#ইস্ক#ইস্ক
#সাদিয়া

২১
“তিতিল এদিকটায় আসো তোমায় আমি একটা মন মুগ্ধকর দৃশ্য দেখাই। কাম ডেয়ার।”

তিতিল ইয়াদের ডাকে সাড়া দিয়ে ওদিকটায় গেল। দেখতে পেল একটা পুকুরপাড়ে দাঁড়িয়ে আছে লোকটা। পুকুরের চারপাশ টাই পাকা করা। তারউপর সুন্দর সিঁড়ি করে দেওয়া হয়েছে পুকুরে নামার জন্যে। আর দুইপাশে বসার ব্যবস্থাও করা আছে। আনমনে মুচকি হাসি ফুটে এলো তিতিলের ওমন স্নিগ্ধ পানির ঢেউয়ের রাশি দেখে। মৃদু বাতাসে পুকুরের পানি কলকল ধ্বনি সৃষ্টি করছে। নিচের এক সিঁড়িতে ইয়াদ দাঁড়িয়ে আছে তার দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে। সূর্যের হাল্কা রশ্মি এসে ফর্সা গায়ের লোকটার উপর এসে আছড়ে পড়ছে। নেভিব্লু কালার শার্টের সাথে ফর্সা গায়ে হাল্কা কমলা কালার রশ্মিতে লোকটাকে দেখে আতকে উঠল তিতিলের সচ্ছ কোমল হৃদয়। সেখানেও কোমল পানির ঢেউ শুরু হয়েছে। হৃদপিন্ডের স্পন্দন ক্রমাগত শুনতে পাচ্ছে সে। নিশ্বাস মাঝে মাঝেই থেমে যাচ্ছে। তিতিলের চোখের পাতা গুলি যেন স্থির হয়ে গেল মানুষটার উপর। “ভালোবাসার মানুষের সৌন্দর্য সবার চোখে অতুলনীয় হৃদয়কাড়া হয়।”

“কি হলো এদিকে একবার আসো। দেখো পুকুরের পানি কতটা পরিষ্কার।”

তিতিলের ঘোর কাটে। তবে ঊর্ধ্ব গতিতে হওয়া বুকের আওয়াজ কমেনি এক বিন্দু। মন্দর গতিতে এগিয়ে গেল সে ইয়াদের কাছে। মন বড্ড বলছিল অবুঝ পাখির মতো একবার লোকটার বুকে গিয়ে ঝাপটে পরতে। কিন্তু মনের কোণায় কোনো একটা কিছু বারণ করছে। তবুও লোকটার উষ্ণতায় মেশে যাওয়ার আকুল প্রয়াস তৈরি হচ্ছে।

ইয়াদের কাছাকাছি যেতেই তাকে লোকটা হাত ধরে টেনে নিজের কাছে আনল। হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলল,
“দেখো কি সুন্দর পুকুরের পানি।”

“…..

তিতিলের অবুঝ সরল দৃষ্টি তখন ইয়াদের উপরে লেপ্টে ছিল চুমুকের মতো। ইয়াদ আবার বলল,
“শহরে এমন সচ্ছ পানি তুমি তেমন পাবে না। দেখো সিঁড়ির পাশে নিচের ছোট নুড়ি গুলিও দেখা যাচ্ছে। আর মজার বিষয় কি জানো? এই পুকুরের অর্ধেকটাই সিঁড়ি দেওয়া। পুকুরের মাঝ পর্যন্ত তুমি সিঁড়ির অস্তিত্ব পাবে। বুঝলে পিচ্চি?”

“….

ইয়াদ হেসে তাকাল তিতিলের দিকে। দেখলো মেয়েটা তার দিকে অন্যরকম এক অদ্ভুত দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে আছে। তিতিলের ওমন চাউনি দেখে হৃদয়ে শিহরণের হাওয়া বয়ে গেল সাঁইসাঁই করে। মুখে বাঁকা হাসি তুলে তিতিল কে সে বলল,
“তিতিল কি দেখছো। আমি কি বলছি তুমি কি শুনছো আমার কথা?”

