গল্প – আমার আমি যে তুমি
পর্ব – ১৭
লেখিকা – ইশানুর তাসমিয়া

রুহানঃ ও-ই মাইয়া কবুল বল,,,,😠😠

রুহিঃ আপনার মাথা কি ঠিক আছে নাকি গেছে,,,,কি উল্টা পাল্টা কাজ করছেন,,,,,??

রুহানঃ তোরে আমি এখন বিয়ে করব,,,তুই কি ভাবছোস তুই আমার থেকে দূরে যাবি গা আর আমি চাইয়া চাইয়া দেখমু,,,জীবনেও না,,,,,

রুহিঃ আপনি কি বলছেন আমি কিছুই বুঝতে পারছি না রুহান,,,,

রুহানঃ কি বুঝছো না তুমি হ্যাঁ,, 😠😠কালকে রাতে আমার স্বপ্নের মধ্যেই তো বললা তুমি আমাকে রেখে চলে যাবে,,,,

রুহিঃ কি,,,,.?আপনি একটা পাগল রুহান,,,আমি কিভাবে আপনার স্বপ্নে যাবো,,,,??

রুহানঃ ও-ই গেছো আরকি এক ভাবে,,,,[ মাথা চুল কিয়ে ]

রুহিঃ রুহান মজা বন্ধ করুন,,,আর প্লিজ এদের নিয়ে যান আমি কোনো বিয়ে করছি না,,,,,

রুহানঃ না,,, তুমি আমাকে বিয়ে করবে আর এখনই,,,,

রুহিঃ এটা কিভাবে,,,,[ বলতে না দিয়ে ]

রুহানঃ আমি যানি না কিভাবে,,,, কিন্তু আমি তোমাকে এখন বিয়ে করব মানে এখন,,,,[ কিছুটা রেগে ]

রুহিঃ রুহান,,,,,!!

রুহানঃ না,,,,,

রুহিঃ প্লিজ!!

রুহানঃ এখন তো আরও না,,,এ কাজী সাহেব,,,কি সমস্যা কি আপনার,,,আপনাকে কি আমি এখানে ঢং দেখাতে আনসি,,,,বিয়ে পড়ান তাড়াতাড়ি,,,[ ধমকের সুরে ]

কাজীঃ জ্বী জ্বী পড়াচ্ছি,,,,[ কিছুটা ভয় পেয়ে]

রুহিঃ না আপনি বিয়ে পড়াবেন না,,,রুহান এগুলো বন্ধ করুন প্লিজ,,,,

রুহানঃ তোরে আমি এখন বিয়ে করমু কইসি না,,,মানে এখনই করমু,,,,

রুহিঃ উফফ রুহান,,,,আচ্ছা আমাকে একটু সময় দিন,,,আমি এখনও এগুলোর জন্য প্রস্তুত না,,,,

রুহানঃ কোনো সময় দেওয়া হবে না,,,, আর ওই মিয়া,,,,আপনারে আমি বিয়া পড়াইতে কইসি না না,,,চুপ হয়ে আছেন কেন,,,,😠😠

রুহিঃ রুহাম প্লিজ একটু শান্ত হন,,,আচ্ছা আমাকে ১ ঘন্টা সময় দিন প্লিজ,,,,

রুহানঃ ধুরর,,,,,

রুহিঃ প্লিজ রুহান,,,,

রুহানঃ আচ্ছা দিলাম,,,কিন্তু ১ ঘন্টা পর যদি তুমি কোনো তাল-বাহানা করো তাহলে কিন্তু তোমার কি অবস্থা হবে তা তুমি কল্পনাও করতে পারবে না,,,,

রুহিঃ কি করবেন,,,[ ভ্রু কুচকে ]

রুহানঃ এমনেই তো লেংড়া হই গেছো,,,এখন টেরা করে দিবো,,,

বলেই রুহান চলে যায়,,,তার সাথে সাথে লোকগুলোও,,,, রুহি রুহানের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বলে,,,,,

” কি,,,?? এইডা পাগল নাকি পাবনা পাগল,,,এগুলো আমার কপালেই জুটে কেন,,,ধুর,,,,”

.
.

রুহান যেতেই রোদ,, সাহেল,,,আর রোদের মা -বাবা,, আসে কেবিনে,,,রুহান মেবিনে ঢুকেই ওদেরকে বের করে দিয়েছিল,,,যার জন্য সবাই রুহানের উপর অনেক রেগে আছে,,,রোদের বাবা একটু বেশিই রাগ করেছেন,,, রুহির কাছে করুন ভাবে তিনি বলেন,,,,

রোদের বাবাঃ মা তুমি রাগ করিও না,,,আমার ছেলে একটু জেদি,,,ওর এমন ব্যবহারে তুমি কষ্ট পাইও না,,,,

রুহিঃ না আংকেল,,,সমস্যা নেই,,,,

রোদের বাবাঃ আচ্ছা মা তুমি কি এ বিয়েতে রাজি,,,যদি না থাকো তাহলে বলো আমি আমার ছেলেকে বুঝাবো যেন এ বিয়ে না করে,,,,

রুহিঃ……….!!

