#এক_চিলতে_রোদ।
#লেখকঃরবিউল_হাসান।
#পর্বঃ১০(শেষ)

আপুঃমেরে দিছ….
—মানে?
আপুঃমানে তোমাকে যে পাঠিয়েছে রবিকে মারতে তাঁকে গিয়ে বলবে রবিকে মেরে দিছ।আর তার থেকে টাকা গুলো নিয়ে নেবে তুমি।

অহনাঃআপু কি বলছেন এসব?
আপুঃহুম আমি যা বলছি সবটা বুঝে শোনে বলছি।

–আমি টাকা নিলে আর রোগীকে মেরে ফেলছি বললে আপনার লাভ কি?(নার্স আপুকে জিজ্ঞেস করল)
আপুঃঅবশ্যই আমার লাভ আছে।প্রথমে তোমার টাকার অভাব থাকবে না।মানে তোমাকে যে ৫০ হাজার টাকা দেবে বলল সে টাকা তুমি পাবে।সাথে মূল অপরাধীকে আমরা ধরতে পারব।
–তাদের তো পুলিশে দেবেন আমাকেও কি পুলিশে দেবেন?
আপুঃযদি আমার কথা মতো কাজ কর তাহলে তেমাকে পুলিশে দেব না।আর যদি না কর তো…..
–বুঝতে পারছি আর বলতে হবে না।আমি আপনার কথা মতো কাজ করব।বলেন এখন কি করতে হবে?
আপুঃআপাতত তুমি যেতে পার।তুমি টাকার জন্য যাওয়ার সময় আমাকে ফোন দেবে।কোথায় টাকা দিচ্ছে সেটা আমাকে জানাবে বাকিটা আমি দেখে নেব।

—আপনার কথা মতো আমি কাজ করব তাও আমাকে পুলিশে দিয়েন না প্লিজ।আমার বৃদ্ধ বাবা মা না খেয়ে মারা যাবে। (হাত জোর করে মিনতি করে বলল)

আপুঃবললাম তো তোমাকে পুলিশে দেব না।শুধু আমার কথা মতো একটু কাজ করো অপরাধীকে ধরতে সাহায্য কর।তাহলে হবে….
–ঠিক আছে আমি করব।যাচ্ছি তবে…..
আপুঃআমার নাম্বার টা নিয়ে যাও ফোন দিয়ে আমাকে জানাবে টাকার জন্য কোথায় যাচ্ছ?
–ওকে জানাব।

নার্স আপুর থেকে নাম্বার নিয়ে চলে গেল।ডাক্তার আপুকে বলল…
ডাক্তারঃএভাবে একজন অপরাধীকে যেতে দেওয়া কি ঠিক হয়ছে?
–প্রথমে সে বাধ্য হয়ে এই ভুলটা করেছে।আর আমি মনে করি না সে অপরাধ করেছে।পরিস্থিতি মানুষকে অনেক কিছু করতে বাধ্য করে।এটাও তার একটা মনে করুন।
ডাক্তারঃতাও একজন অপরাধীকে এভাবে যেতে দেওয়া ঠিক হয়নি।আপনারা সঠিক সময়ে না দেখলে হয়তো বিষের প্রভাবে রোগী মারা যেত।

আপুঃসময় সব বলে দেবে কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল।

ডাক্তার চলে গেল।আপু আর অহনা বসে অপেক্ষা করতে লাগলো কখন রবির জ্ঞান ফিরবে!আরো কিছু সময় অপেক্ষা করার পর আপু দরজা দিয়ে দেখল রবির হাতের আঙ্গুল নড়ে ওঠল। আপু তাড়াতাড়ি ডাক্তারকে ডাক দিল।ডাক্তার এসে রবিকে দেখে বলল…
ডাক্তারঃভয় নেই আর রোগী এখন সুস্থ তবে কিছু দিন খেয়াল রাখতে হবে।

রবির খবর পেয়ে রাশেদ রবিকে দেখতে আসলো।যখন রাশেদ রবির রুমে গেল তখন সবাইকে চমকে দিয়ে রবি বলল…

—আরে রাশেদ তুই কেমন আছিস?

