয়ে পরতেই ঘুমিয়ে যায়।
সকালে আমার শরীলে পানি দেওয়ার জন্য জেগে যাই খুব সকালে এসেই ঝালান শুরু করে দিলো তিশা একে বারে বাচ্চাদের মতো।
আমার শরীলে এক গ্লাস পানি নিয়ে সাইটে বসে হাসতে লাগলো।
ওর উপরে রাগ হলেও কেন জানো ওর দিকে তাকালে আর রাগ টা থাকে না।
তার পরেও,
আমি- এইভাবে পাগলামি করার কোন মানে আসছে,
আমি এমন কথা বললে তিশা হাসি থামিয়ে,
তিশা- কি করবো অনেক সময় ধরে আপনাকে ডাকছিলাম কিছুতেই উঠছিলেন না।
আমি- তাই বলে এইভাবে কেহ ঘুম ভাঙায়,
আর এতো সকালে ঘুম থেকে জাগানো মানে কি।
তিশা- কালকে বলছিলাম না আজকে একটা জাগায় নিয়ে যাবো তার জন্য।
এখন এতো কথা না বলে উঠে পরুন তো আমি অনু কে নিয়ে আসছি এটা বলে হাসতে হাসতে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।
এইভাবে আবার হাসতেছে কেন বুঝতেছি না।
যাই হক আমি উঠে পরলে,
তিশা আমি আর অনু মিলে বাসা থেকে বেরিয়ে পরি আর ওর পিছুপিছু হাটতে লাগলাম কোথায় যাচ্ছি এটা জানি না।
তবে ভালই লাগছে,
কিছুসময় পরে আমাদের একটা নদীর কাছে নিয়ে আসলো বা অনেক সুন্দর তো,
সকালে নদী যে এতো সুন্দর হয় এটা আগে জানতাম না ওকে শুধু একটা ধন্যবাদ দিয়ে আমি নদী কাছে গিয়ে ঘাসের উপরে বসে পরি,
কেন না আমার পছন্দের মধ্যে নদী এটা,
কিন্তু শহরে বসে এমন দেখতে পাই না।
এখন যদি এক কাপ কফি হত কোত যে ভালো হত নদী পারে বসে কফি ভাবতেই অন্য রকম লাগছে।
আজকেও তিশা জানো কোথা থেকে কিছু ফুল নিয়ে আসলো এই গুলো এর আগে দেখেনি।
আজকে শুধু অনু কা না আমাকেও কিছু ফুলো দিলো আর বললো ফুল গুলো অনেক সুন্দর আপনি চাইলে নিতে পারেন।
আমি কিছু না বলেই ওর হাত থেকে নিয়ে নিলাম।
আস্তে আস্তে সূর্য টা আলো আর তাপ বারতে লাগলো তাই আমাদের এখন এখান থেকে যেতে হবে তাই তিনজনে আবার হেটে বাসায় চলে আসলাম।
বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করা হলে,আজকেও আব্বু আমাকে নিয়ে বাসা থেকে বের হলেন।
আজকে কিছু স্কুলে নিয়ে আসলাম।
শুনেছি এখানে ধারে কাছে কোন কলেজ নেই শুনে আমি অভাগ্য হয়ে যাই তা হলে ছেলে-মেয়ে পড়া শুনা করে কিভাবে।
আব্বু বলেন অনেক দূরে গিয়ে পড়তে হয়।
আমাকে এখান কার জন্য কিছু করতেই হবে।
তার জন্য আমার টিমম্যম্বারদেত কল দিলাম তাদের কালকের ভিতরে এখানে আসতে বলি।
তারা বলে কালকের ভিতরেই চলে আসবো।
আব্বু কিছু শিক্ষক দের সাথে পরিচয় পরিয়ে দেয় ভালই লাগলো তাদের আচরণ সব কিছু অন্য রকম।
অনেক ঘুরে ঘুরে আব্বুর সাথে দেখলাম তার পরে বাসায় চলে,আসি।
আজকে সারাদিন এখানে আশার পরে যেভাবে চলে গেছিলো আজকেও সেইভাবে গেলো।
পরেন দিন আমার টিমের কিছু সদস্য আসেছে তাদের আনবার জন্য,
লের এস্ট্রসনে চলে আসলাম সাথে তিশাও আসেছে অণু কে আসতে বলছিলাম এতো দূর বলে ও আর আসেনি।
আমরা এসে দেখি ওরা চলে এসেছে।
আমাকে দেখে জরিয়ে ধরে আমাকে জিগ্যেস করে আমি কেমন আছি জারা এসেছে সব গুলো আমার ক্লাস মেইড ছিলো।
তিশার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে আমরা একটা ওইদিনের মতো ভ্যান নিয়ে আসতে বলেছিলে সেখানে ওদের বসতে বললাম।