“….

“তিতিল?”

চমকে উঠল মেয়েটা। থতবত খেয়ে গেছে একদম। কপালে ভাঁজ দেখে ইয়াদ একগাল অমায়িক হাসল।
“তিতিল তুমি কি শুনেছো আমি এতক্ষণ কি বলেছি?”

“জ্বি। ক কি বলছিলেন?”

ইয়াদ উত্তর না দিয়ে তিতিলের বাহু ধরে পিছনে ফিরাল। মেদহীন পেটে শাড়ীর আঁচলের ভেতরে হাত ঢুকিয়ে টেনে কাছে নিয়ে এলো। বুকের সাথে মিশিয়ে তিতিলের কাঁধে থুতনি রাখল লোকটা। ওদিকে তিতিলের অবস্থা বেহাল। হৃদপিন্ডের উঠানামার আওয়াজে চারপাশ মুখরিত করে তুলছে। গরম নিশ্বাস ফালছে ক্রমাগত। দাঁতে দাঁত চেঁপে লোকটার উষ্ণ পরশ অনুভব করছে রন্ধ্রেরন্ধ্রে। ইয়াদ ঠোঁট টিপে হেসে পেটে চাঁপ প্রয়োগ করে আরেকটু কাছে টেনে আনল তিতিল কে। নিজের গরম নিশ্বাস তিতিলের উপর ছুড়ে দিচ্ছিল অনবরত। মেয়েটা আর সইতে না পেরে এবার শাড়ী খামছে ধরে চোখ খিঁচে রইল। ইয়াদ কোমল ঠোঁট গুলি তিতিলের কানের লতিতে স্পর্শ করলে শরীরের শিরা উপশিরা গুলি থমকে গেল। রক্তের কণিকা গুলিও যেন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে এবার। ইয়াদ ফিসফিস করে কানের কাছে বলল,
“দাদাভাই ঠিক এভাবেই যৌবনকালে দাদুকে নিয়ে এখানে সময় কাটিয়েছে নিজেদের একান্ত কিছু সময়। আমি আমার বেগম কে এটাই বুঝাতে চাইছিলাম। বুঝলেন তো বেগম। আমিও আমার একান্ত কিছু সময় কাটাতে চাই আমার বেগমের সাথে। তাই তো এখানে এসেছি ডেয়ার তিতিল পাখি।”

—-
ফ্রেশ হয়ে দুজনে এক সাথে দুপুরের খাবার খেতে বসেছে। খোলা একটা জায়গায় সিমেন্টের একটা টেবিল সেট করা আছে তার উপরে কাঁচ। সেখানেই দুজনে খাবার খাচ্ছে। আর তাদের মাথার উপরে রয়েছে একটা ছাউনি। সেখানে কুমড়ো, লাউ, শসা আরো কিছু গাছের লতাপাতা বেয়ে উঠেছে। ফাঁকেফাঁকে সূর্যমামা উঁকি দিয়ে জানান দিচ্ছে সে তাদের সাথেই এখানে উপস্থিত। পরিবেশটা একদম অতুলনীয়। বাহির থেকে আনা খাবারই খাচ্ছে তারা। খাবার শেষ করে দুজনই চুপচাপ বসে আছে। তিতিল বলল,
“আচ্ছা এসব দেখা শুনা কে করেন?”

“বিউটি আন্টি।”

“উনি কে?”

“উনি এখানের দেখাশুনা করে।”

“….