রবির কথা শুনে সবাই যেন অবাক হয়ে গেল।কারণ রবির সৃতি শক্তি নষ্ট হওয়ায় সে কিছু চিনতে পারার কথা নয় তাহলে এভাবে রাশেদকে চিনবে তা অবিশ্বাস্য। আপু রবিকে বলল…
আপুঃতুই রাশেদকে চিনতে পারছিস?
–হ্যাঁ কেন চিনব না।
আপুঃতোর তো সব কিছু ভুলে যাওয়ার কথা।

তখনও ডাক্তার এসে সবাইকে বলল….
ডাক্তারঃযাক আবারো আঘাত পেয়ে ভালো হল।রোগীর সৃতি শক্তি ফিরে এসেছে।

ডাক্তারের কথা শুনে সবাই অনেক খুশি হল।কিছু আবার চিন্তায়ও পড়ে গেল আপু।কারণ আগের সৃতি ফিরে আসলে মাঝখানে কি হয়েছিল সে সব ভুলে যেতে পারে।আপু রবিকে বলল….
আপুঃতোর সবকিছু কি মনে পড়ছে এখন?
–হ্যাঁ সব মনে আছে।
আপুঃরিহির কথা মনে আছে?
–হুম।
আপুঃবাবার কথা?
—আমার সব মনে আছে আমি সৃতি হারিয়ে ছিলাম।পরে কার সাথে ছিলাম কি করেছি সব মনে আছে।

আপুঃতার মানে বাবার কথাও মনে আছে তোর?
–হ্যাঁ।যে মানুষ টা আমাকে সেদিন নিজের রক্ত দিয়ে বাঁচিয়েছে তার কথা কি ভুলা যায়?
আপুঃতুই জানিস রিহি তোকে মারতে এখানে একটা নার্সকে পাঠিয়েছে।
–তাই নাকি?তাহলে ওদের কে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দিলে কেমন হয়?
রাশেদঃওরা পালাতক।
–তাহকে ধরার উপায় বের কর।
আপুঃউপায় আছে।যে নার্স আসছিল তোকে মারতে তাঁকে দিয়ে রিহি আর সানিকে ধরিয়ে নেব।

—ওহ হ্যাঁ সানি না?(অহনার দিকে চেয়ে)

রবি অহনার দিকে তাকাতে অহনা নিজের মাথা নিচু করে ফেললো।কারণ সানি একসময় অহনার খুব ভালো বন্ধু ছিল।যেটা নিয়ে রবি আর অহনার মধ্যে ঝগড়াও হয়েছিল।

ডাক্তার রোগীর খেয়াল রাখতে বলে চলে গেল।আরো বলল চাইলে এখন বাসায় নিয়ে যেতে পারে আবার সকালে চাইলেও নিতে পারে।রাত বারোটা বাজে তাই সকালে রবিকে নিয়ে যাবে বলল।আর এখানে থাকার পেছনে আরো একটা কাজ আছে সেটা হল রিহি আর সানিকে ধরা।

রবি সবাইকে বলল….
—আমি সেদিন ব্যবসার কাজে গিয়েছিলাম।রিহির কিছু লোক আমাকে হোটেল রুমে গিয়ে হুমকি দিয়ে আসে।তারপর কাজ শেষ করে বাসায় আসতে গেলে রিহি স্টেশন থেকে আমাকে কিডন্যাপ করে নিয়ে যায় একটা পুরাতন গোডাউনে। সেখানে গিয়ে বেশ কিছু সময় আমি অজ্ঞান ছিলাম। জ্ঞান ফিরে পানি খেতে গিয়ে লম্বা চুল ওয়ালা কাউকে দেখতে পাই।যখন আমার খুব কাছে চলে আসে তখন বুঝতে পারি সেটা রিহি। রিহি তখন আমাকে বেশি কিছু বলে নি।শুধু বলেছিল আমার ঘুম কেড়ে নেবে।শান্তিতে আমাকে ঘুমাতে দেবে না।

তারপর রিহি আমাকে চলে আসতে বলে।আমি চলে আসতে আসতে গিয়ে একটা রাস্তায় আসি।যখন রাস্তা পার হব তখন সানি একটা গাড়ি নিয়ে আমাকে ধাক্কা দেয়। প্রথমে আমি তার চেহারা দেখতে পাই নি।যখন আমি জ্ঞান হারানোর মতো অবস্থা তখন গাড়ি থেকে সানি নিজের মাথা বের করে আমার দিকে চেয়ে একটা রহস্যময় হাসি দেয়।তারপর দ্রুত গতিতে গাড়ি নিয়ে চলে যায়।আমার চারপাশে কিছু মানুষ দেখতে পায়।তারপর আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।

