গল্প :- কালো মেয়েটি
পর্ব :- ০৩
Writer :- Kabbo Ahammad
.
.
.
-: কথাগুলো বলে আরো কাঁদতে লাগলো মেয়েটি। মেয়েরা রেগে গিয়ে বা অভিমান করে যখন কিছু বলতে থাকে তখন তাদের মুখের উপর পাল্টা কিছু বলতে নেই। এতে করে ভয়াবহ বিস্ফোরণের সম্ভবনা বেড়ে যায়। এসময় চুপ করে থেকে শুধু শুনে যেতে হয়, সয়ে যেতে হয়, যা যা বলে আর দাবি করে ক্ষনিকের জন্যে হলেও সব মেনে নিতে হয়। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার আগমুহূর্ত অবদি এমনটি করতে হয়। আমিও সেটা করলাম। ফোনটি কানের সাথে লাগিয়ে আমি কিছুক্ষণ চুপ করে রইলাম।
ওপাশে থাকা মেয়েটি কেঁদেই চলেছে। কথা বলতে বলতে থেমে গেছে সে। তবে কান্না থামেনি। কান্না শুনে মনে হচ্ছিলো, এ যেন তার আমার সাথে করা বহুদিনের অভিমান আজ কান্না হয়ে গলে পড়ছে…!
কিন্ত আমার সাথে কেন সে অভিমান করবে..? পরক্ষণেই মনে পড়লো, সে তো বলেছিলো আমায় ভালোবাসে। কিন্তু আমাকে কেন সে ভালোবাসতে গেলো….? মা কেবিনে নেই। একাই আমি। এবার নিরবতা ভেঙ্গে দিয়ে আমি বললাম।
–আচ্ছা আপনাকে কি আমি চিনি.?(আমি)
আমার জিজ্ঞাসা শুনে মেয়েটি একটি দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বললো।
—আমাকে চেনাটা কি আপনার খুব প্রয়োজন?(মেয়েটি)
–যে মানুষটি আমাকে ভালোবাসে আমি কি তাকে চিনবোনা?(আমি)
আমার এমন পাল্টা প্রশ্ন শুনে সে বললো।
—আমি কখনো আপনার কাছে ধরা দিবনা। যদি পারেন তাহলে খুঁজে নিয়েন।
কথাটি শুনে খুব বেশি অবাক না হলেও আমার কাছে বেশ ইন্টারেস্টিংই লাগলো বিষয়টি।
সে আমাকে ভালোবাসে। আবার বলছে, তার কারণেই নাকি আমাকে মার খেতে হয়েছে। এখন বলছে তাকে যেন খুঁজে নিই। কিন্তু এতসব কখন বের করব আর তাকে দেখবো কখন? আমার যে তর সইছে না আর।
এবার ঠিক করলাম মেয়েটিকে একটু ইমোশনালি ব্লেকমেইল করা যাক। তাই করলাম। একটু ভাব নিয়ে কাতরানোর স্বরে বললাম।
–আহ্ কি যে ব্যথা পায়ে। ও মাগো! এত ব্যথা নিয়ে কি মানুষ বাঁচতে পারে… ওহ মাগো…
আমার এমন কাতরানো শুনে ও ঘাবড়ে গেল মনে হলো। সামনা-সামনি না হলেও ওর উষ্ণ নিঃশ্বাসগুলো ক্ষণে ক্ষণে এসে আমার কর্ণ কুহরে আছড়ে পড়ছিলো। দিশেহারা আর উন্মাদ করে দিচ্ছিলো আমায়।
তারপর ও বললো।
—আপনার খুব কষ্ট হচ্ছে তাইনা!(মেয়েটি)
আমি কোন উত্তর না দিয়ে ড্রামা কন্টিনিউ করে গেলাম। ওপাশ থেকে ও দুশ্চিন্তায় ক্রমশই উতলা হয়ে উঠছিলো। আর আমিও এটাই চাইছিলাম।
আমি চাইছিলাম, ও যেহেতু বলেছে ওকে খুঁজে নিতে তাই আমি এমন কিছু করি যেন সে নিজেই আমাকে দেখতে চলে আসে!
এমন সময় ও ফোনটা কেটে দিলো। হয়ত কোন সমস্যা হয়েছে। আর ফোন দিলাম না আমি। এবার ডাটা অন করে ফেসবুকে ঢুকলাম। একি! এত ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট! সবগুলোতেই দেখছি আবার মিউচুয়াল ফ্রেন্ড আছে। রিকোয়েস্ট আসা আইডিগুলোর কয়েকটি ঘাটাঘাটি করে নিশ্চিত হলাম এরা সবাই আমাদের কলেজের পাতি নেতাদের সাঙ্গো পাঙ্গ। কি আর করা, একসেপ্ট করে নিলাম। আমাকে এক্টিভ দেখে জামিল মেসেজ দিলো।
—কিরে দোস্ত, কি করিস?(জামিল)
–এই তো, শুয়ে আছি। তুই?(আমি)
—আমরা তো আসছি তোর কাছে। রাস্তায় আছি।
–আসছিস মানে? কোথায় তুই?