রোদের মাঃ বলো মা,,, তুমি কি এ বিয়েতে রাজি,,,,??

রুহি কিছু বলছে না,,,,মাথা নিচু করে বসে আছে,,,খুব অসস্তি লাগছে তার,,,তা সাহেল আর রোদ বুঝতে পেরে রোদ তার বাবা মাকে বলে,,,,

রোদঃ মা বাবা চলো তো একটু বাইরে,,,

রোদের বাবাঃ কিন্তু!!

রোদঃ আহা!!চলো,,, সাহেল দেখে নিবে এদিকটা,,,,

রোদের বাবা মা কিছু একটা বুঝতে পেরে আর কিছু বলে না,,, রোদের সাথে চলে যায় বাইরে,,,,

তারা চলে যেতেই সাহেল রুহিকে উদ্দেশ্য করে বলা শুরু করে,,,,

সাহেলঃ জানো রুহি রুহান তোমায় কেন বিয়ে করতে চাইছে,,,,??

রুহিঃ কেন,,,,

সাহেল রুহি প্রশ্নে একটু হাসে,,,তারপর শান্ত কন্ঠে বলা শুরু করে,,,,,

সাহেলঃ তুমি তো জানো,,,তুমি হাসপাতালে দেখে রুহানও হাসপাতালে থাকে,,,,নিজের সব যাবতীয় কাজ বাদ দিয়ে দিয়েছে সে,,,এতে ওর অনেক লস হয়েছে,,, কিন্তু তাতেও ও খুশি,,,তোমাকে যে পেয়েছে,,তাই হয়তো,,,,ওর পাগলামি সম্পর্কে তো জানোই,,, ওর মনে হয় তুমি ওকে ছেঁড়ে চলে যাবে,,,,

এতটুকু বলে থেমে যায় সাহেল,,,পরক্ষনে আবার বলা শুরু করে,,,,,

সাহেলঃ কালকে রাতে অনেক কষ্টে রুহানকে বাসায় নিয়ে যাই,,,,কারন হাসপাতালে ও ভালো মতো থাকতে পারছিল না,,,তোমার অগোচরে সারারাত তোমার সেবা করত,,, সারারাত জেগে থাকতো,,,ফলে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছিল ও,,আমার মনে হয়,,,যদি ও বাসায় একটু রেস্ট নেয়,,,তাহলে ঠিক হয়ে যাবে,,,কিন্তু তার বদলে উল্টা-টা ঘটলো,,,

কালকে অনেক জোড়াজুড়ি করার পর রুহান বাসায় আসতে রাজি হয়,,,আমি আর রুহান একসাথে ঘুমিয়ে ছিলাম,,,,কারন রোদ তখন তোমার সাথে ছিল,,,,যাই হোক,,,মাঝরাতে আমি কান্না শব্দ পাই,, উঠে দেখি রুহান বাচ্চাদের মতো কান্না করছে,,,,এটা দেখে আমি হাসবো নাকি কানবো বুঝতে পারছিলাম না,,,কোনো রকম ওকে জিজ্ঞেস করি “কি হয়েছে,,,??” উত্তরে ও কি বলে যানো,,,,??

রুহিঃ কি,,,??

সাহেলঃ ও নাকি একটা স্বপ্ন দেখেছে,,,যেখানে তুমি ওকে রেখে চলে গেছো,,,বলতে গেলে ওর ধরা-ছোঁয়ার বাইরে,,,,পরক্ষনে আবার বলে,, ওর চোখের সামনেই তুমি নাকি অন্য কাউকে বিয়ে করেছো,,,,বিশ্বাস করবা না,,, আমার অনেক হাসি এসেছিল ওর কথায়,,,যে রুহানের গায়ে গুলি লাগলেও কান্না করে না সে এ-ই সামান্য স্বপ্নের জন্য কান্না করছে,,,বিশ্বাস করা যায়,,,কিন্তু আমার কাছে মজা লাগলেও ও সিরিয়াস ছিল,,,রাত ৩টার দিকেই হাসপাতালে রওনা হয় তুমি কি করো তা দেখার জন্য,,,ভেবেছিলাম এতটুকুতেই ওর পাগলামো সীমা বদ্ধ থাকবে,,,,কিন্তু না,,,এখন তো দেখি ও তোমাকে বিয়ে করতে চায়,,,ওর এসব পাগলামো কে কি বলে,,, বা এর জন্য ওকে কি করা উচিত আমি জানি না,,,বাট এতটুকুই জানি,,,ও তোমাকে ভালোবাসে,,,ভীষণ রকমের ভালোবাসে,,,,এখন আগে তোমার মর্জি,,,তুমি এ বিয়ে করবে নাকি করবে না,,,,,এটা তোমার উপত ভিত্তি করে,,,,,