“আর এই শাকসবজির গাছ দেখছো না? উনিই সবকিছু করে এসবের। উনার পরিবার খেয়ে যা অবশিষ্ট থাকে বাজারে বিক্রি করে দেয়। মাঝে মাঝে উনার বড় ছেলে ঢাকায় আমাদের বাসায় দিয়েও আসে।”

“আচ্ছা আপনি না হয় আমার জন্যে কিছু বাজার করে আনবেন আজ তরতাজা সবজি দিয়ে রান্না হবে।” উপরে গাছের দিকে তাকিয়ে তিতিল এ কথা বলল।

“একেবারেই না।”

“কেন? ঘর রান্নাঘর সব পরিষ্কার আছে। বেশি সময় লাগবে না একদম।”

“এখানে তোমাকে রান্নার জন্যে আনা হয়নি তিতিল।”

“তাতে কি? দেখুন কি সুন্দর লাউ আছে তিন চারটা ধনেপাতা দিয়ে রান্না করলে কিন্তু অনেক মজা লাগবে। দয়া করে ব্যবস্থা করে দিন।”

“আচ্ছা ঠিক আছে যে ভাবে তোমার পছন্দ।”

তিতিল মুচকি হাসল। উঠে এক গাল হেসে এগিয়ে গেল লাউ গুলির দিকে। ওগুলিও যেন তার দিকেই তাকিয়ে ছিল ড্যাবড্যাবের মতো। লাউ গুলি নিয়ে চুপচাপ রান্নাঘরের দিকে এগিয়ে গেল।

—-
“ভাই তোরা আসবি কবে?”

“আপু তোর সমস্যা টা কি বল তো? আজ দুপুরেরই এলাম আর তুই..”

“তোকে অফিসে দরকার ভাই।”

“অফিসে দরকার নাকি তোর তিতিল কে? তোর ওই নিয়াম না কার সাথে তিতিল কে বিয়ে দেওয়ার..”

“স্টুপিডের মতো কথা বলিস সবসময়। মেজাজ টাই বিগড়ে দিলি।”

ইনা রাগ দেখিয়ে কল টা কেটে দিল। তাতে অবশ্য ইয়াদ বেশি পাত্তা দিল না। সে আরাম চেয়ে ল্যাপটপ খুলে বসল। তখনি তিতিলের ডাক শুনা যায়।
“রান্না হয়ে গেছে খেতে আসুন।”

“বউ রান্না করেছে দেখি গিয়ে স্বাদ কেমন।” বিড়বিড় করতে করতে ইয়াদ সামনের রুমে অগ্রসর হলো।

টেবিলে লাল শাক, মাছ ভোনা, লাউ দিয়ে চিংড়ি আর পুইশাক দিয়ে ছোটমাছ রান্না করা রয়েছে। এতসব কিছু দেখে ইয়াদের চোখ বড় বড় হয়ে গেল। বলল,
“আরে তুমি পাগল নাকি। এত কিছু করতে গেলে কেন?”

“সব টাটকা খেয়ে খুব মজা পাবেন।”

“রাখো তোমার টাটকা।”

“আশ্চর্য তো। খেলে চুপচাপ খান না হলে চলে যান।”

“তুমি কি রেগে যাচ্ছো?”

“…..

“ঠিক আছে আর বলব না কথা। বউয়ের আদেশ যথার্থ।”

“….

দুজন পাশাপাশি বসে রাতের খাবার খেয়ে নিল। দুজনই তৃপ্তি সহকারে খেয়েছে।
“তিতিল আজকের খাবারটা…. এর জন্যে তো তোমার গিফট পাওয়া উচিৎ।”

“….

“রুমে আসো তোমার গিফট দিব।”

“….