রবি এতটুকু বলে থেমে গেল।বাহিরে থেকে রবির বাবা মানে রফিক সাহেব বলল…

–তারপর আমি তোকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে হসপিটালে নিয়ে আসি।তোকে দেখে আমার ছেলের কথা মনে পড়ে যায়। তোর মাঝে আমি আমার ছেলেকে দেখতে পাই।নিজের রক্ত দিয়ে তোকে বাচিয়ে তুলি।পরে জানতে পারি তুই সৃতি শক্তি হারিয়ে ফেলছিস।তোকে চেনবার মতো কোনো কাগজ ছিল না।আবার তোর মাঝে আমার ছেলেকে দেখতে পেয়ে তোকে হারাতেও চাইনি।তাই তোকে নতুন পরিচয় দিলাম।তুই রবিউল হাসান থেকে হয়ে গেলি আগুন চৌধুরী। দীর্ঘ সময় চিকিৎসার পর তুই সুস্থ হয়ে যাস।শুরু করিস পড়াশোনা তারপর পাশাপাশি অফিস করা।সবাই তোকে আমার ছেলে বলে জানে। তারপর আজ হঠাৎ……

রবিঃথাক বাবা আর বলতে হবে না।আমরা সবাই জানি এরপর কি হল।
–তুই আমার ছেলে হয়ে থাকবি তো?(চেহারা কালো করে)
রবিঃহ্যাঁ বাবা একদম চিন্তা করো না তোমার ছেলে হয়ে ছিলাম পুরো দেড় বছর। আর সারাজীবন তোমার ছেলে হয়ে থাকব।

রফিক সাহেব রবিকে জড়িয়ে ধরল। আর রবিকে বাসায় নিতে বললে রবি বলে এখন যাবে না।যতক্ষণ অপরাধী গুলোকে ধরতে পারবে ততক্ষণ যাবে না।বাবাও রাজি হয়ে গেল। সারারাত রবি হসপিটালে কাটিয়ে দিল।সকালে সবার অগোচরে চলে গেল বাবার বাসায়।

তিনদিন পর রবি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে গেল। হঠাৎ আপুর ফোন বেজে ওঠে….
–আমি ইফতি বলছি হসপিটালের সেই নার্স যে….

আপু আর কিছু বলতে দেয় নি কারণ ইফতি নামটা শোনার সাথে সাথে আপু বুঝে গেল।

আপুঃহ্যাঁ বল টাকা কখন দিচ্ছে তোমাকে আর কোথায় দিচ্ছে?
–আগামী কাল সকাল দশটায় পার্কের ভেতর।
আপুঃঠিক আছে যাওয়ার আগে আমাকে জানাবে তোমার পেছনে আমাদের কিছু লোক থাকবে।
–ঠিক আছে কিন্তু যদি তারা বুঝতে পারে তাহলে সমস্যা হবে।আমাকেও মেরে ফেলতে পারে।
আপুঃকিছু করতে পারবে না।তুমি শুধু সাহস নিয়ে এগিয়ে যাও।পেছনে আমাদের কিছু লোক থাকবে।আর হ্যা যাওয়ার আগে অবশ্যই আমাকে জানাবে।
–ওকে।

আপু ফোন কেটে দিল।সবাইকে বলে দিল কি করতে হবে।

পরের দিন সকালে ইফতি আপুকে ফোন দিয়ে তার যাওয়ার কথা বলল।ইফতি পার্কে ঢুকতে আপুকে ফোন দিয়ে কানেক্ট করে নিলো যাতে কি কথা হচ্ছে শুনতে পারে।ইফতি দশ মিনিট দাঁড়ানোর পর একটা গাড়িতে করে রিহি আসলো। রিহি চারপাশে দেখে রিহির হাতে একটা ব্যাগ দিয়ে বললো…
রিহিঃএই ঘটনা যেন কেউ জানতে না পারে।কেউ জানলে তোমাকেও রবির মতো উপরে পাঠিয়ে দেব।মনে রেখো কথাটা।