বলেই সাহেল চলে যায়,,,,এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রুহি সাহেলের যাওয়ার দিকে,,,”আসলেই তো,,, রুহান এমন পাগলামি করে কেন তার জন্য,,,সত্যিই কি রুহান তাকে এতটা ভালোবাসে,,,নাকি অন্য কিছু,,,হয়তো ভালোবাসে,,,কিন্তু তার কি রুহানকে বিয়ে করা ঠিক হবে,,,”

রুহি এগুলো ভাবছিল,,,তখনই সায়ান আসে তার কেবিনে,,,এসেই তাচ্ছিল্য ভরা কন্ঠে সে রুহিকে বলে,,,,

সায়ানঃ তাহলে বিয়ে করছ রুহানকে,,,,

রুহিঃ…….!!

সায়ানঃ কি হলো উত্তর দিচ্ছো না যে,,ভালোই তো চলছে তোমার,,,,

রুহিঃ লজ্জা করে না তোমার এগুলো বলতে,,,,কোন মুখে তুমি আমাকে এগুলো বলছো,,,

সায়ানঃ কই,,লজ্জা পাওয়ার কিছু তো আমি বলি নি,,শুধু বলেছি রুহানকে বিয়ে করছ নাকি তুমি,,,,??

রুহিঃ হ্যাঁ করছি,,,তাতে তোমার কোনো সমস্যা [ রেগে ]

রুহি বলতে না বলতেই সায়ান এসে রুহির হাত ধরে ফেলে,,,,এতে রুহি বেশ অবাক হয়,,,সে কিছু বলতে যাবে তার আগেই সায়ান বলে উঠে,,,,

সায়ানঃ প্লিজ রুহি এ বিয়ে করো না,,,আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচতে পারবো না,,,দেখো আমি যা করেছি তা সব তোমার জন্য,,,,তুমি তো জানো আমি এতো সেটেল না,,,, তাই বাধ্য হয়ে প্রিয়াকে বিয়ে করি,,,যাতে তোমাকে বিয়ে করার পর আমাদের টাকার কোনো কষ্ট না হয়,,,,প্লিজ তুমি আমার কাছে চলে এসো,,,আমি সত্যি বলছি,,,প্রিয়াকে আমি ডিভোর্স দিয়ে দিবো,,,,

কথাটা শুনে রুহি ঘৃণায় গা শিউরে উঠে,,,এক ঝটকায় সায়ানের থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে নেয় আর বলে,,,,

রুহিঃ তুমি মানুষ না সায়ান অমানুষ তুমি,,,কিভাবে বলছ তুমি এগুলো,,তোমার কি মুখে বাঁধছে না,,,আচ্ছা মানলাম তুমি এসব টাকার জন্য করেছ,,,কিন্তু তোমার আর প্রিয়ার সন্তান,,,সে,,,?? যদি এতোই আমাকে ভালোবাসো,,তাহলে কিভাবে পারলে এটা করতে,,,,
তুমি অমানুষ কিন্তু আমি না,,,, পারবো না প্রিয়াকে কষ্ট দিতে,,,,আর তোমাদের সন্তান,,ওর কাছ থেকেও যে আমি ওর বাবার ভালোবাসার অধিকার নিতে পারবো না,,,প্লিজ সায়ান যা আছে তা নিয়ে খুশি থাকো,,,,,

সায়ানঃ পারবো না আমি খুশি থাকতে,,,,তুমি আমার সব রুহি,,আর ওইটা ভুল বসত হয়ে গেছে,,,আমিও তো একজন পুরুষ তাই না,,,পারি নি নিজেকে আটকে রাখতে,,,,এজন্য আমি সত্যি অনুতপ্ত,,,,প্লিজ ক্ষমা করে দাও আমাকে,,,,

রুহিঃ ক্ষমা আমি তোমাকে না তুমি আমাকে করো সায়ান,,,প্লিজ চলে যাও আমার জীবন থেকে,,,, প্রিয়াকে নিয়ে খুশি থাকো প্লিজ,,,

সায়ান কিছু বলতে যাবে,,, তার আগেই প্রিয়া এসে যায় রুহির কেবিনে,,,তাই আর কিছু বলতে পারে না সায়ান,,,,চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে,,, প্রিয়া রুহির ভালো মন্দ জিজ্ঞেস করেই সায়ানকে নিয়ে চলে যায়,,,তারা যেতেই রুহি ভাবতে থাকে,,, সে বিয়ে করবে কি করবে না,,,হঠাৎ রুহান আবার এসে যায় কেবিনে,, সাথে লোকগুলোও আছে,,,,রুহান কিছুটা রাগি ভাবেই রুহি বলে,,,,