—এই তো, ময়মনসিংহের কাছাকাছি চলে এসেছি।
–আরে আসার কি দরকার ছিলো। আমি তো প্রায় সুস্থই এখন।
—আমরা সবাই আসছি রে।
–সবাই মানে? ট্রাক নিয়ে আসছিস নাকি?
—আরে নাহ্। আমাদের সার্কেলের নয়জন আসতেছি। বাকিরা বিভিন্ন কারণে আসতে পারেনি।
–আচ্ছা, আয় তাহলে। আমার একটু দরকার আছে। সাবধানে আসিস।
—আচ্ছা দোস্ত।
আসলে জামিলটা একটু পাগলা টাইপের।
শুধু আমার ক্ষেত্রেই যে বিষয়টা তা নয়। আমাদের সার্কেলের যে কারোরই কিছু হলে ও সবার আগে ঝাপিয়ে পড়তো। এখনো এভাবেই আছে। একটুও বদলায়নি। সেই স্কুল লাইফ থেকে আমরা একসাথে আছি। জানিনা, অন্যদের ফ্রেন্ড সার্কেলগুলো কেমন। তবে, আমাদের মাঝে বন্ডিংটা বেশ স্ট্রং।
তাও আবার ভালো কাজের ক্ষেত্রে। আমাদের সার্কেলের একটি ছেলেও আজ অবদি সিগারেট হাতে নেয়নি…! এমন যুগে এসে কি আপনি বিশ্বাস করবেন সেটা..? জানিনা করবেন কিনা। তবে এটাই সত্যি। আমি আগের কলেজে থাকাকালীন সময়ে বেশ কয়েকবার মাদক, ইভটিজিংয়ে বিরুদ্ধে শিক্ষকদের সহযোগিতায় সেমিনার করেছি। আমাদের বন্ডিংয়ের কাছে রাস্তায় কালভার্টে বসে কলেজগামী মেয়েদেরকে উত্যক্তকারী ক্ষমতাসীন দলের ভাতিজা এবং তার লেজে গোবর হয়ে লেগে থাকা বখাটেরাও হার মানে। আর সবচেয়ে বড় অর্জন ছিলো, আমাদের দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতেই স্থানীয় প্রশাসন আমাদের পৌরশহরের সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে দেন! এখন প্রযুক্তির সময় তাই প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারে অপরাধ আর অপরাধীদের দমনে তারাও আমাদের করা অভিযোগে সাড়া দেন।
এরপর থেকে টোটালি ইভটিজিং বন্ধ হয়ে যায়। এখন কেমন চলছে সেটা জানা নেই আমার।
সকাল সাড়ে আটটার দিকে বাবা আমাদের জন্য নাস্তা নিয়ে এসে হাজির। তাঁর অফিসে যেতে হবে।
আর দিনকাল এমন পড়েছে যে, বাসায় রাতে না থাকলে তালা ভেঙ্গে বাসার সবকিছু চুরি করে নিয়ে যেতে পারে কেউ! মানুষ আর করবেটা কি?