ওরা এটা দেখে জিগ্যেস করে বসে যাওয়ার জন্য আর কিছু নেই।
আমি- এটা পেয়েছিস এটা তোদের ভাগ্যে ভালো দেখে আমি প্রথম দিন হেটেই গিয়েছিলাম।
ওদের নিয়ে ওটা করে চলে আসলাম।
তিশা আমার পাশে এসে বসেছে নিজ থেকেই।
আমরা সরাসরি বাসায় চলে আসলাম।
অনেক সময় লাগলো।
বাসায় এসে আম্মু ওদের বাসার ভিতরে থাকতে দেখে রুমে নিয়ে গেলো আম্মু ওরের আগে থেকেই চিনতো তার পরে আবার এখানে আমার একটা বেস্ট ফ্রেন্ড ও রয়েছে।
আমি আর তিশা মিলে বাহিরেই বসে পরি আমাদের দেখে অণু এসেও জোগ দিলো।
আজকে আর কোথাও যাওয়া হল না,
ওরা তো এমনি তেই আসতে আসতে বিকাল হয়ে গেছিলো।
রাতে ওদের নিয়ে অ্যাডা দিতে চলে আসলাম আমাদের ছাদে।
অনেক সময় অ্যাডা দিলাম ওদের ভিতরে কেই এর আগে গ্রাম দেখেনি এইবার আসতে পারায় নাকি অনেক খুসি হয়েছে।
অ্যাডা দেওয়া শেষ হলে।
নিচে এসে ডিনার করে যার যার রুমে চলে আসলাম।
পরের দিন আমি নিজেই অনেক সকালে ঘুম থেকে উঠে পরি,
তার ওদের উঠিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে পরি।
ওরা অনেক খুশি হল এমন এটা সকাল দেখার জন্য।
এর ফাকে গ্রামের কিছু দূশ্য তুলে ধরলাম।
সবাই মিলে ঠিক করলাম এখানে রাস্তা টা ঠিক করে দিবো আর বাকি কাজ গুলো টেন্ডার পাওয়ার পরে করে দিবো।
ওদের নিয়ে নাস্তা করে আবার বেরিয়ে পরি ঘুরার জন্য।
এইভাবে চলে গেলো দুটা দিন।
আমি রাতে রুমে এসে বসে আছি তখনি,
তিশা নক করে রুমে আসতে চাইলে আমি আসতে বলি।
ও রুমে এসে নিজে নিজে খাটের এক কোনে বসে পরে।
তার পরে আমি জিগ্যেস করি কিছু বলবে তার পরে তিশা যা বললো..
তিশা নক করে রুমে আসতে চাইলে আমি আসতে বলি।
ও রুমে এসে নিজে নিজে খাটের এক কোনে বসে পরে।
তার পরে আমি জিগ্যেস করি কিছু বলবে তার পরে তিশা যা বললো আপনি কিছুদিন ধরে একদম আমার সাথে কথা বলছেন না আমাকে দেখেও না দেখার মতো চলে যাচ্ছেন এমন টা কেনো।
আমি- এখানে কিছুদিন আসলো কই থেকে,
দেখছ না আমি ওদের নিয়ে একটু ব্যস্ত রয়েছি কাজের জন্য,
আর এখন তো তোমাকে তো ডিস্টার্ব হতে হয় না ওদের নিয়েই ঘুরতে যেতে পারি।
তিশা- আমি বলেছি আমার ডিস্টার্ব হয় একবার, আর আপনি কি আমাকে ঘুরতে নিয়ে গিয়েছি নাকি আমি আপনাকে নিয়ে যেতাম।
আমি- আচ্ছা বুজেছি এখানে তো রাগ দেখানো মানে হয় না।
ব্যস্ততা শেষ হলে না হয়, গল্প করবো।

তিশা- হুম ভালো এটা বলে তিশা খাট থেকে উঠে সরাসরি আমার রুম থেকে বেরিয়ে যায়।
মনে হয় একটু রেগে আছে আসলে ওরা আশার পরে ও আমার সাথে কথা বলতে চাইলেও আমি বললাম না।
যাই হল ও রুম থেকে বেরিয়ে যাবার পরে আমি কিছু কাজ করছিলাম ল্যাপটপে যদিও এখানে নেটা পাওয়া যায় না।
কাজ গুলো এখানকার নিয়েই।
অনেক সময় বসে কাজ গুলো করতে লাগলাম।
কিছুক্ষণ পরে রুম থেকে বেরিয়ে ওদের কাছে চলে।আসলাম এসে সবাই মিলে অ্যাডা দেওয়া শুরু করে দিলাম।
ওদের সিদ্ধান্ত কালকে ওরা চলে যাবে টিকিট কেটে ফেলেছে ওখানে অনেক কাজ পরে আছে সেখানে যার কারনে এসেছে তা তো মোটামুটি সমাধান হয়েই গেলো।
আমি ওদের আরো কিছুদিন থেকে যেতে বলি কিন্তু কেহই রাজি হচ্ছে না আশলে এটা সত্যি অনেক কাজের মধ্যে দিয়ে এখানে এসেছে শুধু আমার কথাতেই।