রুহানঃ তোমার ১ ঘন্টা হয়ে গেছে,,,এখন তুমি বিয়ে করবা নাকি,,,,[ বলতে না দিয়ে ]

রুহিঃ আমি বিয়েতে রাজি আছি রুহান,,,,

কথাটা শুনে রুহান বেশ অবাক হয়,,সাথে খুশিও,,,তাই কিছু না বলে তাড়াতাড়ি বিয়ে পড়ানো শুরু করতে বলে,,,,

প্রায় অনেক কান্ড করার পর রুহানের ইচ্ছা পূরণ হয়,,,,খুব সুষ্ঠভাবেই তাদের বিয়ে সম্পন্ন করা হয়,,,,যেখানে সাক্ষি ছিল,,,রোদের বাবা-মা,,রোদ, সাহেল,প্রিয়া সাথে সায়ানও,,,সত্যি বলতে বিয়ের সময় সায়ানের মুখ দেখার মতো ছিল,,,চোখ লালা হয়ে ছিল তার,,,,

.
.
.

বিয়ে পড়ানো শেষ হতেই রুহান যেন খুশিতে আত্তহারা হয়ে গেছে,,,,হাসপাতালের সবাইকে মিষ্টি খাওয়ানো শুরু করে সে,,,,সবাই রুহানকে দেখে হাসছে,,,,, আর ভাবছে,,,,, “এত ভালোবাসা কই পায় এ ছেলে,,,আসলেই অনেক ভাগ্যবতী এর স্ত্রী,,, যে এ ছেলেটাকে ও-ই মেয়ে পেয়েছে,,,” একজন তো বলেই দিয়েছে যে রুহি নাকি অনেক ভাগ্যবতী রুহানকে পেয়েছে বলে,,,প্রতিউত্তরে রুহান একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলে,,,,

রুহানঃ আমাকে পেয়ে ও ভাগ্যবতী না,,,,ওকে পেয়ে আমি ভাগ্যবান,,,,,

.
.
.
.

রাত প্রায় ১১টা,,,,

রুহি আধশোয়া হয়ে চকলেট খাচ্ছে আর রুহান তা চেয়ে চেয়ে দেখছে,,,,তা দেখে রুজি বলে উঠে,,,

রুহিঃ অন্য দিকে তাকান,,,আমার পেট ব্যথা করবে,,,,

রুহির কথা শুনে রুহান তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে বসে,,,কিছুক্ষন ওভাবে বসে থেকে সে উঠে দাঁড়ায়,,, তারপর রুহির কাছে যেয়ে বলে,,,,

রুহানঃ সরো তো রুহি,,আমি ঘুমাবো,,,,

রুহিঃ কই সরবো,,,এখানে জায়গা আছে,,,,

রুহানঃ এত জায়গা থাকতেও তুমি বলছ জায়গা নেই,,,,

রুহিঃ আমার অনেক জায়গা লাগে শুইতে,,তাই সোফায় যান আপনি,,,

রুহানঃ না আমি তোমার সাথে শুবো,,সরো,,,

রুহিঃ না,,,,

রুহানঃ রুহি,,আমাদের বিয়ে হয়েছে তো,,,,

রুহিঃ তো,,,??

রুহানঃ তো কি,,,?? আমি তোমার সাথে শুবো সরো,,,,

রুহিঃ না,,,,আমি সরব পাবো,,,,

রুহানঃ প্লিজ,,,

রুহিঃ না,,,

রুহানঃ প্লিজ,,,

রুহিঃ ন,,,,,,না,,,,,

রুহানঃ প্লিজ,,,প্লিজ,,,প্লিজ,,,প্লিজ,,,,

রুহিঃ না বলছি না,,😠😠

রুহানঃ ধুর,,তোর সাথে ঘুমাইতামই না,,, ঘুমা তুই একা একা,,,সাগরের সমান জায়গা লইয়া ঘুমা,,আসবি না আমার কাছে,,,,😠😠

বলেই রুহান ধুপধাপ করে সোফায় গিয়ে শুয়ে পড়ে,,,,যা দেখে রুহি পুড়াই বোকা বনে গেল,,,মুখ দিয়ে হঠাৎ ই রুহির বেড়িয়ে যায়,,,,

” এটা কি হলো ”

কিছুক্ষন এভাবেই তাকিয়ে থাকলো রুহি,,,তারপর যেইনা শুতে যাবে,,,,ওমনি রুহান উঠে এসে রুহিকে হালকা ভাবে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়ে,,,,,এতে রুহি আবারও অবাকে শেষ প্রান্তে,,,
…………..
…………………
[বাকিটা পরবর্তী পর্বে……….]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here