যে হারে বেকারত্বের সংখ্যা বাড়ছে! কথায় আছেনা, ‘অভাবে স্বভাব নষ্ট।’ সেটাই। মাঝখানে একটি ঘটনা বলেই ফেলি আপনাদের। গত বছর যখন আমরা চট্রগ্রাম ছিলাম। বাবা-মা চলে গেলেন আমাদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে। এমনিতে বাবা-মা না থাকলে বাসায় জামিল, টিটু বা রাহাত ওদের কাউকে নিয়ে আসি। কিন্তু সেদিন আনা হয়নি। একাই শুয়েছিলাম। পড়া শেষ করে আর ফেসবুকিং করে রাত একটার দিকে ঘুমাই আমি। এরপর হঠাৎই বাইরে গ্রীলের শব্দ শুনে ঘুম ভাঙ্গে আমার। চুপিসারে উঠি এবং বুদ্ধি করে ছাদে চলে যাই। সেখান থেকে লুকিয়ে দেখি দুই যুবক হাতে কিসব জিনিস দিয়ে যেন আমাদের গ্রীল গেটের তালা খুলতে চাইছে।
সুযোগ দিই ওদের। ওরা একপর্যায়ে তালা খুলে ফেলে এবং ভেতরেও (বারান্দায়) ঢুকে।
এদিকে আমি কি করি, পাশের বাসার বড় ভাইকে ফোন দিয়ে সব বলে দিই। তিনি এসে কৌশলে গেটে আবার তালা লাগিয়ে দেন এবং ওরা বারান্দাতেই আটকে যায়। এরপর এসব শুনে আশপাশের সবাই ঘুম থেকে উঠে আসেন এবং পুলিশকেও খবর দেয়া হয়।
তবে, আমাদেরকে সবচেয়ে বেশি অবাক করে চুরি করতে আসা দুই যুবকের এডুকেশন কোয়ালিফিকেশনের বিষয়টি। কথা বলে জানতে পারি, দুজনই অনার্স কম্প্লিট করেছে। চাকরীর জন্য নানান জায়গায় নাকি তারা সিভিও ড্রফট করে বেশ কয়েকটি ইন্টারভিউও দিয়েছে। তবে তাদের নাকি চাকরী হয়নি। কেন হয়নি জানতে চাইলে ওরা বলে, ‘আমরা ইন্টারভিউয়ে অন্যদের তুলনায় ভালো করলেও শুধুমাত্র অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে আমাদেরকে রিজেক্ট করা হয়। তবে, যে দুই জায়গায় জবের অফার পাই সেখানেও তুলনামূলক অন্যদের তুলনায় আমাদেরকে খুব কম সেলারি অফার করে ওরা। যা দিয়ে কিনা ঢাকা শহররে মতো জায়গায় নিজেদের থাকা-খাওয়ার খরচ বাদে পরিবারকে দেয়ার মতো তেমন কিছুই থাকবেনা।’ এসকল নানান কারণে নাকি তারা অবশেষে চাকরীর পেছনে ছুটা বাদ দিয়ে এমন রাস্তা বেছে নিয়েছেন!
এরপর এই শিক্ষিত বেকারত্ব সমস্যা আর এর ভয়াবহ পরিণাম নিয়ে বেশ কদিন রিসার্চও করি আমি।
সে বিষয়ে অন্যদিন বলবো। এরপর যা হলো:
বাবা নাস্তা দিয়ে চলে যাবার কিছুক্ষণ পরই দুজন মেয়ে আসলো। দুজনই বোরকা পরিহিতা।
বোরকা বলতে এখনকার সময়ে ঐসব স্টাইলিস ধরণের যেগুলো মেয়েরা পড়ে আরকি সেগুলো।
মা পাশেই বসা আমার। তাদেরকে দেখে মা এগিয়ে গেলেন। আমি চুপচাপ শুয়ে আছি। ওদের একজন মাকে বললো।
—আসসালামুআলাইকুম আন্টি।
—ওয়ালাইকুমুসসালাম। আসো তোমরা, বসো এখানে।(আম্মু)
ওদেরকে পাশের বেডে বসতে বললেনা মা। আর ওরা বসতে বসতে সালাম দেয়া মেয়েটি বললো।
—আমরা কাব্যর সহপাঠী। এদিক দিয়েই যাচ্ছিলাম। ভাবলাম কাব্যকে দেখে যাই।
আমার মায়ের মাথায় আর এটা কাজ করেনি যে, ওরা কি করে জানলো আমি যে এখানে আছি..!
এবার মাও ওদের সাথে আলাপ-সালাপে মত্ত হয়ে গেলো।
আমি আঁড়চোখে চাইছিলাম ওদের দিকে। টের পেলাম, ওদের একজন ও বারবার আমাকে দেখছিলো।
কেউ কাউকে এভাবে বারবার দেখতে থাকলে শরীরে কেমন যেন এক ধরনের সুড়সুড়ি অনুভূত হয়।
আবার তার উপর যদি কোন মেয়েলোক বারবার তাকাতে থাকে তাহলে তো সাথে হার্টবিটও বেড়ে যেতে থাকে। ‘এই, কেন মেয়েটা আমাকে দেখছে?’ ‘প্রেমে টেমে পড়লো নাকি?’ ‘না হয় অযথাই তো এভাবে বারবার দেখার কথা নয়!’ এসব নানান বিষয় মাথায় চলে আসে। এসব কোথা থেকে আসে কে জানে।
তারপর আমিও আর চুপ করে রইলামনা। আর কিছুক্ষণ পর মেয়েটিকে বলেই ফেললাম।
–এই যে শুনুন…!(আমি)
আমি ডেকেছি শুনে মেয়েটি প্রথমে থমকে গেল। তারপর উঠে আসলো। বেডের পাসে থাকা টোলের উপর বসতে বললাম আমি। বসলো। ঐদিকে মা আর ঐ মেয়েটি নিজেদের মধ্যে কথা বলেই যাচ্ছে।
আমার ঠিক আড়াই ফিটের মতো দূরত্বে মেয়েটি টোলটি নিয়ে বসলো। নিচের দিকে তাকিয়ে চুপ করে বসে আছে। এতক্ষণে অনেককিছুই ভেবে আর বুঝে নিয়েছি আমি। এখন শুধু এটা নিশ্চিত হবো যে,
যা ভেবেছি আর বুঝেছি তা কতটুকু সত্য। তারপর আস্তে করে বললাম।
–কেন সে সময় ফোনটা কেটে দিয়েছিলেন?(আমি)
—কি বলছেন এসব! কখন ফোন কেটে দিয়েছিলাম আমি?(মেয়েটি বললো)
–আমি যদি আরো কয়েকদিন হসপিটালের বেডে এভাবে পড়ে থাকি সেটা কি খুব ভালো লাগবে আপনার?