ইফতি কোনো কথা বলল না।সোজা টাকা নিয়ে চলে আসতে যাবে তখনই চারপাশে পুলিশ দুই জনকে ঘিরে ফেললো।রিহি ভয়ে পালাতে চাইলে রাশেদ ধরে ফেললো। রবি একটু পর গাছের আড়াল থেকে বের হয়ে আসলো।রবি ইফতিকে টাকা নিয়ে চলে যেতে বললো।সবাই অবাক হয়ে গেল রাশেদ বলল…
রাশেদঃও তোকে মারতে আসছিল আর তুই তাঁকে চলে যেতে বলছিস?
–কারণ সে বাধ্য হয়ে এসব করেছে আর আপু বলেছে ইফতিকে ছেঁড়ে দিতে।
রাশেদঃওকে।

রিহি ইফতির দিকে তাকিয়ে একটা রহস্যময় হাসি দিল যেটা রবির চোখ এড়াতে পারে নি।রিহিকে পুলিশ গাড়িতে তুলতে রবি থামিয়ে দিল।

অফিসার গাড়ি থেকে নেমে এসে বলল……
–কি হল আবার অপরাধীকে ধরে তো ফেললাম।
রবিঃমনে হয় আরো কিছু বাকি আছে।

রবি ইফততিকে ডাকলো।কারণ ইফতির দিকে তাকিয়ে যখন হাসি দিল রহস্য তখন ইফতির কাছে আটকে আছে।রবি অফিসার কে বললো রহির দেওয়া টাকার ব্যাগটা চেক করতে। অফিসার গিয়ে টাকার ব্যাগটা হাতে নিতে ভয় পেয়ে ব্যাগটা মাটিতে ফেলে দিল।কারণ ব্যগে টিক টিক টিক আওয়াজ করছে। যেটা বোমার আওয়াজের মতো।অফিসার একজন কনস্টেবল কে ব্যাগ খুলতে বললে সে ভয়ে ভয়ে কাঁপা হাতে ব্যাগটা খুলতে সেখানে একটা টাইম বোমা দেখল।সবাই ভয়ে পেছনে আসলো।রবি দৌড়ে রিহিকে ধরে তাঁকে বোমার কাছে নিয়ে আসলো আর বোমা ডিফিউজ করতে বললো।প্রথমে রিহি ডিফিউজ করতে জানে না বললে রবি বোমাটা রিহির গলায় ঝুলিয়ে দেয়। রিহি ভয়ে বোমা ডিফিউজ করে দেয়।অফিসার টাকা গুলোতে হাত দিয়ে দেখে সব নকল টাকা।

রবি এবার রিহির দিকে তাকিয়ে একটা রহস্যময় হাসি দেয়।যেটা কেবল সে জানে।পুলিশ রিহি আর নকল টাকা ও বোমাটা নিয়ে চলে গেল।রবি ইফতিকে বলল…
রবিঃদেখলে তো যার জন্য তুমি আমাকে মারতে আসছিলে সে তোমাকে মেরে ফেলতে বোমা লাগিয়েছে।

— সে এত খারাপ আমি জানতাম না।
রবিঃযখন কেউ কাউকে মারতে বলে সে কোনো ভাবে ভালো হতে পারে না।আজ আমি না দেখলে তুমি তো মরতে সাথে তোমার পরিবার আর তোমার বাসার চারপাশ পুড়ে ছায় হয়ে যেত।
–আমাকে ক্ষমা করে দেন।আমি অনেক বড় ভুল করেছি।
রবিঃঠিক আছে ক্ষমা করে দিলাম।এখন তো টাকাটা পেলে না চাকরিও হারালে।কি করে পরিবার চালাবে এখন?
–জানি না। হয়তো না খেয়ে মরতে হবে।
রবিঃকালকে আমার অফিসে চলে এসো কথা আছে।

তারপর রবি আর রাশেদ বাসায় চলে এলো।আর ইফতি নিজের বাসায় চলে গেল।পরের দিন ইফতি রবির অফিসে আসলে রবি ইফতিকে ৫০ হাজার টাকা দেয়।আর ইফতি চলে যায়।পুলিশ সানিকে ধরে ফেলে।

বোমাবাজি, নকল টাকার কারণে তারা দুইজন সন্ত্রাসী হিসেবে প্রমাণিত হয়।দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।

আজ তিন দিন হলো রাশেদ নিজের বাসায় চলে যাবে।রবিকে কিছু বলতে চাই তাই ছাঁদে নিয়ে গেল।

রবিঃবল কি এত জরুরি কথা যে আমাকে ছাঁদে নিয়ে আসলি?
রাশেদঃতুই সেদিন পার্কে রিহিকে ধরার সময় একটা রহস্যময়ী হাসি দিলি যেটার অর্থ আমি এখনো খুঁজে পাই নি।বল সে দিন কেন হাসিটা দিয়েছিলি?
রবিঃনা বললে হয় না?
রাশেদঃনা হবে না।বল কেন হাসছিলি?