ইয়াদ একবার তিতিলের দিকে তাকিয়ে চলে গেল। একটুপর আবার ফিরে এলো তিতিল তখন সব কিছু গুছিয়ে রাখছিল।
“তিতিল তোমার সাথে কথা আছে। পাঁচ মিনিটে কাজ সেরে রুমে আসো।”

চলবে♥
(যথাসম্ভব রেসপন্স দেওয়ার চেষ্টা করবেন❤️)
#সাদিয়া

২১
“তিতিল এদিকটায় আসো তোমায় আমি একটা মন মুগ্ধকর দৃশ্য দেখাই। কাম ডেয়ার।”

তিতিল ইয়াদের ডাকে সাড়া দিয়ে ওদিকটায় গেল। দেখতে পেল একটা পুকুরপাড়ে দাঁড়িয়ে আছে লোকটা। পুকুরের চারপাশ টাই পাকা করা। তারউপর সুন্দর সিঁড়ি করে দেওয়া হয়েছে পুকুরে নামার জন্যে। আর দুইপাশে বসার ব্যবস্থাও করা আছে। আনমনে মুচকি হাসি ফুটে এলো তিতিলের ওমন স্নিগ্ধ পানির ঢেউয়ের রাশি দেখে। মৃদু বাতাসে পুকুরের পানি কলকল ধ্বনি সৃষ্টি করছে। নিচের এক সিঁড়িতে ইয়াদ দাঁড়িয়ে আছে তার দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে। সূর্যের হাল্কা রশ্মি এসে ফর্সা গায়ের লোকটার উপর এসে আছড়ে পড়ছে। নেভিব্লু কালার শার্টের সাথে ফর্সা গায়ে হাল্কা কমলা কালার রশ্মিতে লোকটাকে দেখে আতকে উঠল তিতিলের সচ্ছ কোমল হৃদয়। সেখানেও কোমল পানির ঢেউ শুরু হয়েছে। হৃদপিন্ডের স্পন্দন ক্রমাগত শুনতে পাচ্ছে সে। নিশ্বাস মাঝে মাঝেই থেমে যাচ্ছে। তিতিলের চোখের পাতা গুলি যেন স্থির হয়ে গেল মানুষটার উপর। “ভালোবাসার মানুষের সৌন্দর্য সবার চোখে অতুলনীয় হৃদয়কাড়া হয়।”

“কি হলো এদিকে একবার আসো। দেখো পুকুরের পানি কতটা পরিষ্কার।”

তিতিলের ঘোর কাটে। তবে ঊর্ধ্ব গতিতে হওয়া বুকের আওয়াজ কমেনি এক বিন্দু। মন্দর গতিতে এগিয়ে গেল সে ইয়াদের কাছে। মন বড্ড বলছিল অবুঝ পাখির মতো একবার লোকটার বুকে গিয়ে ঝাপটে পরতে। কিন্তু মনের কোণায় কোনো একটা কিছু বারণ করছে। তবুও লোকটার উষ্ণতায় মেশে যাওয়ার আকুল প্রয়াস তৈরি হচ্ছে।

ইয়াদের কাছাকাছি যেতেই তাকে লোকটা হাত ধরে টেনে নিজের কাছে আনল। হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলল,
“দেখো কি সুন্দর পুকুরের পানি।”

“…..

তিতিলের অবুঝ সরল দৃষ্টি তখন ইয়াদের উপরে লেপ্টে ছিল চুমুকের মতো। ইয়াদ আবার বলল,
“শহরে এমন সচ্ছ পানি তুমি তেমন পাবে না। দেখো সিঁড়ির পাশে নিচের ছোট নুড়ি গুলিও দেখা যাচ্ছে। আর মজার বিষয় কি জানো? এই পুকুরের অর্ধেকটাই সিঁড়ি দেওয়া। পুকুরের মাঝ পর্যন্ত তুমি সিঁড়ির অস্তিত্ব পাবে। বুঝলে পিচ্চি?”

“….

ইয়াদ হেসে তাকাল তিতিলের দিকে। দেখলো মেয়েটা তার দিকে অন্যরকম এক অদ্ভুত দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে আছে। তিতিলের ওমন চাউনি দেখে হৃদয়ে শিহরণের হাওয়া বয়ে গেল সাঁইসাঁই করে। মুখে বাঁকা হাসি তুলে তিতিল কে সে বলল,
“তিতিল কি দেখছো। আমি কি বলছি তুমি কি শুনছো আমার কথা?”