মেয়েটি আর কিছু বললোনা। একদম চুপ হয়ে গেলো। এবার পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে গেলাম। এই সেই।
তারপর ফোনটা হাতে নিলাম আমি। মেয়েটির দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললাম,
–নিন, নিজের নাম দিয়ে নম্বরটি সেভ করে দিন।
—না..! আপনিই করুন। (নিচের দিকে তাকিয়ে থেকেই নিচুস্বরে বললো)
–কি নাম দিব তাহলে…? পেত্নী?
ও হেসে দিলো এবার। ভালো-ভাবে হাসলোও না। ডানহাতের কব্জির পিঠ চেপে মুখের হাসিটা আটকে দিলো। তারপর বললো,
—‘তানহা তাবাসসুম’ মিরা।
—বাহ্..! বেশ সুন্দর নাম তো। তবে, আমি এতবড় নাম ধরে ডাকতে পারবোনা।
—তাহলে কি ডাকবেন?(মেয়েটি বললো)
–তানহা বা মিরা বলেই ডাকবো। এটাই বেস্ট।
তারপর মিরা শুধু মাথা নেড়ে সায় দিলো তাতে। ঐদিকে মা ঐ মেয়েটির সাথে কথা বলতে থাকলেও আমাদের দুজনের মধ্যে হতে থাকা কথোপকথনের বাচনভঙ্গি তাঁর নজর এড়ায়নি। হাজার হোক, মা তো। এবার মিরা উঠে পড়লো। ঐ বেডের উপর রাখা ব্যাগ থেকে একটি বক্স বের করলো। টিফিন বক্স। মায়ের দিকে সেটা বাড়িয়ে দিয়ে বললো।
—আন্টি, এতে পায়েস আছে। ফ্রিজে রাখা ছিলো। ওকে খাইয়ে দিবেন।
(অথচ, এসে মাকে বলেছিলো এদিক দিয়ে যাচ্ছিলো বলে আমাকে দেখতে এসেছে)
তারপর মিরার দিকে তাকিয়ে মা আমার মুচকি হাসলেন। তাঁর মাথায় কি চলছে একমাত্র তিনি জানেন আর আল্লাহ্ জানেন। তবে, আমি কিছুটা হলেও আন্দাজ করতে পেরেছি।
এবার মা ওদেরকে নিয়ে কেবিনের বাইরে চলে গেলেন। আমি শুধু ওদের চলে যাওয়ার দিকে অপলক চেয়ে ছিলাম।
নাহ্, মিরা পেছন ফিরে তাকায়নি। মনে মনে ভাবতে লাগলাম, ধ্যাত্তরি! তাকালোনা কেন..?
মনটা কিছুটা হলেও খারাপ হয়ে গেল আমার। পরক্ষণেই মিরা ফিরে আসলো আবার। নাহ্, ভেতরে আসেনি। দরজার সামনে এসেছে। আমি ওর দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিলাম।
আর মিরাও হাসলো। তবে ওর হাসির আড়ালে অন্যকিছুই ছিলো। টের পেয়েছি আমি।
চাপা কান্না ছিলো। ছিলো, আমার জন্য আকুল আর অব্যক্ত অজস্র আর্তনাদ।
হ্যাঁ, তেমনটিই টের পেয়েছি আমি। তার বাস্তব প্রমাণ পেতে আমাকে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি।
ও দরজায় দাঁড়িয়ে হাসতে হাসতেই কেঁদে দিলো! আমার থেকে নিজের চোখের পানি লোকানোর বৃথাই চেষ্টা করে বললো, ‘আমি আসি তাহলে। ভালোভাবে থাকবেন। আসি।
.
.
চলবে………………♥♥
.
(ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টতে দেখার অনুরোধ রইলো)
.