রবিঃটাকা গুলো আমার ছিল।
রাশেদঃমানে?
রবিঃশুন তাহলে রিহি বাসা থেকে যখন টাকা নিয়ে বের হচ্ছে তখন কাজের মেয়ে আসল টাকা গুলো নিয়ে আমার দেওয়া নকল টাকা গুলো দিয়ে দেয়।পরে রিহি টাকা গুলো চেক করে নি।মাঝ পথে এসে সানির থেকে বোমা নিয়ে ব্যাগটাতে রাখে।তারপর ইফতিকে দিতে আসে।
রাশেদঃকাজের মেয়েকে কিভাবে হাতে আনলি?
রবিঃইফতিকে রিহি যেভাবে হাতে আনলো সেভাবে।
রাশেদঃযেমন?
রবিঃটাকা দিয়ে রিহি ইফতিকে হাতে করল।আমিও রিহির বাড়ির কাজের মেয়েকে নকল টাকা গুলো দিলাম।আর তাকে বললাম নকল টাকা গুলো রিহির ব্যাগে রাখতে আর আসল টাকা গুলো তাঁকে নিয়ে নিতে।

কাজের মেয়েও তাই করল।নকল টাকা দিল আসল টাকা নিয়ে নিলো।

রাশেদঃবস তোর বুদ্ধি কিন্তু সেই আগের মতোই আছে।
রবিঃদেখতে হবে না আমি কে?
রাশেদঃআরে না দেখতে হবে না কার বন্ধু….

দুইজন হেসে ওঠল। রাশেদ চলে গেল নিজের বাসায়।রাতে রবি খেয়ে ঘুমাতে গেল।অহনা আয়নার সামনে বসে ঠোঁটে লিপস্টিক দিচ্ছে। রবির মেয়ে ঘুমাচ্ছে। রবি বিছানায় বসল।অহনা এখনো আয়নার সামনে বসে আছে।রবি অহনার দিকে চেয়ে মিট মিট করে আসছে।আর অহনা আয়নায় রবির হাসি দেখছে।অহনা যখন আয়নার সামনে থেকে ওঠছে না তখন রবি বিছানা থেকে ওঠে অহনার পেছনে গিয়ে দাঁড়ালো।

অহনাঃকিছু বলবে?(আয়নায় তাকিয়ে)
–না মানে তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে।
অহনাঃতাই নাকি তাহলে এখন কি করা যায়?
—না মানে বলছি কি…
অহনাঃহুম বল কি বলতে চাও।
—আরে বুঝ না…(লাজুক হাসি দিয়ে)
অহনাঃনা বললে কেমনে বুঝব?
—ওকে বলছি তাহলে।
অহনাঃহুম বল।
—আমার মেয়ের জন্য একটা ভাই লাগবে।
অহনাঃতাহলে বাইরে থেকে একটা নিয়ে আসব নাকি?
—ওকে যাও নিয়ে এসো।(অভিমান করে)

রবি বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ল। অহনা গিয়ে রবির পাশে শুয়ে পড়ল।রবি বিপরীত দিক ঘুরে গেল।অহনা বুঝল একটু অভিমান করেছে।তাই বলল….

অহনাঃশুন না।
–হুম বল।
অহনাঃবলছি কি…
—শুনতে পাচ্ছি বল।
অহনাঃআমার মেয়ের জন্য একটা ভাই লাগবে।
—বাইরে থেকে নিয়ে এসো।
অহনাঃনা….
—তাহলে কি করা যায় এখন?(অহনার দিকে ঘুরে)
অহনাঃআমি দেখাচ্ছি কি করা যায়।

অহনা জোর করে চার ঠোঁট এক করে দিল।বাকিটা ইতিহাস।

…………………..সমাপ্ত……………………..

#RK9023DXWC
#অনুমতি_ছাড়া_কপি_করা_নিষেধ।
#গল্পটা_কেমন_হল_জানাবেন।
#ভালো_লাগলে_শেয়ার_করবেন।
#সবাই_নিয়মিত_নামাজ_আদায়_করবেন।
#আল্লাহ_হাফেজ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here