“….

“তিতিল?”

চমকে উঠল মেয়েটা। থতবত খেয়ে গেছে একদম। কপালে ভাঁজ দেখে ইয়াদ একগাল অমায়িক হাসল।
“তিতিল তুমি কি শুনেছো আমি এতক্ষণ কি বলেছি?”

“জ্বি। ক কি বলছিলেন?”

ইয়াদ উত্তর না দিয়ে তিতিলের বাহু ধরে পিছনে ফিরাল। মেদহীন পেটে শাড়ীর আঁচলের ভেতরে হাত ঢুকিয়ে টেনে কাছে নিয়ে এলো। বুকের সাথে মিশিয়ে তিতিলের কাঁধে থুতনি রাখল লোকটা। ওদিকে তিতিলের অবস্থা বেহাল। হৃদপিন্ডের উঠানামার আওয়াজে চারপাশ মুখরিত করে তুলছে। গরম নিশ্বাস ফালছে ক্রমাগত। দাঁতে দাঁত চেঁপে লোকটার উষ্ণ পরশ অনুভব করছে রন্ধ্রেরন্ধ্রে। ইয়াদ ঠোঁট টিপে হেসে পেটে চাঁপ প্রয়োগ করে আরেকটু কাছে টেনে আনল তিতিল কে। নিজের গরম নিশ্বাস তিতিলের উপর ছুড়ে দিচ্ছিল অনবরত। মেয়েটা আর সইতে না পেরে এবার শাড়ী খামছে ধরে চোখ খিঁচে রইল। ইয়াদ কোমল ঠোঁট গুলি তিতিলের কানের লতিতে স্পর্শ করলে শরীরের শিরা উপশিরা গুলি থমকে গেল। রক্তের কণিকা গুলিও যেন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে এবার। ইয়াদ ফিসফিস করে কানের কাছে বলল,
“দাদাভাই ঠিক এভাবেই যৌবনকালে দাদুকে নিয়ে এখানে সময় কাটিয়েছে নিজেদের একান্ত কিছু সময়। আমি আমার বেগম কে এটাই বুঝাতে চাইছিলাম। বুঝলেন তো বেগম। আমিও আমার একান্ত কিছু সময় কাটাতে চাই আমার বেগমের সাথে। তাই তো এখানে এসেছি ডেয়ার তিতিল পাখি।”

—-
ফ্রেশ হয়ে দুজনে এক সাথে দুপুরের খাবার খেতে বসেছে। খোলা একটা জায়গায় সিমেন্টের একটা টেবিল সেট করা আছে তার উপরে কাঁচ। সেখানেই দুজনে খাবার খাচ্ছে। আর তাদের মাথার উপরে রয়েছে একটা ছাউনি। সেখানে কুমড়ো, লাউ, শসা আরো কিছু গাছের লতাপাতা বেয়ে উঠেছে। ফাঁকেফাঁকে সূর্যমামা উঁকি দিয়ে জানান দিচ্ছে সে তাদের সাথেই এখানে উপস্থিত। পরিবেশটা একদম অতুলনীয়। বাহির থেকে আনা খাবারই খাচ্ছে তারা। খাবার শেষ করে দুজনই চুপচাপ বসে আছে। তিতিল বলল,
“আচ্ছা এসব দেখা শুনা কে করেন?”

“বিউটি আন্টি।”

“উনি কে?”

“উনি এখানের দেখাশুনা করে।”

“….