ওদের সাথে অ্যাডা দেওয়া শেষ হলে,
ওদের নিয়ে ডিনার করতে চলে আসলাম।
এক সাথে সবাই মিলে ডিনার করলাম তার পরে।
ওরা ওদের রুমে চলে যায়,আমি আমার রুমে চলে আসলাম।
পরের দিক খুব সকালে ওদের নিয়ে কিছুসময় গ্রামের কিছু ছবি তুলতে বের হলো।
সেই গুলো করে নাস্তা করে রেডি হয়ে সবাই কে বলে।বাসা থেকে বেরিয়ে পরি।
আমি ওদের সাথে এস্তসনে চলে আসলাম।
ওদের ট্রেনে উঠিয়ে দিয়ে বিদায় দিয়ে চলে আসলাম আমাকে ওরা প্রশ্ন করছিল আমি শহরে ভিড়বো কবে।
আমি কিছুদিনের ভিতরেই চলে আসবো বলে দিলাম।
ওদের কাছ থেকে হেটে হেটে বাসায় যাবার দিকে রহনা দিলাম আগে যদিও হাটতে পারতাম না এমন একটা এই কটা দিনে কিছুটা অভ্যাস হয়ে গেছে এখানে আশার পরে।
আমি হাটছি আর চার দিক টা দেখে যাচ্ছি যে দিকে তাকাই না কেন সে দিকে ছোট ছোট ঘড়, গোয়াল উঠান দেখতে পাওয়া যায়।
মাঠেঘাটে রয়েছে সবুজ ফসলে ঘেরা আবার কিছু জাগাতে রয়েছে গরু, ছাগল, ভেরা, মহিষ এই গুলো ঘাস খাওয়ার দূশ্য যা দেখার মতো।
আমার দেখা অনেক কিছু বাকি রয়ে গেছিলো এই গ্রামে আশার আগে।
এইভাবে দেখতে দেখতে হাটছিলাম তখন ওইদিনের তিশার সেই বান্ধবীর সাথে আমার দেখা হয়ে যায় আমাকে দেখে সেই মেয়ে টাই ডাক দিলো।
আমার কাছে এসে প্রশ্ন করে বসে আমি কেমন আছি, এটার উত্তর দেওয়ার পরে জানতে চাইলো আমি কোথা থেকে ফিরছিলাম,
এটারো উত্তর দিলাম তার পরে বলতে লাগলো আমি কে কাজ গুলো করছি সেই গুলো জন্য নাকি গ্রামের সবাই খুশি অনেক।
আমি- আমি এঁদের জন্য কিছু করতে পারছি এটাই অনেক কিছু।
দুজনে হাটতে আর গল্প করতে করতে অনেক পথ এসে পরেছি আমাদের বাসার আগে ওদের বাসা পরে যাই আমার কাছে থেকে বিদায় নিয়ে ওর বাসায় চলে গেলো আমি আমার বাসায় চলে আসলাম।
এসে দেখি উঠানে বসে তিশা আর অনু কি জানো খেলা করছে আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেই গুলো দেখতে লাগলাম।
ভালই লাগলো এই গুলো নাকি গ্রামের মেয়েদের খেলা নাম হলো গাছ থেকে পাতা আনা যাই হক আমাকে তিশ খেলতে বলে আমি না করে এই কেন না এতে অনেক দৌউরাতে হয় যেটা আমি একদমি পারবো না।
এভাবে কিছুসময় ওদের খেলা দেখে আম্মুর কাছে চলে আসলাম আজকেও আম্মু রান্না করতে ছিলো আমাকে দেখি জিগ্যেস করলেন ওদের ভালো ভাবে ট্রেনে ছেরে দিয়েছি কিনা।
আমি হুম বললে আম্মু এটার পরে জিগ্যেস করে আমাকে চা করে দিবে কিনা,
আমি উত্তরে বললাম তা হলে তো ভালই হয়।
আমাকে ওখানে বসতে দিয়ে আমাকে চা করে দিলো আমাকে চা দিতে না দিতে আব্বুও চলে আসলো।
আব্বু তাকেও চা দিতে বললে আম্মু তালেও দেয়।
আমি চা নিয়ে দাদির কথা জিগ্যেস করলাম সে কই রয়েছে।
রুমে রয়েছে জেনে তার কাছে চলে আসলাম এসে দুজন মিলে অ্যাডা দেওয়া শুরু করলাম দাদি তার কিছু ছোট বেলার কিছু গল্প বলতে লাগলো আমাকে আমি সেই গুলো শুনছি আর হাসতেছি অনেক মাঝা গল্প গুলো।
কিছু সময় পরে ফাজিল দুটা এসেও হাজির হয়ে গেলো।
এই দুটা জালায় কোথাও গিয়ে শান্তি পাওয়া সম্ভব না।
আমি ওদের দেখে উঠে যেতে চাইলে তিশা আমাকে..
#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here