“আর এই শাকসবজির গাছ দেখছো না? উনিই সবকিছু করে এসবের। উনার পরিবার খেয়ে যা অবশিষ্ট থাকে বাজারে বিক্রি করে দেয়। মাঝে মাঝে উনার বড় ছেলে ঢাকায় আমাদের বাসায় দিয়েও আসে।”

“আচ্ছা আপনি না হয় আমার জন্যে কিছু বাজার করে আনবেন আজ তরতাজা সবজি দিয়ে রান্না হবে।” উপরে গাছের দিকে তাকিয়ে তিতিল এ কথা বলল।

“একেবারেই না।”

“কেন? ঘর রান্নাঘর সব পরিষ্কার আছে। বেশি সময় লাগবে না একদম।”

“এখানে তোমাকে রান্নার জন্যে আনা হয়নি তিতিল।”

“তাতে কি? দেখুন কি সুন্দর লাউ আছে তিন চারটা ধনেপাতা দিয়ে রান্না করলে কিন্তু অনেক মজা লাগবে। দয়া করে ব্যবস্থা করে দিন।”

“আচ্ছা ঠিক আছে যে ভাবে তোমার পছন্দ।”

তিতিল মুচকি হাসল। উঠে এক গাল হেসে এগিয়ে গেল লাউ গুলির দিকে। ওগুলিও যেন তার দিকেই তাকিয়ে ছিল ড্যাবড্যাবের মতো। লাউ গুলি নিয়ে চুপচাপ রান্নাঘরের দিকে এগিয়ে গেল।

—-
“ভাই তোরা আসবি কবে?”

“আপু তোর সমস্যা টা কি বল তো? আজ দুপুরেরই এলাম আর তুই..”

“তোকে অফিসে দরকার ভাই।”

“অফিসে দরকার নাকি তোর তিতিল কে? তোর ওই নিয়াম না কার সাথে তিতিল কে বিয়ে দেওয়ার..”

“স্টুপিডের মতো কথা বলিস সবসময়। মেজাজ টাই বিগড়ে দিলি।”

ইনা রাগ দেখিয়ে কল টা কেটে দিল। তাতে অবশ্য ইয়াদ বেশি পাত্তা দিল না। সে আরাম চেয়ে ল্যাপটপ খুলে বসল। তখনি তিতিলের ডাক শুনা যায়।
“রান্না হয়ে গেছে খেতে আসুন।”

“বউ রান্না করেছে দেখি গিয়ে স্বাদ কেমন।” বিড়বিড় করতে করতে ইয়াদ সামনের রুমে অগ্রসর হলো।

টেবিলে লাল শাক, মাছ ভোনা, লাউ দিয়ে চিংড়ি আর পুইশাক দিয়ে ছোটমাছ রান্না করা রয়েছে। এতসব কিছু দেখে ইয়াদের চোখ বড় বড় হয়ে গেল। বলল,
“আরে তুমি পাগল নাকি। এত কিছু করতে গেলে কেন?”

“সব টাটকা খেয়ে খুব মজা পাবেন।”

“রাখো তোমার টাটকা।”

“আশ্চর্য তো। খেলে চুপচাপ খান না হলে চলে যান।”

“তুমি কি রেগে যাচ্ছো?”

“…..

“ঠিক আছে আর বলব না কথা। বউয়ের আদেশ যথার্থ।”

“….

দুজন পাশাপাশি বসে রাতের খাবার খেয়ে নিল। দুজনই তৃপ্তি সহকারে খেয়েছে।
“তিতিল আজকের খাবারটা…. এর জন্যে তো তোমার গিফট পাওয়া উচিৎ।”

“….

“রুমে আসো তোমার গিফট দিব।”

“….

ইয়াদ একবার তিতিলের দিকে তাকিয়ে চলে গেল। একটুপর আবার ফিরে এলো তিতিল তখন সব কিছু গুছিয়ে রাখছিল।
“তিতিল তোমার সাথে কথা আছে। পাঁচ মিনিটে কাজ সেরে রুমে আসো।”

চলবে♥
(যথাসম্ভব রেসপন্স দেওয়ার চেষ্টা করবেন❤️)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here